বিকেএমইএ কার্যালয়ের সামনে ইউরোটেক্স নীটওয়্যারের চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের বিক্ষোভ’

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার ইউরোটেক্স নীটওয়্যারের চাকুরিচ্যুত ৯৬ শ্রমিকের বকেয়া বেতন-ভাতা’সহ আইনগত পাওনাদী পরিশোধে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ত্রিপক্ষীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ওই কারখানার চাকুরিচ্যুত, নির্যাতিত শ্রমিকরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া বিকেএমইএ কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউরোটেক্স নীটওয়্যারের শ্রমিক সাকিব, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজুল ইসলাম, গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এম এ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলার সভাপতি দুলাল সাহা, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অঞ্জন দাস, শ্রমিক নেতা সালাউদ্দিন, কারখানার শ্রমিক ইয়াছমিন, নদী ও বিথী আক্তার প্রমুখ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার ইউরোটেক্স নীটওয়্যারে ৯৬ জন শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। ঈদের আগে শ্রমিকের এই চাকুরিচ্যুতি কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শ্রমিকের সংকট নিরসনের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন, শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিকপক্ষ ত্রিপক্ষীয় আলোচনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৪ মার্চ চাষাড়া কলকারখানা অধিদপ্তর থেকে শ্রমিকের আইনগত সকল পাওনাদী পরিশোধ করার কথা। কিন্তু মালিকপক্ষ সেখানে উপস্থিত হয়নি। শ্রমিকরা টাকা না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যায়। এ ঘটনায় শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় চাষাড়া বিকেএমইএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে বাধ্য হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সংকট নিরসনের লক্ষ্যে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন এবং ২৬ মার্চ সকালে বিকেএমইএ কার্যালয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বস্ত করায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ঈদুল ফিতরের ঈদ সামনে রেখে সরকার, শ্রমিক ও মালিক পক্ষ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ে শ্রম সচিবের সভাপতিত্বে ত্রিপক্ষীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০ রমজানের মধ্যে সারাদেশের সকল শ্রমিকের ঈদ বোনাস ও সকল বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা এবং ঈদের আগে কোন ভাবেই কোন শ্রমিক’কে চাকুরিচ্যুত করা যাবে না মর্মে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো বহু কারখানায় শ্রমিকের ঈদ বোনাস ও বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা হয় নাই। ঈদ ঘনিয়ে এসেছে শ্রমিকের বেতন-বোনাস পরিশোধে কোন টালবাহানায় সময় কালক্ষেপণ করা যাবে না। ঈদের আগে সকল শ্রমিকের বেতন বোনাস প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে নেতৃবৃন্দ শিল্প কারখানার মালিক ও সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।