সোনারগাঁ ভূমি অফিসের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রীট হচ্ছে!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দড়িকান্দী মসজিদের মিসকেইসের প্রতিবেদন দিতে বড় অংকের ঘুষ দাবী, শুধুমাত্র ঘুষ নিতে লোক নিয়োগ ও বড় অংকের ঘুষ নিয়ে সরকারি নথি থেকে দলিল গায়েব করে প্রমান লোপাট, ঘুষের জন্য দীর্ঘদিন হয়রানী এবং শুনানী না করে আদেশ প্রদানসহ একাধিক অভিযোগে সোনারগাঁও ভূমি অফিসের কানুনগো ফারুক আলম, সাবেক সার্ভেয়ার নুরে আলম, সাবেক সনমান্দী ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র এবং সাবেক সার্ভেয়ার নুরে আলমের শ্যালক ও ঘুষ গ্রহন করতে নিয়োগপ্রাপ্ত ওমেদার ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা সরওয়ার এর আদালতে মামলা করেন দড়িকান্দী মসজিদের পক্ষে আবুল কালাম।  আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডি নারায়ণগঞ্জকে গুরুত্ব সহকারে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকাগুলো গুরুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশ করলে বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়। এ ঘটনায় ২০১১ সালে মিসকেইস পরিচালনার সময় অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা তৎকালীন সার্ভেয়ার মশিউর রহমান, প্রধান সহকারী আব্দুল মোতালেব, আব্দুল খালেক সরকার এবং ভূমি আপিল বোর্ডের নির্দেশে বর্তমানে পুনরায় মিসকেইস পরিচালনায় জড়িত দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা তৎকালীন এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না, কানুনগো ফারুক আলম, সাবেক সার্ভেয়ার নুরে আলম, সাবেক সনমান্দী ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র এবং সাবেক সার্ভেয়ার নুরে আলমের শ্যালক ও ঘুষ গ্রহন করতে নিয়োগপ্রাপ্ত ওমেদার ইমরান হোসেনের ব্যাপক দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রীট হচ্ছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দড়িকান্দী মসজিদের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও আইনজীবী শিরিন আক্তার। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, যখন একটি ভূমি অফিসের ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ করতে স্বয়ং একটি  মসজিদকে আদালতে আসতে হয়, তখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়ম যে কোন পর্যায়ে গেছে তা বুঝতে আর বাকী থাকে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন জৈষ্ঠ আইনজীবী আমার সাথে যোগাযোগ করে কোন ফি ছাড়াই জনস্বার্থে রীট করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং আমাদেরকে দুদকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দরখাস্ত দিতে অনুরোধ করেছেন। আমি ইতিমধ্যেই সকল কাগজপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহে ডিমান্ড অফ জাস্টিস নোটিশ প্রেরন করার পরের সপ্তাহে উচ্চ আদালতে রীট ফাইল করতে পারবো। উচ্চ আদালত থেকে দড়িকান্দী জামে মসজিদ ন্যায়বিচার পাবে এবং অভিযুক্তরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আসবে বলে আমরা আশা রাখছি।