আজ শনিবার | ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৮ মাঘ ১৪৩১ | ১ শাবান ১৪৪৬ | রাত ৪:০০

আ’লীগের কোন্দলে এগিয়ে জাপা

ডান্ডিবার্তা | ২৩ আগস্ট, ২০২২ | ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের কোন্দলের সুযোগে এগিয়ে যাচ্ছে জাতীয়পার্টি। তারা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আগামী নির্বাচনে তাদের ঘরে ফসল তোলার পরিকল্পনা করছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টিসহ চৌদ্দদলীয় মহাজোট গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সে থেকে টানা তিনবার দেশ শাসন করছে আওয়ামী লীগ। প্রায় চৌদ্দ বছরের শাসনকালে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নের পাশাপাশি দলকে গুছিয়ে অনেকটা-ই সুসংহত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। শত শত বছরের শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে সমৃদ্ধ এই নারায়ণগঞ্জকে বলা হয় আওয়ামী লীগের সূতিকাগার হিসেবে। অথচ সেই নারায়ণগঞ্জেই আজ আওয়ামী লীগের করুন অবস্থা। দ্বন্দ্ব, কোন্দল ও বিভক্তিতে দিশেহারা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ এখন অনেকটাই নীতি নির্ধারকহীন হয়ে পড়েছে। দল পরিচালনায় চেইন অব কমান্ড খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত জাতীয় পার্টি প্রীতি ও একে অপরকে দোষারোপের রাজনীতিতে অনেকটা-ই কোণঠাসা আওয়ামী লীগের তৃণমূলসহ ত্যাগী ও পোড় খাওয়া নেতৃবৃন্দ। যার মধ্যে জেলার বন্দর ও সোনারগাঁ উপজেলায় এর প্রভাব ব্যাপকহারে বিস্তার লাভ করেছে। তবে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে বন্দর আওয়ামী লীগের অবস্থা। গত ইউপি নির্বাচনের ফলাফলে যা দৃশ্যমান হয় এবং জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ আরও উৎসাহ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপর চড়াও হয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অবহেলিত নেতৃবৃন্দ এর আগে বিষয়টি নিয়ে অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করলেও খুব কম সংখ্যক সমর্থক তা মুখ ফুটে বলতে পেড়েছেন। তবে দলীয় দ্বন্দ্ব এবং কোন্দলের বিষয়টি এবার স্বীকার করেছেন এক সময় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সিংহ পুরুষ খ্যাত সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। অন্ততপক্ষে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সব কোন্দল ভুলে আওয়ামী লীগকে এক প্লাটফর্মে আনার আহবান জানিয়ে শামীম ওসমান এই বিষয়ে বলেন, আসেন সবাই মিলে শক্তিশালীভাবে আওয়ামী লীগ করি। এর আগে বিভিন্ন সময় ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নাসিক এর মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব’র বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলেও কর্মীদের উপর তার প্রভাব অনেকটা নারায়ণগঞ্জ মূল শহর বা নাসিকের সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু এর বাইরেও বিশেষ করে বন্দরের ইউপি এলাকায় এবং সোনারগাঁ উপজেলায়ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্যসহ বিভক্তি লক্ষ্য করা যায়। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের একসময়ের ঐক্যের রাজনীতিতেও এখন চলছে বিভক্তি, কোন্দল ও দ্বন্দ্বের রাজনীতি। এর ফলে দলীয় কর্মসূচি পালন থেকে শুরু করে কমিটির বিভিন্ন পদ-পদবী নিয়েও চলছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও লবিং। এর কারণ খুঁজে, এখনি সমস্যগুলি চিহ্নিত করতে না পারলে এবং সমস্যা নিরসনে সচেষ্ট না হলে ভবিষ্যতে এই দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে সাংসদ শামীম ওসমানও এই দ্বন্দ্ব নিরসনে ভূমিকা রাখার জন্য জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। বন্দর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বন্দর আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব ও কোন্দল দূর করতে না পারলে এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দিতে না পারলে জাতীয় পার্টি, বিএনপি বা অন্যকোন রাজনৈতিক দলের সাথে আওয়ামী লীগের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন অনেকে। কারণ বন্দর ও সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের চেয়ে অন্য দলের অবস্থান অনেকটা ভাল বলে মনে করেন অনেক নেতাকর্মী। আর এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চান জাতীয়পার্টি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা