ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানকে বহিষ্কার ও তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের দুই নম্বর রেলগেইটে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ এ দাবি তোলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে পত্রিকায় দেয়া সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলালের এক বক্তব্যের প্রতিবাদে এ তাৎক্ষনিক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ হায়দার আলী পুতুল, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, আহসান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ, যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা, সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সুমন, জালাল উদ্দিন, যুব মহিলা লীগ নেত্রী নুরুন্নাহার সন্ধ্যা প্রমুখ। সভায় এক লিখিত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা জাতীয় পার্টি থেকে অনুপ্রবেশকারী নব্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দুলাল প্রধানের দৃষ্টতাপূর্ণ ও অসাংগঠনিক বক্তব্যে হতবাক ও বিস্মিত। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মতামত সাপেক্ষে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ গঠনকল্পে ফরম বিতরণের জন্য একটি ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কল্পে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, অনুপ্রবেশকারী, ভূমিদস্যু, চাদাবাজ, সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও স্বাধীনতা বিরােধী ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ব্যক্তিদের নিয়ে সদস্য ফরম বিতরণ করার সংকল্প ব্যক্ত করেন আনোয়ার হোসেন ও খোকন সাহা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফরম বিতরণ কমিটি জাতীয় পার্টি থেকে অনুপ্রবেশকারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা চিহ্নিত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী দুলাল প্রধানকে বাদ দেয়। দলীয় সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশ পালন করা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশের কারণেই কথিত ও চিহ্নিত অনুপ্রবেশকারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাদক বাবসায়ী দুলাল প্রধান বাদ পড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনের প্রতি যেভাবে বিভিন্ন ধরণের তীর্যক ও সংগঠন বিরোধী বক্তব্য প্রদান করেছেন তা প্রকারান্তরে দলীয় প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপরই বর্তায় বলে আমরা মনে করি। আনোয়ার হোসেন সেই ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁর ত্যাগ, পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সততা দিয়ে নিজেকে একজন বঙ্গবন্ধুর পরীক্ষিত সৈনিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মূল্যায়ন স্বরূপই আনোয়ার হােসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনয়ন দেন। বর্তমানে তিনি পবিত্র ওমরা হজ পালনে পবিত্র নগরী মক্কা ও মদীনা শরীফে রয়েছেন। তিনি পবিত্র ওমরা হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরে আসার পর ওই কথিত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজ বিতর্কিত অনুপ্রবেশকারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দুলাল প্রধানের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী এহেন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও বক্তব্য প্রদানের জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, সর্বোপরি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শীর্ষ মহলে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড ও বিতর্কিত ভূমিকার জন্য সংগঠন থেকে শাস্তিমূলক/বহিস্কারের সুপারিশ করা হবে। এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর দুলাল প্রধান বলেন, আমি মাদক ব্যবসায়ী কিনা তা আগে প্রমাণ করুক। চ্যালেঞ্জ করে দিচ্ছি, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি মাদক ব্যবসায়ী তাহলে আমাকে যে শান্তি দেওয়া হবে তা মাথা পেতে নেব। এছাড়াও তিনি বলেন, আমি আনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরে ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হয়েছিলাম। আমাকে বাদ দেওয়ার সময় কোরামে তো কোনো আলোচনা হয়নি। রেজুলেমন করেতো আমাকে বাদ দেওয়া হয়নি। অথচ আমাকে সদস্য ফরম দেওয়া হয়নি। কিন্তু বিএনপি করতো এমন অনেককেই ফরম দিছে। তিনি বলেন, যে সন্ধ্যা ডেভিডের বাড়িতে থাকতো। সে সন্ধ্যাকে এখন সেক্রেটারি বানানোর জন্য উঠে পড়ে লাগছে তারা। আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আনোয়ার সাহেবতো বিনা ভোটে চেয়ারম্যান। ভোট পেতে কতটা কষ্ট করতে হয়, কতটা জনপ্রিয় হতে তা তিনি নির্বাচন করে দেখুক। তিনি যদি নির্বাচন করে ওয়ার্ড কাউন্সিলরও হতে পারে তাহলে বন্দর ছেড়ে চলে যাবো। রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগছ হয়েছেন তিনি। এমপি সাহেবের কাছ থেকে গাড়ি নিয়েছেন। লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন এসব তো আর মিথ্যা না। আমি সত্য বলাতে আমাদের ব্লকের কাউকেই ফরম দেওয়া হয়নি।