আজ রবিবার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬ | রাত ১০:৩৪

আতঙ্কে আ’লীগের অপরাধীরা

ডান্ডিবার্তা | ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
কোটাবিরোধী গণআন্দোলনের তোপের মুখে ক্ষমতা হারায় আওয়ামী লীগ। ওই দিন দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর। সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েন। নেতাকর্মীরা চলে যান আত্মগোপনে। একের পর এক মামলার গ্যাড়াকলে দুর্বিসহ হয়ে পড়েছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। তবে, বর্তমান সরকারের অব্যাহত চাপের মুখেও দলকে সংগঠিত করাই এখন আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় বিভিন্ন দিবস পালনের ডাক দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। তবে, তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সারির নেতৃবৃন্দ। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের একাধিক প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সরকার আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট বলে। অথচ তারা নিজেরাই যে সবচেয়ে বড় ফ্যাসিস্ট, মানুষ সেটি দেখেছে। দেখেছে, কীভাবে আমাদের কর্মীদের উপর হামলাসহ মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। এবার যে অভিজ্ঞতা তাদের হয়েছে, সেটির প্রেক্ষিতেই দলটি আগামীর কর্মসূচি গ্রহণ করবে। তবে আপাতত সরকারবিরোধী বড় কোনো কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা দলটির নেই বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নেতারা। জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আত্মগোপনে থাকার পরও আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনাকে অনুসরন করেই তারা মাঠা নামবে বলে জানানো হয়। কিন্তু নেতারা যেখানে ‘আত্মগোপনে’, সেখানে কর্মীদের দিয়ে কি কর্মসূচি সফল করা যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ কর্মী নির্ভর রাজনৈতিক দল। ফলে কে নেতা বা তারা কোথায়, সেটা বড় কথা না। কর্মসূচি দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো নীতি’তে সামনে এগোতে চায় আওয়ামী লীগ। এদিকে বর্তমান রাজনীতির বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতা কর্মীরা তাদের অভিমতে বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পর হামলার ভয়ে জেলার বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছিলেন। গত তিন মাসে পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়ে আসায় তাদের কেউ কেউ নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু স¤প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ঘোষণার পর আবারও ঘর ছাড়তে হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এদিকে সাধারন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষোভের সাথে বলেন,নিজেরা নিরাপদে থেকে বিদেশে বসে বসে নেতারা যে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন, তারা কি আমাদের কথা ভাবেন? ভেবে থাকলে এমন কর্মসূচি তারা এখন কীভাবে ঘোষণা করেন? একই সুরে কথা বলেছেন তৃণমূলের অন্য নেতারাও। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা দলীয় কোনো কর্মসূচিতেই অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের এক নেতা বলেন, “দলের জন্য যথেষ্ঠ ত্যাগ স্বীকার করেছি। তাতে লাভ কী হয়েছে? মার খাই আমরা, রক্ত দিই আমরা, আর হাইব্রিড নেতারা এসে অর্থ-সম্পদের মালিক হয়। আওয়ামীলীগের তৃনমুল নেতাকর্মীরা মনে করেন যে, জুলাই-অগাস্টের ছাত্র আন্দোলন দমনে সরকার ও দলের বিতর্কিত ভূমিকার জন্য আওয়ামী লীগের দুঃখপ্রকাশ করা উচিৎ। তাছাড়া, দলের ভুল যে হয়েছে, সেটা তো অস্বীকার করার উপায় নাই। এখন টপ লিডারদের ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা