আজ রবিবার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬ | রাত ১০:৩৮

তেলবাজ দিদার এখন জাকির খানের!

ডান্ডিবার্তা | ২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
মহাধূর্ত তেলবাজ দিদার খন্দকারকে নিয়ে নগরীতে সমালোচনার ঝড়, সেলিম ওসমানের সেই দিদারের মুখে এবার ‘জাকির খান’ বন্দনা শুনে নানা প্রকার মন্তব্য করছেন ত্যাগী ও বিগত ১৭ বছরে হামলা, মামলায় জর্জরিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা। তেলবাজ বহুরূপী দিদার খন্দকারের জন্য অনেকটা বেকায়দায় ত্যাগীরা। ১৭ বছরের দাপটে তেলবাজ বহুরূপী দিদার বর্তমানে এখন অবস্থানে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের নির্দেশ স্বৈরাচারী সরকারের কোন নেতা বা কর্মীর সাথে একটা ছবি থাকলেও ওই লোক বিএনপিতে দরকার নাই। তার এমন ডজন খানিক বিবৃতিতে দোয়াশায় তৃনমুল বিএনপি। দিদার খন্দকার ১৭ বছর ওসমান পরিবারের দোসর হয়ে বিশাল দাপটে ছিল, বর্তমানে কথা বলার আগে জাকির খানের নাম ভাঙ্গিয়ে বেশ দাপটে। দিদারদের মত বহুরুপীদের কাছ থেকে দল ও সংগঠনের ত্যাগীরা মুক্তি চায়। স¤প্রতি নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘জাকির খান শুধু নারায়ণগঞ্জে নয়, সারা বাংলাদেশে একটি ব্র্যান্ড” এমন শিরোণামে ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার খন্দকারে উদৃতি দিয়ে গুরুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশ করে। যা দেখে খোদ বিএনপির অনেকেই ক্ষোভে ফেটে পরে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তোলেন। এমন কঠোর সমালোচনার ঝড় তোলার কারণে স্থানীয় দৈনিকে ফের সেই দিদদার খন্দকরের নানা কুকীর্তি তুলে ধরে প্রদিবেদন প্রকাশ করে। সদর-বন্দরআসনের সাবেক সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের অত্যান্ত ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক ও ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার খন্দকারের মুখে এবার শোনা গেলো জাকির খান বন্দনা। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে একটি ব্রান্ড বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, দেশের গন্ডি পেড়িয়ে জাকির খান নাকি আর্ন্তজাতিক পর্যায় চলে গেছে। বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতারা নাকি জাকির খানের মুক্তির পক্ষে নেই। অপরদিকে দখলবাজ, চাঁদাবাজ ও লুটপাটকারিরাও নাকি চান না জাকির খান মুক্তি পাক। এখন প্রশ্ন হলো তিনি দখলবাজ, চাঁদাবাজ ও লুটপাটকারি বলতে কাদের বুঝাতে চেয়েছেন ? কারণ, ৫ আগস্টের পর সর্ব প্রথম তার বিরুদ্ধেই দখলের অভিযোগ আসে মিডিয়ার কাছে। ওই অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে শহরের ১নং খেয়াঘাটটি ছিলো মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনুর আন্ডারে। তার হয়ে ঘাটটি পরিচালনা করতো সাইফুল ইসলাম রিয়েল। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার সরকার পালিয়ে যাওয়ার খবরে তারাও চলে যান আত্মগোপনে। সেই সুযোগে পুরোপরি ঘাটটির দখলে নেয় দিদার খন্দকার। এর আগে আরও কয়েকটি গ্রæপ ঘাটটি দখলে নিতে চাইলেও দিদারের প্রভাবের সাথে তারা আর পেরে উঠতে পারেনি। সেই থেকে ঘাটটি তিনিই পরিচালনা করে আসছে একাধীক সূত্রে জানা গেছে। তবে দিদার ঘাটটি পাওয়ারে এনে দখল করেছেন বলে তার ঘনিষ্টজনরা দাবি করেন। কিন্তু দিদারের এ পাওয়ারে আনা বিষয়টি নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। মহানগর বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধীক নেতা বলছেন, যদি তিনি এ ঘাটটি পাওয়ার এনে থাকেন, তাহলে বুঝা যাচ্ছে তার সাথে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে যোগাযোগ আছে। কেননা, যোগাযোগ না থাকলে তিনি কিভাবে ঘাটটির পাওয়ার আনলেন। আমরা তো জানি, এ ঘাটটি মূলত যুবলীগ নেতা সাজনু ইজারা নিয়ে পরিচালনা করতো। তাহলে প্রশ্ন হলো, তিনি কিভাবে সাজনুর কাছ থেকে পাওয়ার আনলেন দিদার ? পাওয়ার তো আর ফোনে দেওয়া যায়না। এটার জন্য দস্তখাতের প্রয়োজন। সুতরাং এ থেকেই স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে তার সাথে ওই নেতাদের যোগাযোগ কিংবা সখ্যতা আছে। এতো গেলো তার দখলের বিষয়। কিন্তু গত ২৪ নভেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে তিনি আরও একটি আশ্চর্যজনক বিষয় উল্লেখ করেছেন। বিবৃতির শেষাংশে তিনি বলেছেন আওয়ামী লীগ শাসনামলে সাবেক সাংসদ সেলিম ওসমান জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা মহিউদ্দিন বাহার লিটনকে দিয়ে নাকি জাকির খানকে কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিনিময়ে জাকির খানকে জাতীয় পার্টিতে ফিরে আসতে হবে। তিনি এ প্রস্তাবে রাজি হলে তাকে সকল মামলা থেকেও অব্যাহতি দেয়ার ব্যবস্থা করবেন সেলিম ওসমান। কিন্তু জাকির খান সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন নি, প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে সেদিন জাকির খান সেই সময় সেলিম ওসমানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও লোভে পড়ে সেলিম ওসমানের অন্য একটি প্রস্তাবে রাজী হয়ে তার সাথেই থেকে যান দিদার খন্দকার। বিএনপির করলেও তখন তিনি জাতীয় পার্টির এ এমপিকে দিয়েই ঘাটে রাজত্ব শুরু করেন। দীর্ঘ প্রায় ১ যুগেরও অধিক সময় তিনি সেলিম ওসমানের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে কোটি কোটি টাকার মালিক হন। ওই সময়ে গোটা নারায়ণগঞ্জের সবাই জানতো দিদার সেলিম ওসমানের লোক। একটা সময় দিদার-সেলিম ওসমানের সর্ম্পক এতটাই ঘনিষ্ট হয়ে যায় যে, বিএনপিকে ভুলে গিয়ে, জাকির খানকে ভুলে গিয়ে তিনি সারা শহরে সেলিম ওসমানের সাথে নিজের ছবি দিয়ে পোষ্টার ব্যানার ছাপিয়ে সাটিয়ে দেন। এছাড়া সেলিম ওসমানের অসুস্থ্যতার সময় দিদার নিজ উদ্যোগে তার সুস্থতা কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করিয়েছিলেন। তখন দিদার খন্দকারের কোথায় ছিলো জাকির খান। আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে বিদেশে ও দেশে পালিয়ে থেকে জাকির খান যখন অর্থ কষ্টে ছিলো তখন কোথায় ছিলো এই দিদাদর খন্দকারের মেতা এতো দরদী নেতারা ? পলাতক থাকাবস্থায় জাকির খানের পরিবারের পক্ষ থেকে শামিীম ওসমান এবং সেলিম ওসমানের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো জাকির খান যাতে আইনী সহায়তা পেতে পারে দেশে এসে সে ক্ষেত্রে এই দিদার খন্দকার কি বলেছিলেন সেলিম ওসমানের কাছে ? সব কিছুই জাকির খানের অজানা নয়। কান ভারী করে নানা ভাবেই তিনি সেলিম ওসমানের বিশ্বস্ততা অর্জন করে দীর্ঘদিন এ ঘাটটিও পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান দিদার খন্দকার। সেই টাকায় বিশাল অট্টালিকাও গড়েন তিনি। তবে একটা সময় সেলিম ওসমান টেড় পেয়ে যান যে, তাকে অন্ধকারে রেখে ঘাট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন দিদার খন্দকার। এরপর তিনি দিদারকে সরিয়ে এ ঘাটের দায়িত্ব দেন মহানগর যুবলীগ সভাপতি সাজনুকে। সেই সুবিধাবাদি দিদারের মুখে এবার জাকির খান বন্দনা শোনে খোদ জাকির খান অনুসারী বিএনপি নেতাকর্মী থেকে শুরু করে মহানগর বিএনপির নেতারাও এর ক্ষোভ জানিয়েছেন। অনেকেই দিদারের সমালোচনা করে বলেছেন, আসলে এ সমস্ত মানুষ মূলত বিএনপির জন্য কলঙ্ক। তাদের কারণেই বিএনপি এতটা বছর ক্ষমতা থেকে দূরে। আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলা তারা পূর্বে নানা সুবিধা নিয়েছেন। আবার এখন যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচুত্য তখন নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে ঘাট দখল করে আধিপত্য বিস্তার করছেন। সেই আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে এখন জাকির খানের নাম বিক্রি করছেন। জাকির খানের পক্ষে দু’চারটি কথা বলে তার অনুকম্পা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। জাকির খানের প্রতি আমাদের দাবি থাকবে, তিনি যেন কোন অবস্থাতেই এ ওসমানদের দোসর দিদারকে আশ্রয় প্রশ্রয় না দেন। পাশাপাশি আমরা তার বিরুদ্ধে কঠিন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আর্কষণ করছি। আমরা বলতে চাই এসব ব্যক্তিরা না দলের, না কোন ব্যক্তির হয়। এরা হলো সুবিধাবাদী। স্বার্থের জন্য এরা আব্বা বলে পাঁ ধরে, স্বার্থ ফোরালে কেটে পড়ে। এসব ব্যক্তিরা দলের জন্য শুভকর নয়। তারা দলের আর্বজনা। দলকে এ আর্বজনা মুক্ত করতে হলে এখনই তাদের বহিস্কার করা উচিৎ। এমন উল্লেখিত প্রতিবেদন ছাড়াও দিদার খন্দকারের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে সেই এমপি সেলিমস ওসমানের নাম ব্যবহার করে এই ঘাটের ভ্যবসা ছাড়াও বন্দরে অপহরণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘনিয়ে নানা বাণিজ্য ছাড়াও কোদ ওই বহুতল ভবন নিয়ে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। আর এতো অভিযোগে পাহাড় ধামাচাপা দিতেজাকির খানের বন্দনা করে সেই অপরাধ সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে দিদারের নতুন নাটক মঞ্চায়ন করছে। এই দিদার খন্দকার কে খোদ দেওভোগ এলাকার অনেকেই মহাধূর্ত, প্রতারক, তেলবাজ ও মহাপটু বলেও মন্তব্য করেছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা