
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সব লড়াইয়ে সামনের সারিতে থেকে নারায়ণগঞ্জে যে পরিবারটির উত্থান হয়েছিল দুই পুরুষ বাদে সেই পরিবারেরই উত্তরসূরিদের কর্মকাÐের কারণে অতীতের মান-মর্যাদা বর্তমানে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। আর এ হলো ওসমান পরিবার। সর্বশেষ গত বছরের ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রাজপথে মাঠে দেখা যায় আওয়ামী লীগের সাংসদ শামীম ওসমান ও তার অনুসারীদের। ওই দিন ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার বাহিনী অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে শহরের ডিআইটি এলাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তার শ্যালক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক তানভির আহমেদ টিটু মিছিলের আগের অংশে অবস্থান করে তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি গুলি বর্ষণ করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছেন। শামীম ওসমানের পিছনের সারিতে পিস্তল হাতে তার বেয়াই ফয়েজউদ্দিন লাভলু ও তার ছেলে মিনহাজুল ইসলাম ভিকি। এ সময় তাদেরও গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। তবে নারায়ণগঞ্জে সেদিন যা হয়েছে সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শামীম ওসমান ও তার অনুসারীরা বছরের পর বছর ধরে নানা বেআইনি কর্মকাÐের মাধ্যমে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। হকার বাসানো ও উচ্ছেদ নিয়ে সেদিন মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভির ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় অভিযোগ ছিলো তাদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেমন বিরক্তির কারণ হয়েছে তেমনি নির্বাচনের বছরে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। শামীম ওসমানের ভাই জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম ওসমান সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন ২০১৬ সালে। পরিবারের মর্যাদা বিসর্জনে তিনিও কম যাননি। ২০১৬ সালের ১৩ মে সেলিম ওসমানের সামনে একজন প্রবীণ শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। ওই ঘটনার পরও নানাভাবে হেনস্থার শিকার হতে হয় তাকে। জনসমক্ষে স্কুল শিক্ষকের অপমান সেসময় দেশব্যাপী প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল। ক্ষুব্ধ করেছে মানুষকে। কিন্তু ওই ঘটনাতেই হেফাজতে ইসলামকে মাঠে নামলে পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নেয়। সেলিম ওসমানের সাজার দাবিতে মানুষ যখন সোচ্চার ঠিক তখনই আরেকটি সংগঠন খতমে নবুওয়্যাতকে নিয়ে সেলিম ওসমানের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় হেফাজত। ইসলাম অবমাননার ধোঁয়া তুলে তারা শ্যামল কান্তি ভক্তের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করতে থাকেন। সেলিম ওসমান তখন জাতীয় পার্টির নেতা থেকে হয়ে ওঠেন হেফাজতের নেতা। ঘটনা তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠন করা কমিটি শ্যামল কান্তিকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে প্রতিবেদন দেন ও তাকে স্বপদে বহাল রাখার সুপারিশ করেন। কিন্তু সেলিম ওসমানের সমর্থনে নারায়ণগঞ্জে হেফাজত নেতারা শিক্ষামন্ত্রীরও পদত্যাগের দাবি তোলেন। ওসমান পরিবারের গোড়াপত্তন হয়েছিল যার মাধ্যমে সেই ওসমান আলী গত শতাব্দীর ’৪০ এর দশকে নারায়ণগঞ্জে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বজায় রাখার জন্য সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান আন্দোলন শুরু হলে তিনি নারায়ণগঞ্জে বামপন্থী ও অন্যান্য স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় সেখানে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি ধরে রাখার চেষ্টা করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য ছিলেন এম ওসমান আলী। শেখ মুজিবুর রহমানসহ সেসময়ের রাজনীতিবিদরা তাকে অত্যন্ত সমীহ করতেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। এ জন্য তিনি কারারুদ্ধ হন। ১৯৬২ সালের শাসনতান্ত্রিক আন্দোলন, ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ওসমান আলী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বাবার পথ ধরেই রাজনীতিতে এসে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন ওসমান আলীর বড় ছেলে একেএম সামসুজ্জোহা। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে নির্বাচনে তিনি সাংসদ হন। সামসুজ্জোহা বেঁচে থাকতেই তার বড় ছেলে নাসিম ওসমান স্বৈরাচার এরশাদের শাসনামলে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে তিনি সাংসদ হন। পরবর্তীতে ১৯৮৮, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির টিকিটে তিনি এমপি হন। ২০১৪ সালের এপ্রিলে নাসিম ওসমানের আকস্মিক মৃত্যুতে সেলিম ওসমানের সাংসদ হওয়ার সুযোগ আসে। সে বছর উপনির্বাচনে সাংসদ হন এই ব্যবসায়ী। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি সব কিছুতেই তার একচ্ছত্র আধিপত্যের অভিযোগ রয়েছে। তবে সাংসদ হওয়ার আগেই বড় ভাই নাসিম ওসমান ও ছোট ভাই শামীম ওসমানের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা বাণিজ্যকে নিজের কব্জায় নেন তিনি। তবে ওসমান পরিবারের সুখ্যাতির পতন মূলত শুরু হয় ১৯৯৬ সালে শামীম ওসমানের এমপি হওয়ার পর থেকে। সাংসদ নির্বাচিত হয়েই নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে ভয়ংকর রাজনীতিবিদের তকমা লাগে তার গায়ে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে এক কথায় বলতে গেলে প্রায় পুরো নারায়ণগঞ্জ ছিল তার করায়ত্তে। শামীম ওসমান ও তার ক্যাডারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে নারায়ণগঞ্জবাসী। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের এই গডফাদারের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো সাহসও দেখাতে পারেনি কেউ। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির পর শামীম ওসমান প্রথমে ভারতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে তিনি যান কানাডায়। ২০০৬ সালে ফিরে এসে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবির্ভূত হলেও ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের পট পরিবর্তনে আগের দিন তিনি দেশত্যাগ করেন। ফিরে আসেন ২০০৯ সালের এপ্রিলে। ততদিনে তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার পক্ষে কাজ করলেও সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়। কিন্তু শামীম ওসমানের বিরোধিতার কারণে মেয়র পদে থেকেও প্রথম মেয়াদে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে হয় আইভীকে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীকে বাদ দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে শামীম ওসমানকে মনোনয়ন দেয়। একতরফা এই নির্বাচনে এমপি হয়ে নারায়ণগঞ্জে নিজের ভিত্তি আরও শক্তিশালী করেন শামীম ওসমান। গত কয়েক বছরে নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্র ত্বকী হত্যাসহ চাঞ্চল্যকর সাত খুনে ওসমান পরিবারের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে বারবার। ২০০৮ সালে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর দেশে পিরে আসেন ওসমান পরিবারের সকল সদস্যরা। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করলে শামীম ওসমান নির্বাচন করতে না পারলেও চাচী সারাহ বেগম কবরী সংসদ সদস্য হলেও তাকে জীবদ্দশায় আর শান্তিতে থাকতে দেন নাই ওসমান পরিবারের সদস্যরা। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চাচীর উপর নগ্ন হামলা ছাড়াও শামীম ওসমানের অকথ্য ভাষায় আক্রমন ছিলো টক অব দ্যা কান্টি। এরপর আর শামীম ওসমানকে ঠেকাতে পারে নাই কেউ। শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে ওসমান পরিবারের দায়িত্ব তার এমন বক্তব্য দেয়ার পর অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেন ওসমান পরিবারের সকল সদস্যগণ। নারায়ণগঞ্জের সকল সেক্টরে ওসমান পরিবারের আধিপত্য, খুন, গুম, কয়েকটি টর্চার সেল, জমি দখল, বিসিক দখল, সকল ব্যবসাযীদের জিম্মি, জেলা প্রশাসনে ভূমি অধিগ্রহণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট, প্রতিটি ইউপিতে চেয়ারমানদের কোটি কোটি টাকায় পদ পদবী বাণিজ্য, জামায়াত নেতাদের শেল্টার, বিএনপির নেতাদের সাথে ব্যবসা, এলজিইডি, গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ, নদী দখল, জিকে শামীমকে সাথে নিয়ে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, মাদক ব্যবসা, কাজলের মাধ্যমে আদালত নিয়ন্ত্রণ, ডিস ব্যবসা, ইন্টারনেট ব্যবসা, ঝুট ব্যাবসাসহ সকল ধরণের অপরাধ যেন ছিলো প্রতিদিনের রুটিন ওয়ার্ক। ২০০৯ সালের শুরু থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পূর্ব পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জবাসীকে পুরোদমে জিম্মি করে এবং নির্যাতনের স্টিম রুলার চালিয়ে অতিষ্ট করে তুলেছিলো ওসমান পরিবার । প্রকাশ্যে খুন করলেও আইনশৃংখলা বাহিনীও ছিলো জিম্মি ও ম্যানেজ। ওসমান পরিবারের হাত থেকে বাদ যান নাই মেয়র আইভীসহ দলীয় নেতাকর্মীদের অনেকেই। একই সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আইনজীবী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ পত্রিকা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তোলপাড় তোলার পরও দমানো যায় নাই এই ওসমান পবরবারকে। দিনে রাতে সমানতালে আতংকের নগরীতে পরিণত করা ওসমান পরিবারের সকলেই যেন সর্ব সাধারণের উপর হামলা নির্যাতন করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে ১৬ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন নির্বিঘেœ। অত্যাচারের পাল্লা এতোই ভারী হয়ে উঠেছিলো যার প্রতিফলন ঘটে গত ১৯ জুলাই। এদিন বিকেলে শামীম ওসমান ও তাঁর কয়েক শতাধিক অনুসারী আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কে শহরের ২ নম্বর রেলগেইট এলাকার দিকে ধাওয়া দিচ্ছেন। সেখানে শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ (টিটু) গুলি ছোড়েন। শামীম ওসমানের আত্মীয় (অয়ন ওসমানের শ্বশুর) ফয়েজ উদ্দিন (লাভলু), তাঁর ছেলে মিনহাজুল ইসলাম ও শীতল পরিবহনের বাসের পরিচালক অনুপ কুমার সাহা, ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম (২০১৮ সালে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর অস্ত্র উঁচিয়ে ধরে আলোচিত) প্রমুখকে দেখা যায়। নগরবাসীর আনুমানিক ধারনা ওই গুলিতে বাবার কোলে খেলা করার সময় রিয়া গোপ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ ছাড়াও আরো অনেকেই গুলিতে হতাহত হন। গত বছর ১৯ জুলাই শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরা মিছিল বের করেন। একটি উঁচু ভবনের ওপর থেকে মুঠোফোনে ২৯ সেকেন্ডের ভিডিওটি ব্যাপক ভাইরাল হয়। এরপরও ১০/১৫ দিনের জ্বালাও পোড়াও আন্দোরনে কোনঠাসা হয়ে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে পলায়নের সাথে সাথে কর্পূরের মতো উবে যায় ওসমান পরিবারের অন্যতম সিংহপুরুষখ্যাত শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমানের মতো প্রভাবশালীরা। যাদের চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ কথা বলার সাহস করতো না তাদের চোখের সামনেই শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান তাদের সাম্রাজ্য পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা । আর এমন ঘটনার পর চোখের পলকেই পালিয়ে যায় যায় ওসমান পরিাবরের সকল সদস্য এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত অত্যাচারী চক্রের সকল সদস্যরা। এমন ঘটনা নগরীর অনেকেই বলেন, “নব্বই দশকের অ্যাডভেঞ্চার কমেডি-ড্রামা টারজান সিনেমার মতো গাছের লতায় ঝুলে কোন দিকে দিয়ে কোথায় ও কি করে যে এই ওসমান পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে তা শুধু তারাই খুব ভালো করে বলতে পারবে। কাটায় কাটায় সাত মাস পর নানাভাবে শামীম ওসমানের অবস্থান জানান দিয়ে ভারত, আরব আমিরাত ও সবশেষ ৪ জুলাই নানা রহস্যের অবসান ঘটিয়ে প্রকাশ্যে আসেন নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের বহুল আলোচিত সমালোচিত গডফাদার হিসিবে পরিচিত শামিম ওসমান। নিউইয়র্কের জ্যামাইকাতে ঘরোয়া একটি রেস্টুরেন্টে এসে তিনি তার উপস্থিতি জানান দেন তিনি পলাতক থেকে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নিজেদের কর্মকাÐের কারণেই তাদের সম্মান আজ ভূলুন্ঠিত। গুঞ্জন রয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ নিজের ক্ষতি নিজেই না করে ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ তার ক্ষতি করতে পারে না। ওসমান পরিবারের পতন তারই দৃষ্ঠান্ত।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯