আজ রবিবার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬ | রাত ১০:৩১

নাসিক ২৫নং ওয়ার্ড সচিবের কাছে জিম্মি এলাকাবাসী

ডান্ডিবার্তা | ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি
বন্দরের নাসিক ২৫নং ওয়ার্ডস্থ সচিব ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি সিটি করপোরেশন। যার কারণে ইমরাহ হে৯াসেনের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনের অবিযোগ দেয়ার পরও নাসিক কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নাসিক ২৫নং ওয়ার্ডে নাগরিক সেবায় ঘোষ বাণিজ্য এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ, পূর্বে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে অভিযোগ স্থানীয় পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে নিউজ হয়েছে, কিছুদিন না যেতেই নসিক ২৫নং ওয়ার্ড সচিব ইমরানের বিরুদ্ধে আবারও এলাকাবাসীর অভিযোগ সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ২৫নং ওয়ার্ড বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ সিটি করপোরেশেনর নির্ধারিত ফি বাইরে অতিরিক্ত টাকা না নিয়ে কোন কাজ তার দ্বারা হয় না। জন্ম/মৃত্যু নিবন্ধনের সার্টিফিকেটের জন্য সে নানা অযুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। সে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের বলে সিটি কর্পোরেশন যাতায়ত, ডিসি অফিসে যাতায়ত, সার্ভার সমস্য, ওটিপি আসছে না এমন অযুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। আর টাকা ছাড়া তার কাছে কোন কাজ হয়না। আর ওয়ারিশ সনদের জন্য হাতিয়ে নিচ্ছে ৮/১০ হাজার টাকা। সেবা প্রার্থীরা এক প্রকার জিম্মি হয়ে তাকে টাকা দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। যারা টাকা দিতে পারেনা তাদের কাজ হয়না। সেবা প্রার্থীরা এক প্রকার জিম্মি হয়ে তাকে টাকা দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। যারা টাকা দিতে পারেনা তাদের কাজ হয়না। তাদের ফাইল টেবিলেই পড়ে থাকে। সিটি কর্পোরেশন পর্যন্ত পৌছায় না। এছাড়াও ভোটার আইডি সংশোধনের হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। আর গ্রাহকরা তার পিছনে মাসের পর মাস ঘুরে অতিষ্ট হয়ে অবশেষে নিরুপায় হয়ে বসে থাকে। স¤প্রতি দক্ষিন লক্ষখোলার রাসেল নামের এক ব্যক্তির নামের একটি সংখ্যা সংশোধন করার জন্য ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে রাসেল সিটি কর্পোরেশন এক কর্মকর্তার কাছে জানতে পারেন। এ কাজের ফি মাত্র ১৩০ টাকা। আর সে হাতিয়ে নেয় ২০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় সচিব ইমরানের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের বয়স্ক ভাতা, টিসিবি কার্ড, মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড ও ফ্যামেলি কার্ডগুলি তার নিজ আত্বীয়রা পাচ্ছে। আর কিছু কার্ড সে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছে। স্থানীয়রা জানান, সে অনলাইন জুয়ার সাথে জড়িত। তাই সে জুয়ার টাকা যোগাতে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সে তার অফিসের আশ পাশের কম্পিউটার দোকানগুলির সাথে সখ্যতা গড়েছে এ জন্য তাকে প্রতিদিনের কাজের মাসোয়রা দিতে হয়। স্থানীয় রনি জানান, তার জন্ম নিবন্ধনের জন্য সচিব ইমরানের কাছে গেলে ৫০ টাকা ফ্রি পরিবর্তে ৩০০ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় তাকে নানা ভাবে হয়রানী করে। কিছু দিন আগে এ বিষয়ে সচিবদের মনিটরিং করা প্রশাসনির কর্মকর্তা ইমাম হোসেনের সাথে কথা হলে জানান, আমরা প্রায় সময় খোঁজ নিলেও সচিবরা তাদের নিজস্ব লোকদিয়ে আমাদের সাথে কথা বলায়। যারা ভূক্তভোগী তাদের সাথে বলার সুযোগ হয়ে উঠে না। তবে আমি সিও স্যারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। কিন্তু ১ মাস অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি নাসিক। এতে করে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে বলছেন আমরা নাসিকের টেক্স দেয়া বন্ধ করে দেব।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা