আজ রবিবার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬ | রাত ১০:৪৫

গ্রেফতার আতঙ্কে আ’লীগ নেতারা লাপাত্তা

ডান্ডিবার্তা | ২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা গত ৫ আগষ্টের পর থেকে পালিয়ে রয়েছে। আবার অনেকেই ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়ে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছে। এখানকার প্রভাবশালী এমপি থেকে শুরু করে নেতারাও পালিয়ে রয়েছে। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের একটি অংশ নানা অপকর্ম করে বিত্তশালী বনে যাওয়া নেতারা পালিয়ে গিয়ে ঠিকই রাজকিয় জীবন যাপন করছে। কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া কর্মী কিংবা অনুসারীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়ি ঘড় ছাড়া হয়ে অসহায় জীবন পার করছে। আট মাসে অনেকের পরিবার বা তাদের সন্তানদের দেখা পায়নাই। অথচ মাস আটেক আগেও তারা দাপুটের সাথে চলেছে। এমনকি সমাজের বিভিন্ন জায়গায় নেতৃত্ব দিয়েছে। তারাই আজ অসহায় হয়ে ফেরারি জীবন পার করছেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক দলের কয়েকজন আলোচিত প্রভাবশালী নেতা রয়েছে যারা সব সময় আলোচনা সমালোচনায় থাকতেন। আবার তাদের মধ্যে অনেকে দেশত্যাগ, পলাতক ও কারাবন্দি জীবনে থাকায় এই কয়েক মাসে তাদের অনেক অনুসারি কর্মী হারিয়ে গেছে। এরপরও ক্ষমতার পালা বদলে তাদের নাম সব সময় রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখে থেকে যায়। তবে প্রভাবশালী নেতাদের নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করে যায় কর্মীদের মধ্যে। এর ফলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া নেতারা পালিয়ে গেলেও তাদের অনুসালীদের পদবীহিন কর্মীরা এখন অপর আরেকটি দলের পালে ভীরতে শুরু করেছে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালীদের মধ্যে আলোচনায় ছিলেন আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান, গোলাম দস্তগীর গাজী, নজরুল ইসলাম বাবু, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, অয়ন ওসমান, জাতীয় পার্টির প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমান, সেলিম ওসমান, লিয়াকত হোসেন খোকা। এদের মধ্যে ক্ষমতা পালা বদলের নিজের রঙ প্রকাশ হয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতা বিহীন বিএনপি একক প্রভাব রয়েছে পুরো নারায়ণগঞ্জ জুড়ে। বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির টানা ক্ষমতা থাকায় পলাতক থাকা ও নব্য নেতারা ও তাদের ছেলে-ভাতিজারা পুরো নারায়ণগঞ্জ রাজত্ব কায়েম করে ছিলো। এতে করে সাধারণ মানুষ সহ ব্যবসায়ী মহলের মধ্যে ছিলো আতংক ও ভয়ভীতি। এদিকে গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত এমপি মেয়র মন্ত্রীরা গা-ঢাকা দিয়েছেন। এদের আত্মগোপনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা পালিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ রাজনীতিতে নেতাদের পলায়ন শুরু হয় ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সমাপ্তর মাধ্যমে। চারদলীয় জোট সরকার আগমনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান পরাজিত হওয়ায় বোরকা পড়ে পালিয়ে যান বলে জানান তার প্রতিপক্ষ বিএনপির এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। এর আট বছর পর ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার আমলে পলাতক জীবন থেকে ফিরে দেশে আসেন শামীম ওসমান। ওই সময় নেতা-কর্মীদের জাগ্রত করার লক্ষ্যে ওসমানী স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা আয়োজন করে। তিনি আওয়ামীলীগের কোন পদে বা ক্ষমতা চেয়ার না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠে। ২০১১ সালে জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে তৎকালীন এমপি কবরী সারোয়ারের সামনে আনোয়ার হোসেন সহ কয়েক নেতার উপর চড়া হয়ে আবার আলোচনা আসেন শামীম ওসমান। এর কয়েকদিন পর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়াইয়ে আইভীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন শামীম ওসমান। এতে করে দল তাকে অঘোষিত মনোয়ন দিলেও বিদেশের মাটির্তে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী মেয়র আসতে বলে মন্তব্যে করেন। এছাড়া বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকার আমলে জেলা প্রশাসনের সাথে অমিল থাকলেই শামীম ওসমান জনসভা বা সমাবেশ ডাক দেয়া হত। এতে পুরো নারায়ণগঞ্জ জুড়ে তার সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের শাসনের মত বক্তব্যে রাখতেন এমন মন্তব্যে করেছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। গত বছরের ৫ আগষ্টের পরে শামীম ওসমানের অনুসারী থেকে শুরু করে তার দলের নেতাকর্মীরা পালিয়ে থাকায় নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির মাঠ এখন জামায়াত বিএনপির অনুকুলে। তাছাড়া পাড়া মহল্লার কর্মীরা পলাতক থেকে অসহায়ত্ব জীবন পার করছেন। আবার অনেকে কোন রকম রক্ষা পেতে অন্য দলে ভিড়ে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টায় আছেন।
ই-




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা