জাকির খানের মুক্তিতে আ’লীগে কাপন

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
রাজনীতি থেকে আওয়ামীলীগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কোথায়ও আওয়ামীলীগের তৎপরতা চোখে পড়েনি। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি দাবিদার আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার মাস মার্চেও কোন কর্মসূচি করেনি। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগ ৫ আগষ্টের পর রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছে। সম্প্রতি আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকে এলাকায় ফিরে আসতে দেখা গেলেও গত ৩দিন ধরে তাদেরও দেখা যাচ্ছে না। অনেকে ধারনা করছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খান কারামুক্তি হওয়ার পর আবার তারা এলাকা ছেলে পালিয়ে গেছে। এর কারণ হিসাবে অনেকে বলেন, আওয়ামীলীগের কারণে জাকির খানকে দীর্ঘদিন পলাতক ও কারাবাস করতে হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের গডফাদার খ্যাত সাবেক এমপি শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে একমাত্র প্রতিপক্ষ হিসাবে জাকির খানকে বেছে নিয়েছে। যার কারণে জাকির খান মুক্তি পাওয়ার পর শামীম ওসমান পন্থি যারা পাতি নেতা তাদের সাথে আওয়ামীলীগের পাতি নেতাদের মনে কাপন ধরেছে। যে কারণে ভয়ে তারাও আবার নারায়ণগঞ্জ ছাঁড়া হয়ে গেছেন। অনেকে বলেন, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে জাকির খান একটি র্ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাকির খানের মুক্তিতে শুধু আওয়ামীলীগ নয় অনেক বিএনপি নেতার মনেও ভয় ঢুকেছে। সম্প্রতি আওয়ামীলীগ গোপনে দেশে একটি বিশৃঙ্খলার পায়তারা করেছিল তাও গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতায় তা ব্যস্তে গেছে। এতে করে আওয়ামীলীগের আরেকবার কবর রচিত হলো। আওয়ামীলীগের গোপন মিশনও ব্যর্থ হয়েছে। অনেকে বলেন, আওয়ামীলীগ যে মিশন নিয়ে দেশে রাজনীতিতে পুর্নবাসন হয়েছিল তা তারা বাস্তবায়ন করেছে। যেমন শেখ হাসিনা শেখ মুজিব হত্যার ও যুদ্ধপলাধীদের বিচারের নামে গণতন্ত্রের হত্যা, দেশের সম্পাদক পাচার ও ভারতে খুশি করা। দেশের মানুষকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে দেশের অবস্থা নাজুক করাই ছিল আওয়ামীলীগের মিশন। আর কিছু দিন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্যের মত গন্যহত। বিগত ১৬টি বছর মানুষ ভারতে অন্যায় অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করতে হয়েছে আওয়ামীলীগের পররাষ্ট্রনীতির কারনে। শেখ হাসিনা বলেছিল আমি ভারতকে যা দিয়ে তা ভারত ভুলতে পারবেনা। এভাবে ভারতের তোষামুদি করে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র বারবার হত্যা করে নানা চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থকেতে চেয়েছিল। এদিকে গত সোমবার বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর রমনা বটমূলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করে বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, আর দাফন হয়েছে দিল্লিতে। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ছাত্র-জনতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিহাস হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ‘বৈশাখী শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তা-এসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ, যা নষ্ট করার জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামীলীগ কখনো বাংলাদেশের ভাল চায়নি। তারা চেয়েছে ভারতের সুযোগ সুবিধা। এ জন্য তারা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের রাজনীতির মৃত্যু হয়েছে এমন মন্তব্যকে অনেকে সঠিক বলে আখ্যায়িত করেন।