আজ শুক্রবার | ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬ | সকাল ৯:২৯

ছালাহউদ্দিন চেয়ারম্যানের ওয়ারিশ সনদ বাণিজ্য

ডান্ডিবার্তা | ১৪ আগস্ট, ২০২২ | ১:৪৪ অপরাহ্ণ

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়া দেড় বছর আগের ওয়ারিশ সনদ পরিবর্তন করে পুনরায় প্রদান করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তিনি একই পরিবারের ওয়ারিশ সনদ একেক সময় একেক রকম দিয়ে আসছেন। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান ছালাহউদ্দিন ভুঁইয়া এ ধরণের অন্যায় কাজ করছেন বলেও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। জানা গেছে, রূপগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ছালাহউদ্দিন ভুঁইয়া ২০২১ সালের ৩১ মে রঞ্জিত কুমার দাস ও রবি দাসকে রাজ ভল্লব দে এর দুই সন্তান হিসেবে ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন। একই দিনে মহেশ চন্দ্র দাসের ছেলে নরেন দাসকে ওয়ারিশ সনদ প্রদান করা হয়। ওই দুটি সনদ দেড় বছর পর পরিবর্তন করে রাজ ভল্লব দে এর রঞ্জিত কুমারকে একমাত্র ছেলে হিসেবে সনদ প্রদান করেন। একটি সিন্ডিকেট চক্র রাজ ভল্লবের এসএ ও আরএস রেকর্ডীয় সম্পত্তির মালিকের জমি আত্মসাতের জন্য কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে ওই সনদ পরিবর্তন করে নেয়। এক তথ্যানুসন্ধ্যানে জানা গেছে, রাজ ভল্লবের নামে তার জমি জীবিত অবস্থায় এসএ এবং আরএস রেকর্ড হয়। কিন্তু রাজ ভল্লবের ছেলে রঞ্জিত কুমার খরিদ ও ওয়ারিশ সূত্রে মালিক দেখিয়ে পুরো সম্পত্তি ১৯৫৮ সালে ইন্দ্রমোহন ও ললিত মোহনের কাছে বিক্রি করে। পরে ইন্দ্রমোহন রূপগঞ্জের বাগবেড় এলাকার নুরুল ইসলাম, সেরাজউদ্দিনের কাছে ৫২ শতাংশ জমি বিক্রি করে। অথচ রাজ ভল্লব ১৯৭০ সালে জীবিত থাকাবস্থায় তার নামে এসএ ও আরএস রেকর্ডভুক্ত করান। তাছাড়া রাজ ভল্লবের দুই সন্তান রঞ্জিত কুমার ও রবি দাস। পিতা জীবিত থাকাবস্থায় রঞ্জিত কুমার সমস্ত সম্পত্তি একাই ১৯৫৮ সালে ইন্দ্রমোহন ও ললিত মোহনের কাছে জমি বিক্রি করে দেয়। কিন্তু ওই জমি ভুয়া মালিকের কাছ থেকে কেনার কারণে ইন্দ্র মোহন, ললিত মোহন কিংবা নুরুল ইসলাম গংদের নামে এসএ ও আরএস রেকর্ড হয়নি। ওই সম্পত্তি আত্মসাতের জন্যই রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালাহউদ্দিন ভুঁইয়াকে ম্যানেজ করে রাজ ভল্লবের দুই ছেলের নামে দেয়া ওয়ারিশ সনদ বাতিল করানো হয়। এদিকে রাজ ভল্লবের ছেলে রবি দাসের ওয়ারিশ থেকে তার ছেলে ৬১৮২ নং অপ্রত্যাহার ও ব্যাপক ক্ষমতা সম্পন্ন আম মোক্তারনামা দলিল মূলে ৯৯ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন সামসুল হুদা গং। কিন্তু রাজ ভল্লবের এক ছেলের কাছ থেকে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ক্রয় দেখিয়ে নুরুল ইসলাম গংরা দখলের পায়তারা করছে।  অপরদিকে রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া এলাকার মৃত তছর আলীর তৃতীয় স্ত্রী মোমেলা তার সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় সৎ ছেলে নায়েব আলী মা হিসেবে অস্বীকার করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের বাদিনী নায়েব আলীর কন্যা শিউলীর এমন কর্মকান্ডে এলাকায় আলোচনার তুমুল ঝড় তুলেছে। এ ঘটনাকে ঘিরে একটি চক্র মোমেলাসহ রূপগঞ্জ ইউপির ২নং ওয়ার্ড সদস্য মনির হোসেনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফায়দা লুটে নেয়ার পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ ওঠে। জানা গেছে, উপজেলার গোয়ালপাড়া এলাকার তছর আলী মৃত্যুকালে তৃতীয় স্ত্রী মোমেলাসহ প্রথম স্ত্রীর ৫ ছেলে দিলু মিয়া, আয়েব আলী মিয়া, নোয়াব আলী, নায়েব আলী, জিন্নত আলী, মেয়ে জমিলা খাতুনকে রেখে যান। তছর আলীর সম্পত্তি নায়েব আলী ব্যতিত অন্য সব সন্তানকে মোমেলা লিখে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নায়েব আলী তার মাকে অস্বীকার করে আদালতসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। ওইসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে গণমাধ্যমকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করছে নায়েব আলীর মেয়ে শিউলী। এতে এলাকায় নতুন করে আলোচনার ঝড় বইছে। উপজেলার বেইলারটেক এলাকার বাসিন্দা হাজী মো. নুরু মিয়া জানান, তছর আলীর তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে মোমেলার নামে ওয়ারিশ সনদ থেকে শুরু করে বাড়ীঘর, জমির নামজারী, নাগরিকত্ব সনদ, ভূমি উন্নয়ন কর, সৎ ছেলে মেয়েদের স্বীকৃতি, আদালতের মাধ্যমে পারিবারিক আপোষ বন্টননামা দলিল, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে একাউন্ট, পিবিআই রিপোর্ট, ছেলে জিন্নত আলীর অঙ্গীকার নামা, জমির দলিল সম্পাদন থাকা সত্ত্বেও ইউপি চেয়ারম্যান ছালাহউদ্দিন ভুঁইয়া তার ওয়ারিশ সনদ বাতিল করে দেন। ২ মাসের মধ্যে মোমেলার নামে ৩ বার ওয়ারিশ সনদ দেন, আবার বাতিলও করেন। এতে প্রমাণিত হয় চেয়ারম্যান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সনদ বাণিজ্য করে আসছেন। এসব কারণে চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে আসছে। ইতিমধ্যে একাধিক ভুক্তভোগী ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের জন্য মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। রূপগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ছালাহউদ্দিন ভুঁইয়া জানান, একটি মহলের চাপে পড়ে বৈধ ওয়ারিশ সনদ বাতিল করা হয়েছে। আবার অবৈধ ওয়ারিশ সনদও প্রদান করা হয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা