আজ সোমবার | ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ | ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬ | সকাল ১০:৫০

যুবদলের নামে চাঁদাবাজরা সক্রিয়

ডান্ডিবার্তা | ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি
বন্দর খেয়াঘাটে প্রতিদিন অর্ধ লক্ষ টাকা, মাসে প্রায় কোটি টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে। যুবদলের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিদিন চাঁদাবাজি হচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্দর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদলের ১৪জন যুবদলের নামধারী নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জানা গেছে, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে গডফাদার শামীম ওসমানের সহযোগী চিহিৃত সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা খান মাসুদ দীর্ঘ ১৭ বছর বন্দর খেয়াঘাটে চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর সন্ত্রাসী খান মাসুদ পালিয়ে গেলে তার সব কিছু দখল করে নেয় যুবদলের কিছু নামধারী নেতাকর্মী। যারা বিগত সময় আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতাদের পাশেও ছিল নিজেদের আখের গোছাতে। তারা এখন বড় বিএনপি হয়ে গেছে। সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর খেয়াঘাট থেকে বন্দর সুরজ্জামান টাউর পর্যন্ত রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়ে প্রতিদিন চাঁদা নিয়ে যুবদলের নামধারী সন্ত্রাসীরা। এছাড়া অটো বাইক, সিএনজি থেকে চাঁদা নেয়া হচ্ছে। প্রতিদের গড় হিসাবে দেখা যায় মাত্র খেয়াঘাটের ফুটপাত, বাজার, অটো বাইক ও সিএনজি থেকে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা চাঁদা নেয়া হচ্ছে। যা মাসে দাঁড়ায় কোটি টাকার উপরে। স্থানয়দের দাবি এ টাকা যায় কোথায়। অবশেষে স্থানীয় বাড়ির মালকেদের কাছেও চাঁদাবাজি শুরু করেছে। অবশেষে বন্দরে একটি বাড়ির মালিকের কাছ থেকে চাদাঁ নেয়ার অভিযোগে যুবদলের নেতাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে মামলাটি দায়ের করা হয়। চাঁদাবাজি মামলার আসামিরা হলেন, হুমায়ুন, মো. রফিক, মো. শফিক, আরিফ, পাপ্পু, শিবু দাস, সজিব, বড় রাসেল, পাভেল, বাবু ও সাত্তারসহ অজ্ঞাত আরো ৩ জন। বাড়ির মালিক মহিউদ্দিনের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানাধীন রূপালী গেইট আবিসিক এলাকা ২০ বছর যাবৎ ৫ শতাংশ জায়গার উপর একটি টিনসেট ঘর তুলে বাসাভাড়া দিয়ে আসছিল। সে বাড়িতে গিয়ে যুবদলের নেতা হুমায়ুন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ৫০ হাজার টাকা ও প্রতিমাসে ৪ হাজার করে চাদাঁদাবি করে। গত ১৭ এপ্রিল রাতে বাদী ও তার ছোট ভাইকে অপহরণ করে আটকে রেখে মুক্তিপন হিসাবে ৫০হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন মো. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, আওয়ামীলীগের শাসনামলে থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ এ এলাকায় চাঁদাবাজি সহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ ছিলো সাধারণ মানুষ। ৫ আগষ্টের পর ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদ পালিয়ে গেলেও হঠাৎ হুমায়ুন যুবদল নেতা পরিচয়ে ১০/১২ জনের একটি বাহিনী গড়ে তুলে বন্দর রূপালী ও আমিন আবাসিক এলাকায় বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। হুমায়ুন ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাসা বাড়ির মালিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ সাধারণ মানুষ। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির ঘটনায় হুমায়ুন সহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা