ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সন্ত্রাসী, মাদক সম্রাট, নৌ পথে ডাকাতি ও তেল চোরসহ নানা অপকর্মের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এবং ১৯নং ওর্য়াড এলাকা। যে এলাকা শহর ও বন্দরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক সম্রাটরা নানাভাবে জিম্মি করে রেখেছে। দীর্ঘ প্রায় ৪/৫ বছর চক্রটি ওই এলাকায় অপরাধ কর্মকান্ড করে গেলেও বর্তমানে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। নদী পথে ডাকাতি, তেল চুরি, মাদক পাচারসহ এমন কোন হীন কাজ নেই যেন তারা করেন না। নিজেদের শক্তিকে বৃদ্ধি করতে শহরের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের (ভাইজান নামে পরিচিত) তার নাম বলতেও ভুল করেন না। কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিশাল একটা অংশ ও নাসিক ১৯নং ওর্য়াড এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিনিয়ত এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে আতংকিত করে রাখে। ওই চক্রটির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। আতংক ও উৎক্টায় দিন কাটাচ্ছে সচেতন মহল। বন্দরের এ অঞ্চলের অপরাধ দমনে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। মদনগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, আমরা এলাকায় বসবাস করি না পেরে। মাদক সম্রাট, ডাকাত, ড্রেজার সন্ত্রাসী, নদী পথে রাতের আধারে তেল চোরদের এলাকায় পরিনত হয়েছে। শুধু সন্ত্রাসী বা মাদক সম্রাট না সমাজের কথিত সমাজ সেবকরা এদের দেখভাল করে রাখে। সন্ত্রাসী বাহিনীর কর্মকান্ডে এলাকায় কোন ঘটনা ঘটলে প্রশাসন আসার পূর্বেই বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে অন্য দিকে প্রভাবিত করতে দ্রুত উপস্থিত হয়ে যায় জনপ্রতিনিধি ও কথিত সমাজ সেবকরা। একের পর একটি ঘটনা ঘটিয়ে কিভাবে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ায় তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। বন্দরের কলাগাছিয়া ৩ নদীর মোহনা থেকে মদনগঞ্জ লঞ্চঘাট, কয়লা ঘাট পর্যন্ত নদী পথে সকল প্রকার অপকর্মের নের্তৃত্বে রয়েছে ২০/২৫ জনের একটি সিন্ডিকেট। নদী পথে রাত হলেই তাদের দেখা মিলে বিভিন্ন রুপে। একাধিক গ্রুপ ট্রলার যোগে নদী পথে শুরু করে অপকর্ম। বিভিন্ন তেলবাহী জাহাজ হতে অবৈধভাবে তেল চুরি, ডাকতি সহ মাদকের চালান পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। মাদক সম্রাট ব্লাক জনি, মদনগঞ্জ এলাকার দয়াল, দক্ষিণ ঘারমোড়া এলাকার শফিউল্লাহ ছেলে ডালিম, গুলজারের ছেলে সাদ্দাম ও মাদক ব্যবসায়ী রোমন ওরফে ক্যাপ রোমানের নের্তৃত্বে চলছে যত প্রকার অপকর্ম। এই সিন্ডিকেটের সকল কিছু করার মত ক্ষমতা রাখে। বন্দরের সাবদী এলাকায় ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে ড্রেজার পাইপ ও ড্রেজার ভাংচুরসহ অগ্নি সংযোগ করে দয়াল, রোমান ও রমজান বাহিনী। পরিকল্পিত ভাবে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে এ গ্রুপটি সাবদীতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে চলে যায়। গ্রুপটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সাবদী ও মদনগঞ্জে হামলা চালায়। ফরাজীকান্দা এলাকার টিপু ও রমজানের বাড়িতে শহরের তামিম সরকার, মদনগঞ্জের দয়ালের পরিকল্পনায় সাবদী এবং মদনগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটায়। বন্দরে উদ্বোধনের ২৪ ঘন্টা পার না হতেই অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক/কর্মচারী ইউনিয়নের মদনগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর তান্ডব চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী রোমন ওরফে ক্যাপ রোমান ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। আলীনগর এলাকার ইব্রাহিমের ছেলে রমজান ওরফে চুক্কা রমজান, আবুল বাশার, রোমান ওরফে ক্যাপ রোমান,মদনগঞ্জ এলাকার জাহাঙ্গীর ওরফে কাইল্লা জাহাঙ্গীর, একই এলাকার দয়াল, কল্যান্দী এলাকার রয়েল, ঘারমোড়া এলাকার মহিত মিয়ার ছেলে অনিক, চরধলেশ্বরী এলাকার ইসলাম, শাকিল, পারভেজ, চুনাভূরা এলাকার শফিকুল, লেংটাপাড়া এলাকার মাদক সম্রাট আউয়ালের ছেলে কাউসারদের চক্রটি। মাদক সম্রাট রোমানের নের্তৃত্বে বাহিনীটি মদনগঞ্জে নৌ-যান শ্রমিক কার্যালয়ে তান্ডব, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী’র ছবি ভাংচুর করতেও পিছু হঠেনি। নদীর সামনে কার্যলয় থাকলে তাদের নদী পথে অপকর্ম করতে সমস্যা হতে পারে এমন চিন্তাধারা নিয়ে শুরুতেই তান্ডব চালিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেন। এই চক্রটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে টাকার জন্য সকল কিছু করতে প্রস্তুত। তাদের কর্মকান্ডে রীতিমত উদ্বিগ্ন ও হতাশায় সচেতন মহল। এক সময় মদনগঞ্জের পিচ্চি সুমন বাহিনীর কাছে যেমন জিম্মি ছিল এলাকাবাসী। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে ওই অধ্যার সমাপ্তি হলেও পুনরায় আবারো শুরু হয়েছে তান্ডব। যেখানে জনপ্রতিনিধি, সরকার দলীয় ও বিএনপির সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন হয়েছে। এক সুমনের অত্যাচারে যেখানে দিশেহারা ছিল জনগণ এখন দয়াল, রয়েল, রোমান, রমজানসহ ২০/২৫ জনের তান্ডবলীলা। চক্রটি এতই অর্থ পিপাসু হয়ে উঠেছে যেকোন উপায়ে তা প্রয়োজন। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, নদী পথে তেল চুরিসহ সকল অপকর্ম চালাচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে নিজেদের অবস্থান জাহির করতে সংঘর্ষ, হামলা, ভাংচুরের মত ঘটনা। চক্রটি অনেক সময় স্বার্থ হাসিলে নিজেদের উপর হামলা চালাতে পিছু হঠে না। তা আবার কাউকে ঘায়েলের কৌশল ও আটেন। শেল্টার দাতা ও মদদকারীরা নিজদের মধ্যে কোন ঘটনা ঘটলে তা অন্য কাউকে ঘায়েলের ছক আটেন। দক্ষিণাঞ্চলের বর্তমান প্রেক্ষাপট চলতে থাকলে যেকোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও প্রানহানীর মত ঘটনা। সার্বিক অবস্থা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন, তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯