রূপগঞ্জ প্রতিনিধি রূপগঞ্জে বাসের ভিতর জমে উঠেছে গাঁজার আসর। গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার গোলাকান্দাইল সাওঘাট স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, বাসের ভিতর গাঁজার আসর। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা যুব কল্যাণ বেকার পরিবহন, স্বাধীনতা ৭১ পরিবহন,মদিনার পথে পরিবহনসহ আরও বেশ কিছু পরিবহনে দেখা যায় গাঁজার আসর বসতে। তবে এসব আসরে গাঁজা দুর থেকে আনতে হয় না। বরং প্রতিদিন সকালে ফতুয়া পরিহিত মাথায় টুপি হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে জয়নাল নামে এক বৃদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীকে দেখা যায় প্রতিটি বাসে উঠতে। তবে কেন উঠেন আবার মুহূর্তেই নেমে পড়েন। এর রহস্য খুজঁতে গিয়ে দেখা যায়, জয়নালই তাদেরকে গাঁজার পুড়িয়া দিতে আসেন। সকালে জয়নাল আর সারাদিন নাজিমউদ্দিন। এদিগে মজিদ প্লাজার সামনে রব মিয়ার চায়ের দোকানে তার বউ এবং মেয়ের জামাই গাঁজা বিক্রি করে বলে জানা যায়। ওই বাসের চালক ও হেলপাররা সারা দিনের জন্য সকালে একবার গাঁজা কিনে নিয়ে গাড়ি চালানো শুরু করে। সারাদিন গাড়ি চালানোর ফলে ঠিক মতো গাঁজা খেতে না পারলেও সন্ধ্যার পর ঠিকি শুরু হয় এক অন্যরকম আসর। এরই মধ্যে চোখে পড়ল একটি বাসে চার যুবক বসে আছেন। দূর থেকে দেখে মনে হতে পারে, তারা গল্প-গুজব করছেন। কিন্তু না, এরই ফাঁকে চলছে তাদের মাদক গ্রহণের উৎসব। যুব কল্যাণ বেকার পরিবহনের সেই বাসটির কাছে যেতে নাকে ভেসে আসলো উৎকট গন্ধ। বুঝতে বাকি রইল না, বাসে চলছে গাঁজা সেবন। দৃশ্যটি ১৩ আগস্ট যে বাসে মাদকের আসর বসেছে, সে বাসের দরজায় পা দিতেই এক যুবক বলে উঠলেন, ‘ভাই, এই বাস যাইব না, নাইমা যান। কোথাও যেতে নয়, দেখার জন্য আরেক যুবক বললেন, ‘ভাই, খান নাকি? খাইলে কন, আইনা দেওন যাইব।’ একটু পর আবার বললেন, ‘বুঝেনই তো, পোলাপাইন মানুষ, কিছু তো খাইতে হয়। তাদের সঙ্গে শুরু হয় গল্প। গল্পের ফাঁকে জানা গেল, তাদের দুজন বাসের চালক। অপর দুজন চালকের সহযোগী (হেলপার)। ডিউটি নেই বলে তারা গল্প করছেন আর গাঁজা সেবন করছেন। পরিচয় গোপন করে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল? কেন তারা গাঁজা খায়? জবাবে তারা দাবি করেন, নিয়মিত দিনরাত কাজ করতে হয় তাদের। গাড়ি চালানো একটি অন্যরকম পরিশ্রম। এতে শরীরে কিছু থাকে না। এ কারণে পরের দিন বা টানা ডিউটি করার জন্য এবং ঘুমকে কিছুটা বশে আনার জন্য তারা গাঁজা খায়। এ স্ট্যান্ডে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদক। এরা জানান, গাঁজা বিভিন্ন চায়ের দোকানে পাওয়া যায়। এছাড়া অনেকে এনে দিয়েও যায়। তাদের থেকে কিনে থাকেন মাদক গ্রহণকারী বাস চালক ও হেলপাররা। বেশিরভাগ সময় তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় মাদক। নাম প্রকাশে একাধিক পরিবহন শ্রমিকরা জানান, অধিকাংশ চালক বাস ছাড়ার পূর্বে গাঁজা খেয়ে তবে বাসে উঠছেন। অনেকে জানান, তাদের জন্য এটা নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে তারা নিয়মিত মাদক সেবন করেন। গাঁজা খেলে শরীরে শক্তি পান। স্বাভাবিক মনোভাব নিয়ে তখন তারা বাস বা গাড়ি চালাতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকসক্ত হয়ে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯