ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সরকার ক্ষমতায় রয়েছেন আওয়ামীলীগ। দীর্ঘদীন ধরে ক্ষমতয় থাকার সুবাধে নারায়ণগঞ্জের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে চলছে উন্নয়নের প্রতিযোগিতা। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে উন্নয়ন ও ঐক্য নিয়ে তিনটি চ্যালেন্জ সামনে এসে দাড়িয়েছে। এ তিনটি চ্যালেঞ্জে কেউ পিছু হটলে কিংবা হেরে গেলে ভবিষ্যতে তাদের সক্ষমতা ও অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান মারা যাওয়ার পর পরই ২০১৪ সালের ২৬ জুন উপ নির্বাচনে ভাইয়ের আসনে জয়ের পর থেকেই ঐক্যের ডাক দিয়ে আসছিলেন (সদর-বন্দর) আসনের এমপি সেলিম ওসমান। তিনি বার বার মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে এক টেবিলে বসার আহবান জানিয়ে আসছিলেন। কখনো কখনো তাদের বক্তব্যে এক পাওয়া গেলেও কখনো গরমিল পাওয়া যায়। তবে সেলিম ওসমান সকল ধরনের অপরাজনীতি দূর করে ঐক্যের কথা বলে আসছেন। সাংসদ সেলিম ওসমান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে বলেছেন, আমাদের অতীতে যে ভুল ছিল সেগুলো আজ এই বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়ে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে আসছিলেন। একটা সময় ছিল নারায়ণগঞ্জের নাম শুনলে ভয় পেত, নারায়ণগঞ্জের নোরাংমির রাজনীতি শুরু হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জে ৪০০ বছরের পুরনো কলঙ্ক ছিল। শামীম ওসমান সেই কলঙ্ক দূর করেছে। সে কারনে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তোলা হয়েছিল। আজকে আমরা নারায়ণগঞ্জকে কলঙ্কমুক্ত করার চেষ্টা করছি। আজকে নারায়ণগঞ্জে যে প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে তা হচ্ছে কে মেয়র, কে চেয়ারম্যানকে সংসদ সদস্য হয়ে উন্নয়ন করবে। কে কার আগে দ্রুত উন্নয়নে কাজ করবে। এ প্রতিযোগীতার নাম উন্নয়নের প্রতিযোগীতা। আমি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করবো নারায়ণগঞ্জের এ উন্নয়নের কথা যেন তারা তাদের লেখনিতে তুলে ধরেন। নারায়ণগঞ্জে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্পায়নের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সাংসদ সেলিম ওসান চাটুকারিতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমার কাছে অন্য কিছু চায় না। তারা চায় নারয়ণগঞ্জ থেকে অপরাজনীতি দূর হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। কিছু দু’মুখো সাপ রয়েছে যারা আমার ভাইয়ের কাছে আমার বোনের কাছে গিয়ে অপরাজনীতি করে আশান্তি সৃষ্টি করে রাখছে। তারা সংখ্যায় খুব বেশি নয়। নারায়ণগঞ্জের শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবাই যদি আমাকে সহযোগীতা করেন তাহলে প্রযোজনে দু’মুখো সাপ যারা আছে তাদের পেটে পাড়া দিয়ে অপরাজনীতি দূর করবো। এদিকে সেলিম ওসমানের ঐক্যের যে আহবান রয়েছ তা বাস্তবায়ন করতে হলে তাকে আবারও উদ্যোগ নিতে হবে। এটা তার জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। আর নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের স্বার্থ বিষয়টি বিবেচনা করলে সাংসদ সেলিম ওসমান আবারো উন্নয়নের প্রতিযোগিতাকে বেশি গুরুত্ব দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা নারায়ণগঞ্জবাসীর। সিটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পরই মেয়র আইভী নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সামনে জনগণের অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘জনতার মুখোমুখি’ হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী ও পরিষদের কাউন্সিলরা। ওই অনুষ্ঠানে আইভী একটি চ্যালেঞ্জ নিজেই নিজের উপর নিয়ে নিয়েছেন। এ সময় জনতার সামনে আইভী বলেছিলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কোন কাজ বন্ধ হয়নি। জাইকার ৫০০ কোটি টাকার কাজের টেন্ডার সফল ভাবে সমাপ্ত হয়েছে। সরকার আমাদের অধিকার দিয়েছে জলাশয় রক্ষা করার জন্য। এটা ভরাট করে বিক্রি করার জন্য নয়। রেলওয়ে বিক্রি করতে পারবে না। যতদিন পর্যন্ত আমি নারায়ণগঞ্জে বেঁচে আছি ততদিন পর্যন্ত পারবে না। আমার প্রাণ থাকতে ওই জলাশয় রক্ষা করবোই। আইনের মাধ্যমেই হোকা আর যেই ভাবেই হোক। যদি মামলা হয় আমার বিরুদ্ধে হবে। আমি মামলা ফেস করে তারপর নারায়ণগঞ্জবাসীকে নিয়ে এ লেক অবশ্যই করবো। যেটা প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছে সারা বাংলাদেশে যে জলাশয় গুলো আছে সেগুলো রক্ষা করার জন্য। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন মেয়র আইভী। এক কথায় মেয়র আইভীকে উন্নয়নের রানী হিসেবে উপাধি দিয়েছেন। তবে মেয়র আইভী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এটাও বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ করতে একটা শ্রেনী বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নসহ শান্তিময় শহরকে অশান্ত করার জন্য যে সকল চাটুকার রয়েছে শহরবাসী তাদের ভাল করেই চেনেন এবং জানেন। তাই আমাদের মত প্রতিটি জনপ্রতিনিধিদের উচিত হবে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের স্বার্থে ঐ সকল চাটুকারিদের আশ্রয় কিংবা প্রশ্রয় না দেওয়া হয়। তাহলেই নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য উন্নয়ন কাজকে কেউ বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না। আর আইভীর এমন বক্তব্যেই উঠে আসে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের প্রশ্নে আপোষ নয় বরং যে সকল চাটুকার উন্নয়নে বাধার চেষ্টা করবেন তাদেরকে জেলাবাসীর কাছে চিহ্নিত করে আস্তাকুড়ে ফেলে দিতে হবে। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূতি উজ্জলের পাশাপাশি উন্নয়নের রূপকার হিসেবে সাধারন মানুষের কাছে পরিচিত লাভ করেছেন। নির্বাচনী এলাকয় উন্নয়ন যেমন হয়েছে তেমনি ক্ষমতাশীল লোকজনও দলের সুনাম রক্ষার্থে সাংসদের বিভিন্ন নির্দেশ মোতাবেক সাংগঠনিক কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মেয়র আইভীর সাথে মত বিরোধ কিংকা মত অনৈক্য থাকলেও উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত আইভী কিংবা মেয়র সাংসদ শামীম ওসমান কখনো নেননি। বরং তাদের মতো বর্তমানে উন্নয়নের প্রতিযোগিতা চলে আসছে। এর ধারাবাহিকতা ভবিষত্যেও বজায় থাকবে বলেও জেলাবাসী মনে করেন। সে সাথে যে সকল চাটুকার নারায়ণগঞ্জে অশান্তি করার পায়তারা করবে তাদেরকে চিহ্নিত করে ডাষ্টবিনে নিক্ষেপ করার জন্য।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯