আজ রবিবার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬ | দুপুর ১:৩৬

নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপি-জামায়াত

ডান্ডিবার্তা | ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
‘রাজনীতিতে শেষ বলে কিছুই নেই’—বেশ প্রচলিত প্রবাদটি আবার আলোচনায় এলো। পরিবর্তনের বাংলাদেশে প্রতিদিন নানা সমীকরণ সামনে আসছে। শেখ হাসিনা-পরবর্তী দেশে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কিছু ইস্যুতে দূরে দূরে থাকলেও জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে হঠাৎ করেই কাছাকাছি আসছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান থেকে দুই দলের এখন প্রায় একই সুর। দ্রæত নির্বাচনের দাবিতে চাপ বাড়ানো হচ্ছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকারের ওপর। উভয় দলের নেতারা বলছেন, অন্তর্র্বতী সরকার নির্বাচন নিয়ে যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে। গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানামুখী বিতর্ক শুরু হয়। বিশেষ করে বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতের মধ্যে বৈপরীত্য দেখা দেয়। নির্বাচন ইস্যুতে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য রাজনীতিতে উত্তাপও ছড়ায়। বিএনপি চায় চলতি বছরের জুনে কিংবা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী বলে আসছে—রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, তারপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এখন জামায়াত বলছে, তারা আগামী রমজানের আগেই সংসদ নির্বাচন চায়। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অবশেষে জামায়াতে ইসলামীর দাবি কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। এখন নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির অবস্থানের কাছাকাছি পর্যায়ে চলে এসেছে দলটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, স¤প্রতি লন্ডনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের বৈঠকের পর নির্বাচন ইস্যুতে জামায়াতের সুর বদলেছে। প্রসঙ্গত, আগামী বছরের ১৬ ফেব্রæয়ারির (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) পর রমজান শুরু হবে। তার আগেই নির্বাচনের পক্ষে জামায়াত। জানা যায়, অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এরই মধ্যে কয়েকবার বলেছেন যে, দলগুলো বড় ধরনের সংস্কার চাইলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে আর ছোট আকারের সংস্কার চাইলে নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বরে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ঈদ অনুষ্ঠানে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন আয়োজনের বিরোধী বিএনপি। তারা চলতি বছরের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায়। বিএনপির এই দাবির পক্ষে রয়েছে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল। আর জামায়াতের দাবি ছিল, সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন। অন্যদিকে, জুলাই আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবি—আগে সংস্কার ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং সবশেষে জাতীয় নির্বাচন। আবার গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিও তুলছে এনসিপি। দলটির আহŸায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া এনসিপি নির্বাচনে যাবে না। পাশাপাশি অন্তর্র্বতী সরকারকে ৫ বছর ক্ষমতায় রাখার কথাও শোনা যাচ্ছে। এ নিয়েই রাজনীতির মাঠে চলছে নানা আলোচনা। এসব কিছুর মধ্যেই আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)! নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার গতকাল বুধবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্য ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। প্রাক-প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো গুছিয়ে জুন-জুলাইয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে। আর আগামী অক্টোবরের আগে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি। দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় আগস্ট-সেপ্টেম্বর বা সম্ভব হলে তার আগে করা হবে। এদিকে, নিজেদের অবস্থান মোতাবেক ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে বুধবার আবারও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। দীর্ঘ পৌনে দুই ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠক শেষে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো তাকে জানিয়েছি। যার মধ্যে প্রধান ছিল নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ। আমরা বলেছি, বর্তমানে রাজনৈতিক যে পরিস্থিতি আছে এবং দেশের যে অবস্থা, তাতে আমরা বিশ্বাস করি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। কিন্তু বৈঠকের পর আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, ডিসেম্বর মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। এদিকে, আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী। কেননা, আগামী নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বর্ষা, বিভিন্ন ধরনের ঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। তাই আগামী বছরের প্রথম রমজানের আগেই নির্বাচনের পক্ষে জামায়াত। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বুধবার দুপুরে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন। গুলশানে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশনের বাসায় এ বৈঠক হয়। ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমাদের ভিউ হচ্ছে, এটা (নির্বাচন) রমজানের আগেই শেষ করতে হবে। জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বর্ষা, বিভিন্ন ধরনের ঝড়ঝাপটা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে, তখন আবার ইলেকশনটা (নির্বাচন) অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। সে জন্য আমরা চাইছি, ওই আশঙ্কার আগেই যেন নির্বাচন হয়ে যায়। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। লন্ডনে খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় তাদের এ সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুই সপ্তাহের সফর শেষে সোমবার সকালে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান দেশে ফেরেন। ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এখনো ফেরেননি। জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জামায়াতের আমির বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমরা একসঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছি। উনি অসুস্থ। তার খোঁজখবর নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বহুদিন পর আমাদের দেখা হয়েছে। আমরা তার জন্য দোয়া করেছি, তার কাছে দোয়া চেয়েছি। প্রসঙ্গত, লন্ডনে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় আছেন খালেদা জিয়া। তিনি সেখানে থেকে লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত¡াবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারেক রহমানের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, দুজন মানুষ একসঙ্গে হলে তো অনেক কথাই হয়। অনেক কথাই হয়েছে। তবে তিনি এর বেশি কিছু আর বলতে চাননি। এসব বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু কালবেলাকে বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে জামায়াতের আমিরের বক্তব্যের পেছনে লন্ডনের বৈঠকের একটা প্রভাব তো থাকতেই পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে তারা গণতন্ত্রের পক্ষে ভূমিকা নেওয়ায় তাদের রাজনীতি, সংগঠন ও সংগ্রামকে দেশবাসী ইতিবাচকভাবেই নেবে। দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স কালবেলাকে বলেন, লন্ডনে বৈঠকের বিষয়টি গণমাধ্যমে জেনেছি। জামায়াত প্রথমদিকে দ্রæত নির্বাচনের কথা বললেও মাঝখানে বলেছে আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। কিন্তু এখন আবার বলছে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন। অর্থাৎ সেটি হলে ২০ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। আমরাও ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছি। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ কালবেলাকে বলেন, যেহেতু সংস্কার প্রক্রিয়াটা চলমান। ধারাবাহিকভাবে সরকার সব দলের সঙ্গে মতবিনিময় করছে। তারা বলছে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে সেগুলোতেই তারা সংস্কার করবে। কোনো বিষয়ে শতভাগ ঐক্য কখনো হয় না। ন্যূনতম বিষয়ে ঐকমত্য হওয়া অনিবার্য। বেসিক পয়েন্টে ঐকমত্য সবাই আশা করে, আমরাও করি। জাতিও সেটা প্রত্যাশা করে। সুতরাং সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া এখন একটা পর্যায়ে এসেছে। ঐকমত্য কমিশন যদি সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করতে পারে তাহলে তো আমাদের দাবিই পূর্ণ হয়। কারণ আমরা আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন চাই। সেই প্রেক্ষিতেই তিনি (জামায়াত আমির) মৌখিকভাবে সেটি বলেছেন। তিনি তো নির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ বলেননি। এটার পেছনে লন্ডনের বৈঠকের প্রভাব রয়েছে বলে মনে হয় না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ৫ আগস্টের পরে সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে জামায়াতের যে অবস্থান ছিল সেটি বিএনপির সঙ্গে মেলে না। এখন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আগামী বছরের রমজানের আগেই সংসদ নির্বাচন হওয়া দরকার মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি এক ধরনের পরিবর্তন। এই পরিবর্তন হয়তো লন্ডনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের বৈঠকের ফল। নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপি-জামায়াতের কাছাকাছি অবস্থান প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো ধীরে ধীরে কাছাকাছি আসারই কথা। কারণ সব রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য হলো ক্ষমতায় যাওয়া। আর ক্ষমতায় যাওয়ার নিয়মতান্ত্রিক পথ হলো নির্বাচন। সুতরাং এতদিন ধরে তাদের যে মতবিরোধ ছিল এগুলো প্রধানত কোনো কোনো দলের নিজেদের ব্যাপারে অতিরিক্ত মূল্যায়নের কারণে। আস্তে আস্তে অনেক দলই নিজেদের সামর্থ্য বুঝতে পারবে। এর ফলে তারা আগে যেমনিভাবে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছে, তেমনিভাবে তারা প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক শাসন প্রতিষ্ঠা ও নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণে অচিরেই আরও বেশি একতাবদ্ধ হবে। বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে এটাই হওয়া উচিত। তিনি বলেন, জামায়াতের আমিরের বক্তব্যের পেছনে অবশ্যই লন্ডনের প্রভাব আছে। বিএনপি চেষ্টা করছে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে। বিএনপির নির্বাচনের দাবিকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমি যতটুকু বুঝতি পারছি, বিএনপি দ্রæত প্রয়োজনীয় সংস্কার সেরে নির্বাচন চায়। জবাবদিহিমূলক শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এইটাই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। সবাইকে জবাবদিহিমূলক শাসন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকে প্রাধান্য দেওয়ার রাজনীতি করা উচিত। অন্যথায় তৃতীয় পক্ষ সুবিধা নিয়ে নিতে পারে।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা