আজ রবিবার | ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬ | রাত ১০:৩৬

কার্যালয় হারা বিএনপি আবার কার্যালয়ে ফেরার চেষ্টা

ডান্ডিবার্তা | ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দীর্ঘদিন ধরেই কার্যালয়বিহীন রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি। অস্থায়ী কিংবা নামকাওয়াস্তে ব্যক্তিগত কার্যালয় দিয়েই চলে আসছে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম। তবে এবার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মধ্য দিয়ে স্থায়ী কার্যালযে ফিরতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি। হয়তো অতি শীঘ্রই তাদের কার্যালয়ে ফিরতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, গত ১৫ বছর আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরাই বাড়িতে থাকতে পারেনি। সে জায়গায় আমাদের কার্যালয় কি করবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিএনপির যে কার্যালয় ছিলো সেটা আওয়ামী লীগ নিয়ে গেছে। আমাদের কার্যালয়ের জায়গায় নতুন ভবন হয়েছে কিন্তু আমাদের কার্যালয় বুঝিয়ে দেয়নি। তিনি আরও বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করবো। সেই সাথে কার্যালয় পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবো। আশা করি আমরা কার্যালয় ফিরে পাবো। আমরাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। কিন্তু গত ১৫ বছর সিটি কর্পোরেশন দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। তারা তাদের ওয়াদার বরখেলাপ করেছে। এখনও আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়নি। আমরা বৈধভাবে বুঝিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো। বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃত্বে আসার পর তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থেকে দোকান হিসেবে ইজারা নিয়ে ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় বিএনপির কার্যালয় করেন। আর এ কার্যালয়ে আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি সহযোগীতা করেছিলেন বর্তমান সোনারগাঁ বিএনপির আহবায়ক আজাহারুল ইসলাম মান্নান। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান হয়ে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপির কার্যালয়টির জন্য পৌরসভা থেকে দোকান বরাদ্দ নেন। তৎকালিন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির হোসেনের নামে এ দোকান ভাড়া নিয়ে বিএনপির কার্যালয় করা হয়। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কার্যালয় নিয়ে মামলায় হেরে যাওয়ার পর ২০১৭ সালের ১০ মার্চ কার্যালয় ভবন ভেঙ্গে ফেলে। এরপর থেকেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নতুন করে আর কার্যালয় নিতে পারেনি। এরই মধ্যে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বিদায় নেন। জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্বে আসেন সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। একইভবে মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে আসেন সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম এবং সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। তাদের এই কমিটির মেয়াদে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কার্যালয়ের ব্যাপারে তেমন কোন মাথাব্যথা পরিলক্ষিত হয়নি তাদের। মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শহরের চারারগোপ এলাকার ফেন্ডস মার্কেটে তার নিজ বাসার একটি ফ্লোরকে অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন। তবে জেলা বিএনপির শহরে বসার মতো কোন জায়গা ছিলো না। তাদের শহর ছেড়ে উপজেলা পর্যায়ের দিকে ঝুকতে হয়। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয় ভেঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জেলা বিএনপিকে একটি অস্থায়ী কার্যালয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করতে বলেছিলেন মেয়র। স্থান নির্ধারন হলে সেখানে জায়গা বরাদ্ধ দিতেন নাসিক। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির তৎকালিন সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের এ নিয়ে কোন আগ্রহ দেখাননি। ফলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কোনো স্থায়ী ঠিকানাও হয়নি। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরমুখী হয়ে পড়েন। দলীয় কোনো কর্মসূচিতেই তাদের রাজপথে দেখা মিলতো না। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন গলিভিত্তিক কর্মসূচি পালিত হতো। সেই সাথে তাদের আর কার্যালয়ে ফেরা হয়নি। এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আর এই পতনের মধ্য দিয়ে বিএনপি তার অবস্থানে ফিরতে শুরু করেছেন। সেই সাথে এবার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের কার্যালয়েও ফিরতে যাচ্ছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা