আজ সোমবার | ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬ | সকাল ১১:২২

আবাসিক দালানে ঝুটের গোডাউন অগ্নি আতঙ্কে সস্তাপুরবাসী

ডান্ডিবার্তা | ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লার সস্তাপুর মাজার রোড এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে আগুন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সস্তাপুর হযরত শাহ মাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ঝুটের গোডাউন সহ দুটি প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত আগুন আতঙ্কে ভূগছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি একটি আবাসিক এলাকা। অথচ এ এলাকায় অসংখ্য ঝুটের গোডাউন গড়ে উঠেছে। যার অধিকাংশ গোডাউন গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বাসা বাড়ীর ভিতরে। ইতোপূর্বে কোন ধরনের দূর্ঘটনা না ঘটায় এতদিন এ বিষয়টি নিয়ে কারো মনে কোন ভয় বা আতঙ্ক দেখা দেয়নি। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে হৃদয় আহাম্মেদের মালিকানাধীন একটি ঝুটের গোডাউন ও ইমরান আহাম্মেদের মালিকানাধীন হোসিয়ারী কারখানায় প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটার পর থেকে স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারন এটি একটি ঘনবসতি এলাকা। তারউপর আশপাশে নেই কোন জলাশয় কিংবা পুকুর। সুতরাং এসব ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকান্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটলে খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার আগে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কোন উৎস খুঁজে পাবে না। ফলে আগুন আশপাশের বাড়ীঘরে ছড়িয়ে পড়ে ব্যপক প্রান হানীর আশংকা রয়েছে। গত মঙ্গবারের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হোসিয়ারী মালিক ইমরান আহাম্মেদ বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের পাসে থাকা হৃদয় আহাম্মেদের মালিকানাধীন ঝুটের গোডাউনে প্রথমে আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রথমে আগুন লাগার খবরটি ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। তারপর আমি আমার প্রতিষ্ঠানে যাই। কিন্তু তখনও আমার প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগে নাই। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসতে দেরী করায় একপর্যায়ে নিজের চোখের সামনে ঝুটের গোডাউন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আমার হোসিয়ারী প্রতিষ্ঠানটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ২৫/৩০ লাখ টাকার মেশিন পুড়ে যায়। এতে তিনি কাউকে দোসারোপ না করে নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে শুধু এটুকু বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের পাশে ঝুটের গোডাউনটা না থাকলে হয়তো আজ আমার এতবড় ক্ষতি হতো না। অনুসন্ধানে জানাগেছে, উক্ত মাজার রোড এলাকায় অবস্থিত তিন তলা ভবনের পাশে থাকা খালী যায়গায় ঝুটর গোডাউন ভাড়া দিয়ে রেখেছেন বাড়ীর মালিক মরহুম ফরিদ আহাম্মেদের ছেলে বিপ্লব। এর পাশে রয়ে আরেকটি ঝুটের গোডাউন। দুটি গোডাউনের মালিক মনির সহ তিনজন। এসব গোডাউনের পার্শবর্তী কাউসার সহ কয়েকজন দোকানীর সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা বলেন, এটি একটি আবাসিক এলাকা হওয়া সত্বেও ব্যাঙ্গের ছাতার মত অসংখ্য ঝুটের গোডাউন গড়ে উঠেছে এই এলাকায়। এ ব্যপারে আমরা আগে ভয় না পেলেও গত মঙ্গলবার রাতে হৃদয়ের মালিকানাধীন ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকান্ডের পর থেকে আমাদের দোকানের পাশে উপরোক্ত দুটি ঝুটের গোডাউন থাকায় আমরা এখন চরম নিরাপত্তহীনতায় ভূগছি। কারন এসব গোডাউনে আগুন লাগলে আমরা সহ আশপাশে থাকা বাড়ী ঘরের মানুষ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। শুধু তাই নয়, ব্যপক প্রানহানী ঘটারও আশংকা রয়েছে। তবে গোউন মালিক মনিরের দাবী পর্যাপ্ত আগুন নির্বাপনের ব্যবস্থা রেখেই তারা ঝুটের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আর ঝুটের গোডাউন ভাড়া দেয়া জমির মালিক বিপ্লব বলেন, যেহেতু আগুন লাগার আশংকা রয়েছে সেহেতু আমি তাদের(গোডাউন মালিক পক্ষ) যায়গা ছেড়ে দিতে বলবো। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ডল পাড়া ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. শাহজাহান বলেন, উপরে আবাসিক ভবন আর নীচে ঝুটের গোডাউন, এটা আমাদের আইনে নাই। কারন নীচে আগুন লাগলে উপরে ধোয়া ছড়িয়ে দম বন্দ হয়ে মানুষ মারা যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আর যদি উপরে বা আশপাশের ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তাহলে আরো ব্যপক হারে প্রানহানীর ঘটনা ঘটবে। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার ক্ষমতা আমাদের নাই। তবে সচেতানতা মূলক কিছু দিক নির্দেশনা আমরা তাদের দিয়েছি। এসব নির্দেশনা তারা যথাযথভাবে অনুসরণ না করলে পরবর্তীতে ম্যাজিষ্ট্রেট সহ অভিযান পরিচালনা করা হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা