ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরের আকিজ সিমেন্ট, আকিজের সানরাইজ আটা, ময়দা, সুজি, চিনি, গরুর খাবার গমের মোটা ভুসি, চিকন ভুসিসহ তাদের অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ডের কবলে জন জীবন হুমকির কবলে। দেখার যেন কেউ নেই। সর্ব সাধারন জনগন এর বিপক্ষে অবস্থান নিলেও কোন সুফল পাচ্ছে না। সাধারন জনগনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে সুবিধা হয় সরকার দলীয় কতিপয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের। নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, মাহবুবুর রহমান কমল, জাতীয় পার্টির জাহাঙ্গীর আলম ও মনিরুল ইসলাম মনু ৪ রতœ শুধু আকিজ প্রতিষ্ঠান ও ট্রাক স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ পূর্বক প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সাধারন জনগনের জীবন হুমকির কবলে ফেলে তারা প্রত্যেকে কোটিপতি বনে গেছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। সূত্র মতে, নাসিক ২৩নং ওর্য়াডের বন্দরের ইস্পাহানি এলাকায় আকিজ সিমেন্ট কারখানাটি অবস্থিত। সর্ব সাধারন আকিজ সিমেন্ট কারখানা হিসেবে চিনলেও এর অন্তরালে গড়ে উঠেছে আকিজ আটা, ময়দা, পলি ফাইভার, সুজি, চিনি, গরুর খাবার গমের মোটা ভুসি, চিকন ভুসি। এমনকি সরকারকে ধোকা দিয়ে সিমেন্টের উৎপাদন বর্তমানে দ্বিগুন হচ্ছে। সিমেন্ট কারখানার অন্তরালে এসব উৎপাদনের ফলে গাড়ীর পরিমান বেড়েছে কয়েকগুন। যার ফলে মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের বাগবাড়িস্থ পুরাতন পুলের সামনে রেলওয়ের বিশাল পরিমান জায়গা দখল পূর্বক গড়ে তুলেছে অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ড। যে স্ট্যান্ডে প্রতিদিন ২/৩শ’ গাড়ী স্টক থাকে। আকিজ অফিস হতে কল আসলে স্ট্যান্ড হতে গাড়ী যায় কোম্পানিতে। স্ট্যান্ড হতে গাড়ীগুলো নবীগঞ্জ স্ট্যান্ড হয়ে কোম্পানিতে গিয়ে লোডিং করে। যার কারনে প্রতিনিয়ত যেমন ঘটছে দূর্ঘটনা, তেমন হচ্ছে পরিবেশ দূষন। মহামারি করোনা কালেও তাদের অবস্থান ছিল একই। স্থানীয় জনগন এর প্রতিবাদ করলে তাৎক্ষনিকভাবে চলে আসতে দেখা গেছে ৪ খলিফার প্রতিনিধি ক্যাডার বাহিনী। যার ফলে সচেতন মহল দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে এ প্রতিনিধিকে মেসেজ দিয়ে জানায়, আকিজ হচ্ছে আমাদের পরম বন্ধু। যখন তখন মানুষের জীবন কেড়ে নেয়,আকিজ সিমেন্টের ফ্রাই আশে হার্টে ব্লক দেওয়া,২৪ ঘন্টা পরিবেশ কে নষ্ট করা। ২৪ ঘন্টা আবাসিক এলাকা দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল( ট্রাক) করলেও দেখার যেন কেউ নেই। বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চলাচল, যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং দেখে মনে হয় কামাল উদ্দিনের মোড় হতে আকিজ কোম্পানি পর্যন্ত সকল জায়গাই যেন কোম্পানির ক্রয়কৃত জায়গা। প্রায় ২৫ টিরও বেশি স্কুল, কলেজ, কিন্ডারগার্ডেন, মসজিদ, মাদ্রাসা রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী নাক মুখ দিয়ে প্রবেশ করছে সিমেন্টের আশ,সকল প্রকার বৃক্ষ ধংস হয়ে যাচ্ছে। অথচ পরবর্তি প্রজন্মে কে হুমকির মুখে ফেলে আবাসিক এলাকাকে শিল্প এলাকায় পরিনিত করছে। যা বন্দরের বলদ জনগন এর মুখে লাগাম ও কাল চশমা আর সপ্নের ঝুড়ি দিয়ে, মহা নেতারা ইট ভাটা, সিমেন্ট কোম্পানী,গ্যাস কোম্পানী,সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফয়দা লুটে নিচ্ছে, যা দেখাশুনা করার জন্য ঘুটি কয়েক দালাল নেতাদের মাসিক ভাতায় ভিবেক বিক্রি করে দিচ্ছে। আর সেটা ভোগ করছে সাধারন জনগন। জরিপ সূত্রে বাংলাদেশের বন্দর থানায় চার পাশ ঘিরে সবচেয়ে বেশি সিমেন্ট কম্পানী। মানবাধিকার কমিশন ও নাগরিক কমিটি বন্দর নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আকিজ হলো বন্দর এলাকায় একটা অভিশাপ, পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। কিছু ধান্দাবাজ নেতারা মাসোয়ারা পেয়ে আকিজ এর গোলাম হয়ে গেছে। যদিও তাদেরকে জনগণের গোলামী করার জন্য জনগণ নেতা হিসেবে মানে। কিন্তু এই বেইমানগুলো জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা না করে জনগণের কল্যাণে কাজ না করে পরিবেশের জন্য হুমকি সরুপ আকিজ এর কল্যাণে তারা নিবেদিত। এরাই বর্তমানের জাতীয় বেইমান। আমাদের মাননীয় এমপি মহদোয় এর একটা বিহিত করতে পারেন, সেটা আমরা জনগন তাদের কে বলি না, এটা আমাদের ব্যার্থতা,ছুটকা নেতারা টাকার লুভি, তাই বলে সবাই না,জনগন সকল শক্তির উপরে,অবশ্যই মাননীয় এমপি মহদোয় এর একটা সমাধান করতে পারেন।যদি আমরা জোরালো ভাবে চাই। তা না হলে আমাদের আগামীর সন্তানরা জন্মের আগেই নানা রোগ বহন করেই পৃথিবীতে আসবে। আকিজ আমাদের কলিজার ভিতর বসে বসে শেষ করে দিচ্ছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে প্রতিবাদ চরম প্রতিবাদ প্রয়োজন। মাথার উপর কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়া বন্দরের মানুষগুলো আজ বুঝছে না তবে একদিন বুঝবে পরাধীনতা যে কি! সচেতন নাগরিকরা আর সুশিল সমাজ আজ অন্ধের ভূমিকায় নিচ্চুপ।সুবিধা নিচ্ছে সরকারদলীয় নেতা, জনপ্রতিনিধি। নারায়ণগঞ্জ বন্দরে আকিজ আমাদের পরম বন্ধু! দেখার কেউ নেই? সদর-বন্দর আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান এর সু-দৃষ্টি কামনা সচেতন মহলের। ক্ষমতার অপব্যবহার করে আকিজ ঘিরে সুবিধাভোগীদের শীর্ষে কমল নাসিক ২৩নং ওর্য়াডের বন্দরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আকিজ ঘিরে সুবিধাভোগীদের শীর্ষে মাহবুবুর রহমান কমল। গত ১৬ জানুয়ারি নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর তার কৌশল পরিবর্তন করেছে। নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের রাজনীতির ব্যানারে ৪ রতœ শুধু আকিজ প্রতিষ্ঠান ও ট্রাক স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ পূর্বক প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, মাহবুবুর রহমান কমল, জাতীয় পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও মনিরুল ইসলাম মনু। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ ৪ রতœকে আর পিছনে ফিরতে হয়নি। আকিজ কোম্পানি ও স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ পূর্বক ৪ রতেœর মধ্যে কমল একজন গভীর জ্বলের মাছ। আকিজ কোম্পানির শুরু থেকে জাহাঙ্গীর আলম সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকলেও নানা কৌশল এটে সুই হয়ে কমল আকিজ কোম্পানিতে প্রবেশ করে। নানা কৌশলে কোম্পানিতে প্রবেশ করে সকল তার নিয়ন্ত্রণে আনে। দল ক্ষমতায় আসার পূর্বে যে কমলের সংসার চালাতে কষ্ট হত, সেই মাহবুবুর রহমান কমল বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। রাতারাতি কমলের অর্থনৈতিক পরিবর্তন দেখে অনেকে হতভম্ব হয়ে পড়েছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ দূর্নীতি দমন কমিশনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা সচেতন মহলের। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বন্দরের সাবেক কদম রসুল পৌরসভা বিপরীতে নিজের পৈত্রিক বাড়িতে বসবাস করেন কমল। মাহবুবুর রহমান কমলের নিজস্ব কোন ব্যবসা- বাণিজ্য না থাকলেও ঠান্ডা মাথায় নানা কৌশলে গত ১০ বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। দেখলে কেউ আচ করতে পারবে না তিনি কি পরিমান টাকার মালিক। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরও তার কয়েকটি অটোরিকশা ছিল। যা তার এক মাত্র আয়ের উৎস ছিল। ২০১১ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুলাল প্রধান কাউন্সিলর হওয়ার পর কমলের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন হতে থাকে। নামে- বেনামে রয়েছে তার অঢেল স্থাবর -অস্থাবর সম্প্রতি। নরসিংদীতে তার একটি বাগান বাড়িও রয়েছে। যা দেখশোনা করার জন্য নিজস্ব লোক রয়েছে। দলের ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক সুকৌশলে এমন কোন হেন কাজ নেই যা তার মাধ্যমে হয় না। আকিজ সিমেন্ট সেকশন নিয়ন্ত্রণে আরো ৩ জন থাকলেও ময়দা, আটা, গমের মোটা ও চিকন ভূসি সেক্টর কমলের একক নিয়ন্ত্রণে। আকিজ কোম্পানির ভিতরেই এগুলো উৎপাদন হয়। সানরাইজ নামীয় ময়দাসহ যত বস্তা আছে সকল কিছু কমলের একক নিয়ন্ত্রণে। তার রয়েছে একাধিক চক্র। সম্প্রতি নিজের স্বার্থে মাহবুবুর রহমান কমল সিমেন্ট কোম্পানির এডমিন মোঃ হাফিজ উদ্দিনকে একরামপুর তালতলা স্কুল সংলগ্ন প্রকাশ্য তার এক বাহিনীর প্রধান কবির ওরফে বাল্লক কবির বাহিনী দিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ কবির ওরফে বাল্লক কবিরকে গ্রেফতার করলে ২০/২৫ হাজার টাকা খরচ করে আদালত হতে জামিনে আনে। তাদের ছত্রছায়ায় বাগবাড়ি এলাকার এক সময়ের বিএনপির নেতা প্রয়াত মাহবুব সোবহানের ভাতিজা আক্তার হোসেন একজন চিহ্নিত ড্রেজার সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুতায় বনে গেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আক্তার হোসেন তার পট পরিবর্তন করে। তার মামা হুমায়ুন কবির মৃধা নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের নেতা আবার প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ জন হিসেবে পরিচিত হুমায়ন কবির মৃধার ও দুলাল প্রধানের ছত্রছায়ায় কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন আক্তার হোসেন। নামে -বেনমামে রয়েছে অঢেল সম্পত্তি। বাগবাড়ি এলাকার মৃত খফিল উদ্দিনের ছেলে আক্তার হোসেনের বৈধ কোন ব্যবসা নেই। তারপরও এত অর্থ সম্পদের মালিক কিভাবে প্রশ্ন সচেতন মহলের। দূর্ণীতি দমন কমিশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা বন্দরবাসীর।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯