বিএনপি নেতাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতার বাহিরে থাকায় নারায়ণগঞ্জে অধিকাংশ বিএনপির নেতাই রাজনীতিতে ঝিমিয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় বিএনপির অনেক নেতাই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে এই পরিস্থিতিতেও স্থানীয় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা সাংগঠনিক ভাবে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচীও পালন করছেন। কিন্তু এতোকিছুর পরও কতিপয় সুবিধাবাদি নেতারা নিজের স্বার্থে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করায় ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। তাই বিএনপির শীর্ষ নেতারা সাংগঠনিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিকে ঘিরে জেলা বিএনপির সাবেক নেতারা তাদের অনুগামী নেতাদের নিয়ে রাজপথে নামার চিন্তা করলেও তাদের সে ভাবনা উল্টে যাচ্ছে। তবে জেলার শীর্ষ নেতারা মাঠে থাকার কথা থাকলেও তাদের রাজপথে পাচ্ছে না দলের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। শীর্ষ নেতাদের ভূমিকা এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও প্রশ্ন বিদ্ধ। দলীয় কর্মসূচি থাকলেও শীর্ষ নেতাদের পাশে পাচ্ছে না কর্মীরা এমন অভিযোগ বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীদের। কর্মীদের অভিযোগ, স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ব্যর্থতার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীরা সাংগঠনিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। এছাড়াও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি মাস খানেকের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও পূনাঙ্গ কমিটি গঠনে তেমন ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে না। এদিকে জেলা বিএনপির পূনাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়ার কারণে অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনগুলোও ঢেলে সাজাতে পারেনি বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর এর জন্য হচ্ছে বিএনপির কথিত শীর্ষ নেতারা দায়ি এমনটাই মনে করছেন বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে মূল দল থেকে শুরু করে অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন করে সক্রিয় নেতাদের মাধ্যমে সাজাতে হবে। বিএনপির বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা বিরোধ আর বলয় তৈরীতে ব্যস্ত থাকলে দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না। কর্মীদের অভিযোগ দলের শীর্ষ নেতাদের কারণে অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিরোধে জড়িয়ে পরেছে। অনেক ক্ষেত্রে দলের অঙ্গ সংগঠনের অনেক পদহীন সাধারন নেতাকর্মীরাও এখন দলের শীর্ষ নেতাদের ধমক দিতে শুরু করেছে। অনেক সময় শীর্ষ নেতাদের দিক নিদের্শনাও দিচ্ছে বলে সূত্রে দাবি। অন্যদিকে, জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ পদ পেতে মিশন নিয়ে কাজ করছে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সাঁড়ির নেতাদের নিয়ে বলয় শক্তিশালী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপির কথিত নীতিনির্ধারকরা। তাই অনেক নেতাই দলকে শক্তিশালী করতে মাঠে কাজ করলেও কতিপয় নেতাদের জন্য ব্যর্থ হচ্ছেন। অপরদিকে একই অবস্থা মহানগর বিএনপির ক্ষেত্রেও। আইনজীবি নির্ভর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে একাধিক বিক্ষোভ মিছিলও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমনকি, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ আলাদা আলাদা ভাবে তাদের দলীয় কর্মসূচী পালন করে আসছেন। কোন্দরে জর্জরিত মহানগর বিএনপির কমিটির পূনাঙ্গ কমিটি হওয়া নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে সাধারন নেতাকর্মীদের মাঝে। বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, মহানগর বিএনপি এখন আর পূনাঙ্গ কমিটি কেন্দ্র ঘোষনা করবেন। আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে। নতুন ভাবে ত্যাগীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে ঢেলে সাজিয়ে কেন্দ্র নতুন করে মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষনা করবেন বলে ধারনা করে হচ্ছে। সর্বোপরি নির্বাচনের আগ মুহুর্তে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।