ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জের জামতলায় বসবাস করা রহমত আলী পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী। স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে তিনজনের সংসার তার। বেতন সব মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে দুই রুমের বাসাভাড়া দিতে হয় ১০ হাজার টাকা। বিদুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট বিলসহ আরো প্রায় পাঁচ হাজার টাকা চলে যায়। বাকি টাকা দিয়ে এক মাসের খাদ্য, ছেলের পড়াশোনা, টিউশন খরচ, যানবাহন ভাড়া, সাংসারিক অন্যান্য খরচ এবং নিয়মিত হাতখরচ মেটাতে মাস শেষে ধারদেনা করে চলতে হয় রহমত আলীর। রহমত আলী বলেন, ‘আমি চাকরি করে নিয়মিত বেতন পাই। কিন্তু প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সংসার চালাতে মহাবিপদে আছি। বাজারে গেলে সব কিছুর এত দাম। সবজির বাজার, মাছ বাজার, মশলার বাজারসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিন বেড়েই চলছে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। যেমন ডিম কিনেছি গত দুই দিন আগে ৪৫ টাকা হালি। তবে আজকে ডিমের হালি ৫৫ টাকা।’ রহমত আলী বলেন, টঙের দোকানে রঙ চা খেয়েছি পাঁচ টাকায়। সেই চায়ের দোকান থেকে আজ সাত টাকা দিয়ে খেতে হয়েছে। কাঁচামরিচ শুক্রবার ছিল ২৫০ টাকা কেজি, আজকে ৩০০ টাকা। এরকম চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে মানুষের। আমি ৩০ হাজার টাকা বেতন পেয়েও হিমশিম খাচ্ছি। যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কী হবে। ভাবলেই কষ্ট লাগে। নগরীর দিগুবাবুর বাজার এলাকার রিকশাচালক রহমান মিয়া বলেন, আমি প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করি। স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে চার হাজার টাকায় চাঁদমারি এলাকার একটা ভাড়া বাসায় থাকি। যত দিন যাচ্ছে আমার মনে হচ্ছে দেশের অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। রহমান মিয়া বলেন, ঘুম থেকে উঠে রিকশা নিয়ে বের হতেই মানুষের মুখে মুখে একটাই কথা সবকিছুর দাম আরো বাড়বে। এমনিতেই এত বেশি বাজার দর, এর মধ্যে আরো বাড়লে আমরা বাঁচবো কী করে!রহমান মিয়া বলেন, ‘এই শহরে আমার মতো হাজার হাজার মানুষ দিন আনে দিন খায়। আমরা এমনেই পথে নেমে গেছি। সংসার চালাতে গিয়ে প্রায় সময় না খেয়ে থাকতে হয়। এর মধ্যে যদি সবজি, মাছসহ নিত্যপণ্যের দাম আরো বাড়ে আমরা চলবো কীভাবে!’ হাজীগঞ্জ এলাকার মুদির দোকানদার জয়নাল হোসেন বলেন, ‘আমার মতো সব ব্যবসায়ী খুব চিন্তিত। সরকার বলছে দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই। তো খাদ্যের সংকট না থাকলে দেশজুড়ে প্রতিটি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কেন হচ্ছে। মানুষকে তো আগে খাবারের সুযোগ করে দিতে হবে। ডাল-ভাতের জন্যই হিমশিম খেতে হলে দেশের মানুষ বাঁচবে কেমনে!’ জয়নাল হোসেন বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে দেশে আরো বড় আন্দোলন তৈরি হবে। খাদ্যের জন্য মানুষ হাহাকার করছে। তখন মারামারি করবে।’
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯