ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট শহর ও আশপাশের এলাকার মানুষ ওয়াসাকে নিয়মিত পানির বিল পরিশোধ করে আসলেও শহরবাসী পানি পান করতে পারে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎপরতার পরও শীতলক্ষ্যার পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ওয়াসার পানি পান করাতো দূরের কথা গোছল করলে কিংবা অন্যকাজে ব্যবহার করলে খুজলি পাচড়া দেখা দেয়। এ নিয়ে ওয়াসার বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জবাসী আন্দোলন সংগ্রামও করে চলেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ওয়াসার কর্মকর্তাদের অফিসে গিয়ে পাওয়া যায় না। জিজ্ঞাসা করলে বলা হয় সাহেবরা ঢাকায় মিটিংয়ে ব্যস্ত। এছাড়া দখলে ও দূষনের কবলে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদী ছোট হয়ে পরেছে। নদী দূর্ষনের কারনে পচা পানির দূর্গন্ধে নদী পারাপার করতে গিয়ে কিংবা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা প্রায় অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, নদী র্দূষণ রোধে প্রশাসন কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় নদী দুটির পানি ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এছাড়া ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দারা ওয়াসার পানি খাচ্ছে সে পানিও দূর্গন্ধযুক্ত। ফলে ডায়রিয়া, লিভার সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে ভূগছে অনেক মানুষ। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ যে পানি সরবারাহ করছে তা শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নেয়া পানি। যে কারণে ঢাকা-নারায়নগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ ও ময়লা পাওয়া যাচ্ছে এমন অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। তাদের দাবি, রীতিমতো ফুটিয়েও পানি থেকে দুর্গন্ধ দূর করা যাচ্ছে না। অনেক জায়গায় পানি দিয়ে গোসলও করা যাচ্ছে না। পানি চোখে লাগলেই চোখ জ্বালা-পোড়া করছে। এতে বিশেষ করে শিশুদের শারীরিক অবস্থা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। ডায়রিয়াসহ পানি বাহিত নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা ওয়াসার ক্যাম্প অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, কেমিক্যালের বর্জ্যে শীতলক্ষ্যার পানি ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পরেছে। অবশ্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত বিভিন্ন গামেন্টর্স ও ডাইং ফ্যাক্টরীগুলোকে জরিমানা করা হচ্ছে। বিভিন্ন মিল কারখানায় জরিমানা করা হয়েছে বলে জানাগেছে। সূত্রমতে, দখল আর দূষণের কারনে শীতলক্ষ্যা আর বুড়িগঙ্গা নদীর পানি ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পরেছে দীর্ধদিন ধরে। নদীর তীরে বিভিন্ন ধরনের ডাইং, গামেন্টর্স গড়ে ওঠায় এবং এসব প্রতিষ্ঠানে ইটিপি প্লান্ট না থাকায় এর বর্জ্য এই দুই নদীতে গিয়ে পরছে। নদী দুইটির পানির সাথে এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য মিলে মিশে একাকার হয়ে যাওয়ায় পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে। পর্চা দূগর্ন্ধের কারনে নদী পারাপার করতে গিয়ে কিংবা নদীর তীরে নির্মিত ওয়াকওয়েতে বসে সময় কাটাতে পারছে না নদীর বিনোদন প্রেমীরা। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের এলাকায় ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ ও ময়লা পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও কোথাও ফ্যানাযুক্ত কালচে বা সবুজ বর্ণের পানি সাংসারিক কোন কাজে আসছে না বলে অভিযোগ ক’জন ভূক্তভোগীর। ভোর রাত থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কিছুটা পানি ওয়াসার লাইনে আসলেও তাতে তীব্র দুর্গন্ধ। ফুটানোর পর পাত্রের তলায় কালো গাদ জমা হওয়ায় পানি পান করা যায় না। দেওভোগে বাসিন্দা দুলারী রহমান জানান, পানি চোখে লাগলেই চোখ জ্বালা-পোড়া শুরু করে। এমনকি অনেক সময় নাক পর্যন্ত জ্বলে। আমাদের এখানে এখন বিশুদ্ধ পানির বড় অভাব দেখা দিয়েছে। পানি বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াসা শতকরা ১৩ শতাংশ পানি নদী থেকে সংগ্রহ করে। বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা থেকে যে প্রক্রিয়ায় পানি সংগ্রহ করা হয় তাতে পানি বিশুদ্ধ হয় না। এছাড়া পানি বিশুদ্ধ করতে অনেক সময় ওয়াসা অতিমাত্রায় কেমিক্যাল ব্যবহার করে। যার কারণে পানি দুর্গন্ধ হয়। দূষিত পানি চোখে লাগলে চোখ জ্বালা-পোড়া করে। তবে ঢাকা ওয়াসার স্থানীয় এক প্রকৌশলী জানান, সঠিকভাবেই পানি বিশুদ্ধ করা হয়। কিন্তু মেইন লাইন ছিদ্র করে পানি চুরির কারণে পানিতে ময়লা প্রবেশ করছে। এছাড়া বাসা-বাড়িতে যে ট্যাংকি রয়েছে তা দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করার কারণে পানিতে দুর্গন্ধ হতে পারে। পানি পরিশোধনে অতিমাত্রায় কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলেও এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি স্বীকার করেন। তাছাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর পানিও অত্যন্ত দূগর্ন্ধময় হয়ে পরেছে।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯