ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দলীয় টানাপোড়েন যেন পিছুই ছাড়াছেন না পুরো বিএনপির কাছ থেকে। ভেঙ্গে পড়েছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা। আগ্রহ হারাচ্ছে নেতাকর্মীরা। এমন অবস্থার স্পষ্ট উদাহরন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। দীর্ঘদিন ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা কররলেও তা হয়ে উঠছে না ব্যক্তি বিশেষের কারনে। একসময় যাদের ছিল রাজপথে বাঘের গর্জন, এখন তারা ডেড হর্স। শেষ পর্যন্ত রাজনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খোশমেজাজে আছেন বিদেশে, কেউ হয়ে পড়েছেন চেম্বার ভিত্তিক ও আবার কেউ ব্যক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছেন।যা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির জন্য অশনিসংকেত বলে রূপ ধারন করছে বলে মনে করছেন নারায়ণগঞ্জ এর রাজনৈতিক সচেতন মহল। দলীয় সূত্র বলছে, এই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি এক সময় ছিল বিএনপির ঘাঁটি। এক কথায় বলতে গেলে পুরো নারায়ণগঞ্জই বিএনপি অধ্যূষিত এলাকা। মহানগরও তার বাহিরে নয়। এক সময় দাপুটের সহিত এই নগরে রাজনীতি করতেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সাধারন সম্পাদক এটিএম কামাল, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিএনপি নেতা আবুল কাউছার আশার মতো বাঘা বাঘা রাজপথের গর্জনশীল নেতারা। কিন্তু ইদানিং শুরু হয়েছে বিএনপির রাজনীতির নামে স্বার্থ হাছিলের চেষ্টা। শুরু হয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে রঙ বদলানো। আর এসব অনভিপ্রেত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সুসময় চিরতরে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। ঠিক এমন সময়ে বিএনপির চলমান আন্দোলন সংগ্রামে তৃণমূল নেতাকর্মীদের একমাত্র ভরসা হয়ে মহানগর বিএনপিকে টিকে রাখার চেষ্টা করছেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও তার অনুগামী নেতাকর্মীরা। তার সঙ্গে সমন্বয় করে রাজনীতি করছেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, আব্দুর সবুর সেন্টু, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও আশাসহ বেশ কয়েকজন প্রথম সারির হেভিয়েট নেতা। অন্যদিকে, মহানগর বিএনপির চরম দুঃসময়ে ঘরকোণে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছেন বিলাসবহুল এসি রুমে। চেম্বার ছেড়ে রাজপথে আসতে নারাজ তিনি। তাছাড়া সাখাওয়াত হোসেনের নিজস্ব কর্মী বলয় নিয়েও সন্দিহান তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের কর্মী বলয়কে ব্যবহার করে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার অপ্রান চেষ্টা করছেন। যা বর্তমানে মাঠ পর্যায় নেতাকর্মীদের কাছে স্বচ্ছ পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাছাড়া গত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় সাখাওয়াত ওসমান পরিবারের সাথে জড়িয়ে দুই কোটি টাকা গ্রহন করেন বলে বরাবরই দাবি করে আসছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইফসুফ খাঁন টিপু। আর মহানগর বিএনপির সাবেক সম্পাদক এটিএম কামাল নেতাকর্মীদের ফেলে সুদুর আমেরিকায় বিলাসী জীবন যাপন করছেন। অনেকটা রাজনীতিকে ইস্তফা দিয়েছেন কামাল। আর তাই দায়িত্বশীল অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। তাছাড়া দিনকে দিন ব্যক্তি বিশেষ নির্ভর হয়ে উঠা সাখাওয়াতের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছিলো তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভাষ্যমতে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ধ্বংসের আরেক নাম সাখাওয়াত। আর ক্ষুদ্ধ এসব নেতাকর্মীদের মনে আশার আলো হয়ে জ্বলে রয়েছেন কেবলমাত্র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ও তার বলয়।কারন হিসেবে তারা বলছেন- বর্তমান আহ্বায়ক সাখাওয়াত হয়ে পড়েছেন ব্যক্তি নির্ভর ও চেম্বারবন্দী নেতা। এমতাবস্থায় রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম ও মাথার উপর ছায়া দানের জন্য নেতাকর্মীদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আস্থাস্থাপন করে কাজ করছেন কালাম। এদিকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন- স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নিবেদিত প্রান কালাম। মহানগর বিএনপিতে কালামের নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। যার রয়েছে মেধা, সাহসিকতা, সৃজনশীলতা ও সাংগঠনিক ক্ষমতা। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আরোও বলেন- এর আগে আমরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে আরো অনেক নেতার নেতৃত্ব দেখেছি যারা নাকি নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এতো জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে নাই। সর্বদা হাস্য উজ্জ্বল, মায়াবী মুখের এই মানুষটি যেন অতি অল্প সময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ এই মহানগর বিএনপির নেতা হওয়া সত্বেও ধানের শীষকে বিক্রি করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমান অর্থ। কিন্তু অতীত সময়ে রাজনীতিতে নেই কালামের এধরনের কোন বিতর্কিত কর্মকান্ড। যার ফলস্বরুপ নির্বাচিত হয়েছেন একাধিকবার নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য। যার ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা অ্যাডভোকেট আবুল কালামের মাধ্যমেই মহানগর বিএনপির আগের রুপ ও পরিবর্তন প্রত্যাশা করছেন বলে জানা যায়। যার রয়েছে পুরো নারায়ণগঞ্জ মহানগর জুড়ে বিরাট একটি কর্মীবলয়। তার উপরই রাখতে চান আগামি দিনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শীর্ষপদের দায়িত্ব। দেখতে চান মহানগর বিএনপির পরিবর্তন। দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের মধ্যে শৃংখলা ফিরিয়ে আনাসহ মহানগর বিএনপিকে শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির রাহুর দসা থেকে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের দাবি চেয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯