আজ রবিবার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬ | ভোর ৫:৪৫
শিরোনাম:
না’গঞ্জ আ’লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চক্রান্তের অভিযোগ    ♦     না’গঞ্জে কৃষকদলে বিরোধ চরমে    ♦     তারেক রহমানকে নিয়ে ‘দ্য উইক’ “নিয়তির সন্তান”    ♦     জাতীয় পর্যায়ে মেয়েদের ভলিবলে নারায়ণগঞ্জ কলেজ চ্যাম্পিয়ন    ♦     সোনারগাঁয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছত্রছায়ায় খাস জমির মাটি কেটে বিক্রি    ♦     না’গঞ্জে আলোচিত ৭ খুনের ফাঁসির রায় দ্রæত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন    ♦     অটোচালক মাসুদ হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি    ♦     বিচ্ছেদের কারণ গোপন রাখলেন এ আর রহমান    ♦     সোনারগাঁয়ে জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ    ♦     বন্দরে ইমামকে হত্যা চেষ্টা যুবককে ধরে পুলিশে সোপর্দ    ♦    

মহানগর বিএনপিতে রদবদলের আভাস

ডান্ডিবার্তা | ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে আছেন বহিরাগত ব্যক্তিরা। মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন খান ও চাঁদপুরের বাসিন্দা আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্তির দাবি ওঠেছে নেতাকর্মীদের মাঝ থেকে। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহŸায়ক কমিটি আড়াই বছর মেয়াদ পাড় করলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থ সাখাওয়াত ও টিপু। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সাখাওয়াত ও টিপুর বিরুদ্ধে ওঠা চাঁদাবাজি ও মামলা বানিজ্যের বিষয়ে গোপনে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তাদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটিকে ম্যানেজ চেষ্টাও করছেন সাখাওয়াত ও টিপু। কিন্তু শেষ রক্ষা তাদের হচ্ছে না। যে কারনে ১১ এপ্রিল বন্দরের এক অনুষ্ঠানে সাখাওয়াত টিপুর বলয় ত্যাগ করে তাদের নিয়ে সমালোচনা করেছেন মহানগর বিএনপির সদস্য হাবিবুর রহমান দুলাল। সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্ব ব্যর্থ এবং তাদের ব্যর্থতায় মহানগর বিএনপি ৬ খÐ বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় একাধিক সূত্রের খবর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পরবর্তী নেতৃত্বে আসতে যাচ্ছেন মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও আবুল কাউসার আশা। পরগাছা ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে দুটি বৃহত্তর ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের হাতে ওঠতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব। মহানগর বিএনপির লাখো নেতাকর্মী অপেক্ষায় আছে করুন পরিনতিতে সাখাওয়াত ও টিপুর বিদায় দেখার জন্য। কোনো বহিরাগত ও পরগাছা ব্যক্তিদের হাতে আর বিএনপির নেতৃত্ব দেখতে চায় না নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সুত্রে, ব্গিত আওয়ামীলীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডে ৪ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। একইভাবে মহানগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা। তিনি এর আগে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক। খোরশেদের কাছাকাছি আন্দোলন সংগ্রামে ভুমিকা রেখেছেন আশাও। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে খোরশেদ একাধিকবার দীর্ঘ মেয়াদে জেল খেটেছেন। রাজপথ থেকে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশি লাঠিচার্জের শিকার হয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্বে পুলিশ খোরশেদকে যেখানেই পাবে সেখানেই গুলির নির্দেশ দিয়েছিল। মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ করোনাকালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, ভ্যাকসিন ব্যবস্থা, লাশ দাফন কাফনের ব্যবস্থা সহ যাবতীয় কর্মকাÐে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন। ওই সময় তিনি দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী করোনা বীর হিসেবে আলোচিত হয়ে ওঠেন। ২০২২ সালে সিটি নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর গত জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে তার বড় ভাই তৈমূর আলম খন্দকার অন্য একটি দলে চলে গেলেও খোরশেদ তার নীতি আদর্শে বহাল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। তিনি বিএনপির হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে কঠোর ভুমিকা রাখেন। একইভাবে আবুল কাউসার আশা ঐতিহ্যবাহী জালাল হাজীর পরিবারের সদস্য হিসেবে বিএনপির রাজনীতিতে কঠোর ভুমিকা রাখেন। এদিকে ৫ আগস্টের পর সাখাওয়াত ও টিপুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে ব্যাপক। চাঁদাবাজি ও নিরীহ এবং বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে সাখাওয়াত ও টিপুর বিরুদ্ধে। যে কারনে গত ৬ সেপ্টেম্বর বন্দর নবীগঞ্জে নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে গণপিটুনি খান টিপু। ওই দিন কৌশলে সাখাওয়াত সেখানে না গিয়ে বেঁচে যান। শ্রমিকদল নেতা তাজুল ইসলাম শামীমকে বৈষম্যের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয় টিপু। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে নগরীতে আন্দোলন সংগ্রামও চলে। এ ছাড়াও নগরীর দিগুবাবুর বাজারে চটি বসিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় টিপুর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন ব্যবসায়ীরা। দিগুবাবুর বাজারের এক ব্যবসায়ীকে ধরে এনে মিশনপাড়ার হোসিয়ারী সমিতিতে মারধর করেন টিপু। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনেকে জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্টের পর সাখাওয়াত ও টিপুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মামলা বানিজ্যর বিষয়টিসহ নানা বিষয়ে তদন্ত করছে বিএনপির কেন্দ্র গঠিত তদন্ত কমিটি। তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগের প্রমাণও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কিন্তু গত ঈদের পর থেকে তদন্ত কমিটিকে ম্যানেজ করতে প্রতিদিনি ঢাকায় দৌড়াচ্ছেন সাখাওয়াত ও টিপু। এ ছাড়াও তাদের আহŸায়ক কমিটিই আড়াই বছর পার করেছে এবং কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে উদ্যোগ নিতে পারেনি। যে কারনে কমিটি বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত আসতে পারে কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে। পাশাপাশি সাখাওয়াত ও টিপুর বিরুদ্ধে আসতে যাচ্ছে শাস্তিস্বরূপ কোনো সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও আবুল কাউসার আশার নেতৃত্বে একটি ১১ সদস্যের আহŸায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা