আজ সোমবার | ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১ | ৮ শাওয়াল ১৪৪৬ | দুপুর ২:১৭

বন্দরে মসজিদের ইমামের বির্তকিত ফতোয়ায় এলাকায় উত্তেজনা

ডান্ডিবার্তা | ০৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ১:৫২ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
হিল্লা বিয়ে করে মেলামেশার পর ফরজ গোসলের এক ফোটা পানির সাথে ৭০টি ফেরেস্তা থাকে এবং একটি শহীদের মর্যাদা পাওয়া যায়। এমন ফতোয়া নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোমবাড়িয়া বাজার জামে মসজিদের ইমামকে নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইমাম মাওলানা আতিকুল্লাহ তার মসজিদের মোয়াজ্জেম হাফেজ শরীফ উদ্দিনকে এমন ফতোয়া দিয়ে হিল্লা বিয়ে করার জন্য ফুসলানো ও পরে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার থেকে এ বিষয়টি নিয়ে এখারায় গুঞ্জন শুরু হলে গতকাল রোববার এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা ঝড় বইতে থাকে। এমন বির্তকিত ফতোয়া দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় এলাকাবাসীর পক্ষে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকায় ইমামের পক্ষে-বিপক্ষে দু’টি গ্রæপ মুখমোখি অব্স্থান নিয়েছে। যে কোন সময় সংঘাতে লিপ্ত হতে পারে এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের লক্ষনখোলা নাসিক ২৫নং ওয়ার্ডের সোমবাড়িয়া বাজার জামে মসজিদটি সোহাগপুর টেক্সটাইল মিল কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। মিলের অর্থায়নে ইমাম-মোয়াজ্জেমের বেতন ভাতা দেয়া হয়। তবে এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন স্থানীয় মুসল্লীরা। এ মসজিদের ইমাম মাওলানা আতিকুল্লাহ তার মসজিদের মোয়াজ্জেমকে হিল্লা বিয়ের জন্য চাপ দেয়। মোয়াজ্জেম তাতে রাজি না হলে তাকে হাদিয়া দেয়ার প্রলোভন দেখায়। তাতেও রাজি না হলে তাকে ফতোয়া দিয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তাকে হুমকি দেন এ কথা কাউকে বললে তার চাকরি থাকবে না। চাকুরি হারানোর ভয়ে সে দীর্ঘ ৮ মাস এ কথা গোপন রাখে। সে থেকে ইমাম এ মসজিদ থেকে মোয়াজ্জেমকে তাঁড়ানোর জন্য নানা ফন্দি আটতে থাকে। কোম্পানীতে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দেন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে সে এ কথা সোমবাড়িয়া বাজার কমিটিকে জানালে সাথে সাথে বিষয়টি মুসল্লীসহ আলোকাবাসীর মধ্যে ঝড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এ ব্যপারে মোয়াজ্জেম হাফেজ শরীফ উদ্দিন জানান, তাকে একটি হিল্লা বিয়ের জন্য তার মসজিদের ইমাম আতিকুল্লাহ চাপ প্রয়োগ করে। তাকে হাদিয়া দেয়ার প্রলোভন দেখায় এবং বলে হিল্লা বিয়ে করে মেলামেলার পর ফরজ গোসল অনেক ছোয়াবের। গোসলের এক ফোটা পানির সাখে ৭০ ফেরস্তা থাকে অনেক নেকী পাওয়া যায় ও একটি শহীদের মর্যাদা পাওয়া যায়। তাকে বলে তুফি একরাম ফুর্তি করবি। মনে করবি তোর নাইটপ্রেসার হয়েছে। ইমামের কথায় সে ইমামকে বলেছেন, আমি নতুন বিয়ে করেছি আমি আমার স্ত্রীর হক কাউকে দিতে পারবোনা। এতে ইমাম ব্যর্থ হলে তাকে অন্য কাউকে সংগ্রহ করে দিতে বলে। অবশেষে তার চাকুরির কথা চিন্তা করে মাদ্রসা ছাত্র ইমরান হোসেন তার এক বন্ধুকে ইমামে কাছে নিয়ে এলে ইমামের প্রলোভেনে সেই মাদ্রসা ছাত্র রাজি না হওয়ায় ইমাম তার মোয়াজ্জেমের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। এ ব্যপারে ইমাম মাওলানা আতিকুল্লাহর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি ৮ মাস পূর্বের। চৌড়াপাড়া বড় মসজিদের ইমাম প্রয়াত মাওলানা ওবায়দুল্লাহ নাকি তাকে হিল্লা বিয়ের জন্য একজন লোক যোগাড় করে দিতে বলেছিলেন, তাই আমি সরল মনে তার মসজিদের মোয়াজ্জেমকে বলেছিলেন। মোয়াজ্জেম রাজি না হওয়ায় তিনি স্থানীয় একজনকেও রাজি করাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেহ রাজি না হওয়ায় এ বিষয়টি সেখানেই শেষ হয়ে গেছে। এ ব্যপারে এলাকাবাসীর পক্ষে ব্যবসায়ী নূরু জানান, এ মসজিদের ইমাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বির্তকিত কথা বলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের হৃদয়ে আঘাত করে। তার এমন ফতোয়া এলাকায় বিষৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে তাই আমি এলাকার ন্বার্থে থানায় অভিযোগ দায়ের করি যাতে প্রশাসন বিষয়টি হস্তক্ষেপ করে এবং এলাকায় শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে। এ ব্যপারে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পদক শহজালাল বলেন, হিল্লা বিয়ের বিষয়টি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এ নিয়ে এখন কেন কথা উঠবে? মোয়াজ্জেমকে এই ইমাম চাকুরি দিয়েছে। এখন ইমামের কথা সে শুনেনা তাই ইমাম তার প্রতি একটু রাগারি করায় সে ইমামের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রভাকান্ডা ছড়াচ্ছে। আর একটি গ্রæপ রয়েছে যারা এ মসজিদের বিপক্ষে দীর্ঘ ১৬ বছর ছিল তারাই আবার এ মসজিদে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তবে মিল কর্তৃপক্ষ ইমামকে কিছু দিনের ছুটি দিয়েছে এলাকার পরিবেশ শান্ত হওয়ার জন্য। আর মোয়াজ্জেমকে অন্য মসজিদে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ নেয়া হয়েছে। লাঙ্গলবন্দে ¯œান উৎসবে পুলিশ ব্যস্ত থাকায় তদন্তে যেতে পারেনি। এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা