আজ সোমবার | ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১ | ১ শাওয়াল ১৪৪৬ | সকাল ৮:০৬
শিরোনাম:
নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে প্রথম জামাতটি হবে সকাল ৮ টায়    ♦     ঈদের ছুটিতে ২ দিনে ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় ৪১ লাখ সিমধারী    ♦     ঈদ মোবারক    ♦     রূপগঞ্জের রিয়াজ বাহিনীর গুলিবিদ্ধ পথচারীর মৃত্যু    ♦     সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে ফতুল্লায় ঈদ উদযাপন    ♦     আড়াইহাজারে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা    ♦     নারায়ণগঞ্জ শহরে বেপরোয়া পরিবহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান    ♦     নারায়ণগঞ্জ শহরে বেপরোয়া পরিবহন গুলির  বিরুদ্ধে  অভিযান    ♦     সোনারগাঁয়ে ডিবির অভিযানে ফেনসিডিল-গাঁজা উদ্ধার    ♦     ইনসাফ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের আহ্বান মাওলানা মঈনুদ্দিনের    ♦    

এমপি হওয়ার খায়েশ অনেকের

ডান্ডিবার্তা | ২৮ মার্চ, ২০২৫ | ১২:২৬ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গত বছর ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জের ৫ আসনেই বিএনপি মনোনয়ন যুদ্ধে রয়েছে নীরব লড়াই। জেলা ও মহানগর বিএনপি কমিটিতে থাকা নেতাদের সাথে সখ্য নিয়ে তোড়জোড় রয়েছে গুঞ্জন ও সমালোচনায়। মাঠ পর্যায়ে নেতাদের সাথে এবার ব্যবসায়ীরা বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাবার আশা সক্রিয় ভূমিকা রয়েছেন বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে জেলা ও মহানগর বিএনপিদের সুদৃষ্টি লক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচীগুলোতে নেতাদের পাশে দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। সদর-বন্দর আসনে এবার বিএনপি পদবিহীন ও পদে থাকা নেতাদের মধ্যে আলোচনা রয়েছেন আবু জাফর আহম্মেদ ওরফে প্রাইম বাবুল, মাসুদুজ্জামান মাসুদ ওরফে মডেল মাসুদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও জিয়া পরিবারের সদস্য দাবি খন্দকার মো. মাহমুদুল হাসান আরমান। এ আসনে বিএনপি প্রার্থী আলোচনা রয়েছেন বিএনপির সাবেক তিনবারের এমপি আবুল কালাম। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি ও বিএনপি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন। বিএনপি সাথে জোটের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় ছিলেন নাগরিক ঐক্য উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি এস এম আকরাম। তিনি গত মাসে মৃত্যুবরণ করায় একক আলোচনায় রয়েছেন আবুল কালাম। প্রবীন নেতাদের পাশে এবার নতুন নেতৃত্ব ও ব্যবসায়ীরা দলীয় মনোয়ন যুদ্ধে তোড়জোড় আলোচনায় তৃলমূলের মধ্যে উৎসাহ দেখা গেছে। তৃণমূলের ভাষ্য হলো, দলীয় প্রার্থী যত বেশি হবে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ততই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে। এবার বিএনপি প্রতিষ্ঠা শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্য হিসেবে রয়েছেন খন্দকার মোঃ মাহমুদুল হাসান আরমান। তিনি পারিবারিক ইতিহাস ঘাটলে বোঝা যায়, তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়। জিয়াউর রহমানের দাদা মৌলভী কামালউদ্দিন মন্ডল ছিলেন এই পরিবারের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। কামালউদ্দিন মন্ডলের বড় ছেলে ধনী মোহাম্মদ মন্ডলের একমাত্র কন্যা নুরুন্নেসা হলেন আরমান সাহেবের নানি। অন্যদিকে কামালউদ্দিন মন্ডলের চতুর্থ ছেলে মনসুর রহমান ছিলেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দাদা। এই সম্পর্ক অনুযায়ী, আরমান সাহেব শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আপন জেঠাতো নাতি এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের ভাগিনা। শুধু জাতীয়তাবাদী পরিবারের অংশ হওয়াই নয়, আরমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রয়াত বিএনপির সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলামের ছোট জামাতা। কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম একজন নিবেদিতপ্রাণ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন যিনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ লড়াই করেন এবং স্বাধীনতার পরেও জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আবু জাফর আহম্মেদ ওরফে প্রাইম বাবুল রয়েছেন সক্রিয় ভূমিকায়। বিকেএমইএ এর সাবেক এ নেতা বিগত দিনে সদর ও বন্দর আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য চেষ্টা করে ছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর প্রাইম বাবুল বিভিন্ন স্থানে দলীয় মনোনয়ন পাবার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিজের ভূমিকা রয়েছেন বলে ইতোমধ্যে তিনি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার পতনের পর গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় আবু জাফর আহম্মেদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন সবজি বিক্রেতা শাহজাহান সাজু। পরে তিনি জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগও দেন। এর কয়েকদিন পর ৯ অক্টোবর শহরের কিল্লারপুল এলাকায় একটি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে শিল্পগোষ্ঠী প্রাইম গ্রæপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান আবু জাফর আহমেদ বাবুল ওরফে প্রাইম বাবুলের বিরুদ্ধে থানায় আরও একটি সাধারণ ডায়েরি করা করেন তাজুল ইসলাম কামাল নামে এক ব্যবসায়ী। তবে হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিল্পপতি আবু জাফর আহমেদ বাবুল। তিনি বলেন, তাদের জমি কেনার সাথে তো আমার সম্পর্ক নেই। সদর-বন্দর আসনে মনোনয়ন যুদ্ধে আলোচিত রয়েছেন মোঃ মাসুদুজ্জামান মাসুদ ওরফে মডেল মাসুদ। তিনি গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি হন। প্রায় ছয় মাস দায়িত্ব পালন শেষে তিনি চেম্বারকে নির্বাচনী পরিবেশের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বে হাতে তুলে দিয়ে প্রশংসিত হন। মাসুদ এর আগে এই আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন বিএনপি এমন আলোচনা রয়েছেন। মহানগর বিএনপি একাংশ নেতারা তাকেই এবার দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে শুনা গেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০১৬ সালের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। আওয়ামীলীগ সরকার আমলে র‌্যাবের হাতে সাত খুনের ঘটনায় আসামীদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আলোচিত ছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে বিএনপি মহাসচিব সহ স্থায়ী কমিটির সদস্য সহ একাধিক সিনিয়র ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা নারায়ণগঞ্জ চষে বেড়িয়েছেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি থেকে তাকে দলের আহবায়ক করে ঘোষণা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রায় আড়াই বছর ধরে মহানগর বিএনপি নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনিও সদর ও বন্দর আসনে মনোয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। দল যদি তাকে মনোয়ন দেন তিনি নির্বাচনের প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন খানের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে বলে মন্তব্যে করেছেন তার বিদ্রোহী নেতারা। একই ভাবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খানও সদর-বন্দর আসনে দলীয় মনোয়ন চান। তিনি এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য আলোচনায় ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় নির্বাচন না হওয়ার কারণে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী প্রকাশ করেছেন। মহানগর বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে পরবর্তিতে সদস্য সচিবে পদে এসে সক্রিয় ভূমিকায় প্রশংসা রয়েছেন তিনি। আহবায়ক কমিটির ঘোষনা পর থেকে টিপু বিরুদ্ধে ১৫ জন যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্যরা বিব্রত প্রকাশ করে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের এক মাসের মাথায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে পিটুনী শিকার হন টিপু। এই নিয়ে দলের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ হলেও এখনো তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে একাধিক বিদ্রোহী গ্রæপ। তরুণ নেতা হিসেবে সদর ও বন্দর আসনে দলীয় মনোনয়ন আলোচনা রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক চারবারের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি করোনা ভাইরাস সময়ে সাহসী ভূমিকা নিয়ে একাধিক সম্মানজনক পুরস্কার ও গৌরব অর্জন করেন। তিনি, সদর-বন্দর আসনের দলীয় মনোয়ন পেয়েছে ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর বিএনপির মনোয়ন পান সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। তার বিকল্প হিসেবে রাখা হয় সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে। তবে এ আসনে বেশ আলোচনায় থাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান মনোনয়ন পাননি। তিনি ওই সময়ে কারাগারে ছিলেন। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রæয়ারি ঢাকায় বিএনপির বর্ধিত সভায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন তিনি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা