ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়নগঞ্জে আ.লীগের উত্তর- দক্ষিন মেরুর হেভিওয়েট রাজনৈতিক পরিবার বিভক্ত। দুই পরিবারই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। যুগ যুগ ধরে দুই পরিবার নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে বহন করে। বাংলাদেশের ইতিহাসেও এমন অনেক পরিবার আছে যারা যুগ যুগ ধরে একটি দলের নীতিতে আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। জাতীয় চার নেতার পরিবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আছে সেই শুরু থেকে। তাদের পরিবার নিয়েও কমবেশি সকলের জানা। আওয়ামী লীগের আরো কয়েকটি পরিবার আছে যারা কয়েকযুগ ধরে এই দলটির সঙ্গে আছে। শত বাধা প্রতিকূলতা, অত্যাচার, নিপীড়ন সহ্য করেও জাতির জনকের নীতিতে অটল। তবে গত বছরে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নাসিক নির্বাচন নিয়ে কোন প্রকার কৌতুহল, আলোচনা, সমালোচনার কম ছিল না। নাসিক নির্বাচনের দিকে খোত দল প্রধান শেখ হাসিনার দৃষ্টি ছিল। তাছাড়াও দেশ- বিদেশি কুটনৈতিক, সাংবাদিক, বিভিন্ন সংস্থার নজর ছিল। নির্বাচনের শুরুতে নানা নাটকীতার দেখা মিলেছে। নাসিক পদে ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। শুরুতে তার চরম বিরধীতা করতে দেখা গেছে ওসমান পরিবার। সদর-বন্দর আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান পন্থী বন্দরের ৪ জন জাতীয় পার্টির ইউপি চেয়ারম্যান প্রকাশ্য তৈমুর আলম খন্দকারের “হাতিকের” গণসংযোগ করেন। বন্দর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন প্রচারনায় অংশ নেওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। দৃষ্টিতে পরে নাসিক নির্বাচন পরিচালনা পর্যবেক্ষন টিমের জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসির, মির্জা আজমসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের। আইভী বিরোধী হিসেবে ওসমান পরিবারকে বললেও প্রমান দেখাতে পারেনি। জাতীয় পার্টির ৪ চেয়ারম্যান প্রকাশ্য হওয়ার পরই নৌকা প্রতীকের গণসংযোগে আসে ভিন্নতা। মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী তার পূর্বে বিভিন্ন জায়গায় শামীম ওসমানের কথা বললেই উত্তরে বলতেন উনি আমার বড় ভাই। তারপরও একজন এমপি হয়ে আমার প্রচারণায় আসতে পারে না। আইনগত কারনে আসতে না পারলেও নৌকার বিরোধী না। ২ দিন পরই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানদের বিরোধিতা দেখে মেয়র আইভী বড় ভাইকে বানিয়ে দিলেন গডফাদার। তিনি প্রতিনিয়ত একটু অহামিকা দেখিয়ে বলতেন তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপি বা সত্বন্ত্র প্রার্থী না, তিনি গডফাদার সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের প্রার্থী। এমন অবস্থা দেখে দলীয় নেতাকর্মীরা দ্বিধাদন্দে পরে যান। অনেকে বলে থাকতেন এবার ওসমান পরিবারের রাজনীতি শেষ। ওসমান পরিবার যে শেখ হাসিনা পরিবারের সন্তান তা অনেকে ভুলেই গিয়েছিলো। শামীম ওসমান দেশের মধ্যে একজন প্রভাবশালী সাংসদ। যিনি রাজনীতি করেন কর্মীবান্ধব ও জনগণের স্বার্থে। সেই ওসমান পরিবারের রাজনীতির খেলা এত সহজে বুঝা দায় তা প্রমান করে দিলেন। সকল কিছুকে পেছনে ফেলে দল প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দ্বিতীয়বারের মত ওসমান পরিবারের প্রতি তার দায়িত্ববোধের কথা সাফ জানিয়ে দিলেন। সিটি নির্বাচনে বিজয়ের মূল নায়ক শামীম ওসমান তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে দেশবাসীকে জানিয়ে দিলেন। এরপর থেকে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক চিত্র অনেকটা উল্টো দিকে প্রভাবিত হচ্ছে। ওসমান পরিবার যে নৌকা প্রতীকের তা প্রমান করলেন। স্বপ্নের শীতলক্ষা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমান পরিবারের ভূমিকা, প্রয়াত নাসিম ওসমানের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসার কথা অকপটে স্বীকার করেন। ওসমান পরিবার: বিভিন্ন সময়ে চমকপ্রদ অনেক খবরের শিরোনাম হওয়া শামীম ওসমানের পূর্ববর্তী তিন পুরুষের রাজনৈতিক ইতিহাস অনেক বৈচিত্র্যময়। ওসমান পরিবারের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রতিষ্ঠাতা খান সাহেব ওসমান আলী। খান সাহেব ওসমান আলীর রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৪৬ সালে, তৎকালীন ঢাকার নবাব হাবিবুল্লাহর জামানত বাজেয়াপ্ত করে এমএলএ নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। বিভিন্ন সময়ে ওসমান পরিবার দাবি করে যে বঙ্গবন্ধুর পদচারণায় তাদের প্রতিষ্ঠিত বায়তুল আমানে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। রাজনীতির মাঠে আসেন ওসমান পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্ম খান সাহেব ওসমান আলীর ছেলে একেএম শামছুজ্জোহা। ৭০-এর প্রাদেশিক সরকারের নির্বাচনে তিনি পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে খান সাহেব ওসমান আলী মৃত্যুবরণ করেন। এই পরিবারের সাথে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ১৯৭৩ সালে শামছুজ্জোহা জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ অবদান রাখায় তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়। একেএম শামছুজ্জোহার তিন ছেলে-নাসিম ওসমান, সেলিম ওসমান, শামীম ওসমান। এরশাদের আমলে নাসিম ওসমান জাতীয় পার্টীতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনিও চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তার মৃত্যুর পর সদর-বন্দর আসনে ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত সেলিম ওসমান ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৯৬ সালের নির্বাচনে শামীম ওসমান ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এখনও তিনি সেখানকার সংসদ সদস্য। এভাবেই বংশগত ভাবে ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির এক বড় অংশ দখল করে আছে। চুনকা পরিবার: ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন আলী আহম্মদ চুনকা। স্বাধীনতার পর তিনি আওয়ামী লীগের পাশাপাশি শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। দিন দিন নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন আলী আহম্মদ চুনকা। তিনি নারায়ণগঞ্জের প্রথম নির্বাচিত পৌর চেয়ারম্যান। তিনি দুবার নারায়ণগঞ্জের পৌর চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রতিদ্বন্দ্বী ওসমান পরিবারের একেএম শামছুজ্জোহাকে হারিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন আলী আহম্মদ চুনকা। আলী আহম্মদ চুনকার পাঁচ সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তান সেলিনা হায়াত আইভী। তিনি পেশায় একজন ডাক্তার। ১৯৮৪ সালে চুনকার মৃত্যুর পর ১৯৮৫ সালে আইভী বৃত্তি নিয়ে পড়তে চলে যান দেশের বাইরে। দেশে ফিরে আইভি রাজনীতির মাঠে যোগ দেন। তিনিই দেশের একমাত্র নারী সিটি মেয়র, যার পদমর্যাদা ছিল প্রতিমন্ত্রীর সমমানের। আইভীর ভাই ও বোন জামাতাও রাজনীতির মাঠে সক্রিয়। নাসিক ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী হ্যাট্রিক বিজয়ী। তার পূর্বে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। উন্নয়নের রোল মডেল খ্যাত সেলিনা হায়াত আইভী জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতিও বটে। দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও তেমন কর্মীবান্ধব না, এমনকি নতুন কর্মী সৃষ্টি করে দলের রাজনীতি গতিশীল করতে পারেননি। উন্নয়ন আর সংগঠন ভিন্ন ধারা তা অনেকে বুঝতে কষ্ট হয়। রাজনীতি আর ভোটের রাজনীতির চিত্র বিশাল ব্যবধান। সংগঠন যতটা গতিশীল থাকবে ভোটের মাঠে তার প্রভাব দেখা যায়। নারায়নগঞ্জে আ.লীগের উত্তর- দক্ষিন মেরুর হেভিওয়েট রাজনৈতিক পরিবার নিয়ে আলোচনা – সমালোচনা করলেও অনেক হিসেব কষতে হয়। অন্যথায় নানা ঘেরাকলের কবল পতিত হতে হয় নেতাকর্মীদের। ওসমান পরিবারের একনিষ্ঠ কর্মীদের টার্গেট পূর্বক দীর্ঘদিন যাবত খেলা চলছে। কিছু দিন বন্ধ থাকলেও পুনরায় আবার শুরু হয়েছে। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান মানেই রাজনীতিতে এক আলোচিত ও সমালোচিত নেতা। তবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে ভবিষ্যত ইঙ্গিত দিয়ে থাকেন এ সাংসদ। ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শামীম ওসমান এক বিচক্ষণ নেতা। দল, সংগঠন ও রাজনীতির মাঠে একজন পরিপক্ব। দেশের ভবিষ্যত চিন্তাধারা প্রায় ৬ / ৮ মাস আগেই সমাবেশ বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে কর্মীদের সুসংগঠিত রাখতে এবং বিরোধীদের কঠোর জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানান। প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান জাতীয় সংসদে ৩৪ মিনিটের একটি জ্বালাময়ী বক্তব্যে বিষধ আলোচনা করেন। তৎসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা আব্দুস সোবহানের পত্রিকায় লেখা নিয়ে। যে দেশের ১শ’ জন এমপির তালিকা নিয়ে তারা কাজ করছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে যে ভবিষ্যতে জনগণের কাছে যেতে না পারে। তার এ বক্তব্যটি বন্দরে বেশ চলছে। ওসমান পরিবারের একনিষ্ঠ কর্মীদের টার্গেট নিয়ে পুনরায় শুরু হয়েছে খেলা। কিছু পত্রিকা ও বিশেষ মহলের ইন্দনে বন্দরের রাজপথের ত্যাগী, কর্মীবান্ধব জনপ্রিয় নেতাদের টার্গেট নিয়ে চলছে খেলা। বন্দরের তরুন মেধাবী রাজপথের সবচেয়ে ত্যাগী নেতাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এমন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে যাতে ভবিষ্যতে ওই নেতারা জনগণের সামনে যেতে না পারে। প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান ভাইয়ের একজন নগন্য কর্মী হিসেবে আমি খান মাসুদ বলতে চাই, আরে ভাই লিখেন, আপনাদের উচিত সত্য প্রকাশ করা। আমার ভুল পেলে লেখেন, না পেলে। অহেতুক এরুপ মনগড়া লিখে ওনগনের কাছে আপনাদের অবস্থান কোন পর্যায়ে যায়। আমি রাজনীতি করে বাড়ি-গাড়ি করিনি। আমার অপরাধ জনগন আমাকে ভালবাসে, কর্মীরা আমাকে ভালবাসে। জনগণ ও কর্মী না থাকলে রাজনীতি করার মানে নাই। ২ ঘন্টার ম্যাসেজে বন্দরের মাঠিতে ১০/১৫ হাজার নেতাকর্মী জড়ো করা ইনশাআল্লাহ সময়ের ব্যাপার। আর এই জনপ্রিয়তাই আমার অপরাধ।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯