আজ রবিবার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬ | রাত ১০:৩৮

মহানগর বিএনপিতে পরিবর্তনের হাওয়া

ডান্ডিবার্তা | ২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সদর-বন্দর আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি, সিটি কর্পোরেশনের চারবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার। সম্ভাব্য ৪জন প্রার্থীর উপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনলাইন ভোটিং জরিপ চালানো হয়। জরিপে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন খোরশেদ এবং খোরশেদের অর্ধেক ভোট পেলেও সেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন মহানগর বিএনপির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। গত শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘন্টা এই ভোটিং কার্যক্রমে জরিপে মোট ৭২৩ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী ভোট প্রদান করেন। যার মধ্যে ৩৫৩ ভোট পান মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ অর্থাৎ মোট প্রদানকৃত ভোটের ৪৮ পারসেন্ট। ১৭৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হোন সাখাওয়াত হোসেন খান, যেভাবে তার পারসেন্টেজ ২৪। ভোটিংয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রতি প্রশ্ন রাখা হয় যে, সদর-বন্দর আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে আপনি কাকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় প্রার্থী মনে করেন? চারজন প্রার্থীর মধ্যে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সাখাওয়াত হোসেন খান ছাড়াও ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। জরিপে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ১০৯ ভোট পান, যা ভোট প্রদানের ১৫ পারসেন্ট এবং ৫১ ভোট পেয়ে ৪র্থ হোন আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যা মোট ভোট প্রদানের ৭ পারসেন্ট। এ ছাড়াও এই ৪জন প্রার্থীর বাহিরে বিকল্প প্রার্থী অপশনে ৩৪জন ভোট প্রদান করেছেন, যা মোট ভোটের ৪ পারসেন্ট। জরিপটি ৭ হাজার ৩শতাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে পৌছে দেয়া হলেও মোট ভোট প্রদান করেছেন ৭২৩ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী। এসব ভোটারদের মধ্যে বেশির ভাগ ছিলেন মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। তারা তাদের ভোটের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করেছেন এবং সবচেয়ে বেশি যোগ্য মনে করেছেন খোরশেদকে। তবে এই জরিপ প্রকৃত সাধারণ জনগণের কিংবা স্থানীয় আসনের সকলের প্রকৃত জরিপ নয়। এটা শুধুমাত্র ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিয়ে ভোটিং অনলাইন জরিপ কার্যক্রম। অন্যদিকে স্থানীয়দের সূত্রে, প্রয়াত বিএনপি নেতা শহর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে করে পরাজিত হয়েছিলেন আবুল কালাম। পরবর্তীতে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হোন তিনি। ২০১৭ সালে মহানগর বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হোন কালাম। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সাখাওয়াতকে আহŸায়ক ও টিপুকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এর আগে আবুল কালাম ২০০৯ সালের নির্বাচনে পরাচিত হোন। ২০১৪ ও ২০২৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এখানে প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়ন পান আবুল কালাম ও খোরশেদ। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট জোট করায় জোটের প্রার্থী হিসেবে নাগরিক ঐক্যর উপদেষ্টা প্রয়াত এসএম আকরাম ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত হোন। ওই নির্বাচনে সাখাওয়াত প্রাথমিকভাবেও দলের মনোনয়ন পাননি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে বেশি ভোটের ওয়ার্ড হলো ১৩নং ওয়ার্ড এবং নগরীর মাঝামাঝি এলাকা অর্থাৎ মুল এলাকা। এই এলাকায় ৪বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর খোরশেদ। করোনাকালে তার জীবন ঝুঁকি নিয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, নিহতদের লাশ দাফন কাফনের ব্যবস্থা করে দেশ ও বিদেশে আলোচিত হোন খোরশেদ। বিশ্বব্যাপী তিনি করোনা বীর হিসেবে পরিচিতি পান। জনপ্রিয় কাউন্সিলর খোরশেদ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সেই সময় থেকে আরো বেশি। একইভাবে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদে প্রায় দীর্ঘ ১০ বছরের কাছাকাছি সময় দায়িত্ব পালন করে সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর ও বন্দর থানাধীন প্রতিটি এলাকায় নেতাকর্মী তৈরি করেছেন খোরশেদ। একমাত্র খোরশেদের প্রতিটা এলাকায় বিশ্বস্থ নেতাকর্মী রয়েছে। একজন স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে খোরশেদ সুপরিচিত। সেটা অনলাইন জরিপেও প্রমাণ করেছেন। রাজনৈতিক মারপ্যাচে এবং বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কারনে নেতৃত্বে পিছিয়ে পড়লেও সাধারণ নেতাকর্মী সমর্থক ও জনগণের মাঝে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের জনপ্রিয়তা কমেনি এত্তটুকুও।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা