
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
‘জয়বাংলা’ ¯েøাগান নিয়ে উত্তাল এখন নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন। পতিত সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলীর মুখে ‘জয়বাংলা’ শোনা গেছে। সেই সাথে পরবর্তীতে তিনি এটা আর সংশোধনও করেননি। এ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মোহাম্মদ আলীর মুখে ‘জয়বাংলা’ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিএনপি নেতারা। ইতিমধ্যেই বিএনপি নেতা টিপু মোহাম্মদ আলীকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর’ উল্লেখ করে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন। গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা হয়েছে। সেই সাথে তারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সাথে সাক্ষাৎ করে এই বিষয়ে কথা প্রতিবাদ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারি তরিকুল সুজন। পরবর্তীতে তারা সকলেই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সাথে সাক্ষাৎ করেন। আর সেই সাক্ষাতে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করে মোহাম্মদ আলীকে যেন পরবর্তী পোগ্রামে দাওয়াত দেয়া না হয়। সেই সাথে তাদের অনুরোধের প্রক্ষিতে জেলা প্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন তাকে আর দাওয়াত দেয়া হবে না। এ বিষয়ে মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, নিষিদ্ধ ¯েøাগান দেয়া কারও জন্য সুযোগ নেই। তিনি যেই হোক। এই ¯েøাগান দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা কাম্য নয়। মোহাম্মদ আলী এই ¯েøাগান দিয়ে থাকলে তিনি ঘৃণার কাজ করেছেন। তিনি এটা অপরাধ করেছেন। নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। পরবর্তী পোগ্রামে তাকে যেন দাওয়াত দেয়া না হয় আমরা জেলা প্রশাসকের আহŸান করবো। অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, মোহাম্মদ আলী তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে শামীম ওসমান সেলিম ওসমান আজমেরী ওসমানের দালাল মোহাম্মদ আলীকে কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। এই মোহাম্মদ আলী একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। আমরা কোনো ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাকে মেনে নিবো না। তিনি হাসিনার সময়ে প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জিম্মি করে বিতর্কিত কর্মকান্ড করেছে। তিনি যদি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে আসেন আমরা তাকে প্রতিহত করবো। জামায়াতে ইসলামীর মহানগরের সাবেক আমীর মাওলানা মাইনুদ্দিন আহমাদ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন ও মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লবও উপস্থিত ছিলেন। ‘মোহাম্মদ আলীকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর’ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসককে আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, “সে (মোহাম্মদ আলী) জয় বাংলা ¯েøাগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে চায়। তাকে কোনো প্রোগ্রামে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেন দাওয়াত দেওয়া না হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি আমাদের সম্মান আছে। কিন্তু উনি সবসময় দালালি করে। গত ১৬ বছর ধরে দালালি করছে। সাধারণ জনগণের পক্ষে কখনও কাজ করে নাই। এখন আবার নতুন করে সে বিশৃঙ্খলা করতে চাচ্ছে।” বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, “বিগত আওয়ামী লীগ আমলে যারা গডফাদার ছিল, সেই শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানের সাথে তার (মোহাম্মদ আলী) যোগাযোগ আছে। সে ¯েøাগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। তাকে যেন কোনো প্রোগ্রামে না ডাকা হয়। তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হোক।” এ সময় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, “অতীত থেকে এই পর্যন্ত বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাÐের নেপথ্যে উনি (মোহাম্মদ আলী) ভূমিকা রাখছেন। তার যেসব অপকর্ম তার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণও আমাদের কাছে আছে, আপনার কাছেও হাজির করবো। আমরা চাই না, কেউ বিতর্ক সৃষ্টি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ না পায়। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবেও যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” পরে টিপু বলেন, “উনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড দখল করে রাখছেন। উনি এখন চাচ্ছেন ওসমান পরিবারের হয়ে নারায়ণগঞ্জে অশান্তি তৈরি করতে। উনি প্রোগ্রামে আসলে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে।”গণসংহতি আন্দোলনের নেতা তরিকুল সুজন বলেন, “মোহাম্মদ আলীরা পূর্বে সেলিম ওসমানদের সাথে আঁতাত করে তারা নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করেছে। ওসমান পরিবারের বাইরে এই নারায়ণগঞ্জে তারা কোনো কিছু বিবেচনা করতেন না। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কোনো কর্মকাÐ থেকে তাকে যেন বিরত রাখা হয়। সকলের কথা শুনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “সকলের কাছে অনুরোধ, স্বাধীনতা দিবসের সম্মান যেন বজায় থাকে। এর ভাবমূর্তি যেন কোনোভাবে ক্ষুন্ন না হয়। কোনো অসুন্দর কাজ যেন না হয় সেইটা আমরা চাই।” এর আগে নারায়ণগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে জেলা পরিষদের উদ্যোগে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। গত সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলীও উপস্থিত ছিলেন। আর তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ নেই। এবার ১৪০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। আমারা আশা করবো আগামীতে এই সংখ্যাটা যেন ১৪০ থেকে ২৪০ করা হয়। আর আমাদের কোনো সমস্যা নেই। যে কোনো সমস্যায় আপনারা জেলা প্রশাসকের কাছে আসবেন। উনি অনেক আন্তরিক। এরপর তিনি ‘জয়বাংলা’ বলে বক্তব্য শেষ করেন। পুরে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীদের একটি দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মিছিল করেন। পরে তারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সাথে সাক্ষাৎ করেন তারা।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯