নয়া রূপে না’গঞ্জ বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ধরে নেতায় নেতায় কোন্দল থাকলেও বছরের শুরু থেকেই নেতারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। এতে করে ধীরে ধীরে রাজপথে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে শুরু করেছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। ইতিমধ্যে সরকার বিরোধী আন্দোলনের মধ্যদিয়ে শহর সরগম করেছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির এমন অনেক প্রভাবশালী নেতা রয়েছেন যাদের বহুদিন ধরে একসাথে দেখা মিলে না। তবে এবার দলীয় কর্মসূচীতে বিএনপির সেসকল সেসকল নেতাদের একসাথে দেখা মিলেছে। এদিন তারা একই সাঁড়িতে এবং পাশাপাশি সরকার বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। যা নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নতুন বার্তা বয়ে আনবে বলে মনে করছেন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক দলীয় কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ কাঁপিয়েছে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এছাড়াও সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি পন্থি আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকতে দেখা গেছে। যদিও নির্বাচনে বিএনপি প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে তবে ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় নেতৃবৃন্দ একসাথে নির্বাচনের অংশ নেয়া প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করায় দীর্ঘদীনের কোন্দল নিরসন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অথচ, বিগত দিনে দেখা গেছে, আদালতপাড়ায় বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের বিরোধ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছিল। প্রায়ই বিএনপি পন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু সেই দৃশ্য পাল্টে গেছে। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রস্তুতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছিল বিএনপি পন্থি আইনজীবীরা। তবে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ দখল করতে দ্রুত সকল নেতাদের ঐক্য প্রয়োজন। জানাগেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত দুই বছরে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় নেতাদের কোন্দলে তা সবই ভেস্তে গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি-এমন প্রশ্নও উঠেছিল। যা দেখে সাধারণ কর্মীরাও হতাশায় ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পরে হলেও ফের নারায়ণগঞ্জের রাজপথে গর্জন দিয়ে উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিটিং আর মিছিলে মিছিলে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে ঝড় তুলছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।  দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে, ভয়হীন ভাবে নেতাকর্মীরা শ্লোগানে শ্লোগানে ঢেউ তুলেছেন নারায়ণগঞ্জের রাজপথ। ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচিতে ব্যস্ততম রাজপথ দখল করে বক্ততা দিয়েছেন নেতারা আর মন্ত্রমুগ্ধের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই বক্তব্য শুনে আগামী দিনের স্বপ্ন বুনতে শুরু করে দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বিএনপির সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, এখন বাংলাদেশ উদ্ধার করতে হবে। ভোট চোরদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হবে। আওয়ামী লীগ সংবিধান স্বীকৃত জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে, দেশের আত্মা বিক্রি করে দিয়েছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। নতুন বছরে মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানো হবে। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে কর্মসূচি দেওয়া হবে। তবে নাশকতা হয়, এমন কোনো কর্মসূচি দেওয়া যাবে না। অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে শান্তিপূর্ণ যত উপায় ও পদ্ধতি রয়েছে, সবগুলো অ্যাপ্লাই করা হবে। নিয়মতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, এখন পেছনে তাকানোর আর সুযোগ নেই বিএনপির। সমাবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হয়েছে। যার শেষও দেখতে হবে। দেশের পরিস্থিতি ও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিএনপি এখন ‘ডু অর ডাই’ পজিশনে। জনগণই আমাদের শক্তি। সরকারকে বিদায় করতে জনগনকে সাথে নিয়ে পাড়া মহল্লায় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এখন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হলেও যে কোনো সময় বড় ধরনের কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে নামার পরিকল্পনা রয়েছে দলের। এছাড়া অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তিসহ কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।