আজ শুক্রবার | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১ | ৩০ রজব ১৪৪৬ | দুপুর ১২:১৩
শিরোনাম:
বানিজ্য মেলায় দুই গ্রæপের সংঘর্ষে ২২জন আহত    ♦     অনলাইনেই সংগঠিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ    ♦     চারুকলা ইনস্টিটিউটের জায়গা দখল করে দোকান    ♦     বন্দরে অসুস্থ্য বিএনপি নেতা হাফেজ আহমেদের পাশে সাবেক এমপি এড. আবুল কালাম    ♦     হোসিয়ারী এসোসিয়েশন নির্বাচনে বদু প্যানেল’র পরিচিতি সভা    ♦     সরকারি কদম রসুল কলেজে তারুণ্য মেলা অনুষ্ঠিত    ♦     যানজট নিরসনে বাস স্ট্যান্ড সরাতে হবে    ♦     ব্যাটারীচালিত রিকশা ও ফুটপাত দখল যানজটের মূল কারণ    ♦     রাইফেল ক্লাব-বাইতুল আমান ও পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙতে হবে: রফিউর রাব্বি    ♦     বিএনপিতে মনোনয়ন বাগাতে নেতায় নেতায় কোন্দল চরমে    ♦    

প্রস্তুত আ’লীগ ও বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ষণগঞ্জে বিএনপির নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে এবং সেই রাজনৈতিক আন্দোলন অনেকটাই দৃশ্যমান। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপিকে অনেকটা আক্রমণাত্মক এবং সহিংস অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। বিএনপি যেন গায়ে পড়ে ঝগড়া করার মতো বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস, সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছে। বিএনপির অবস্থান সুস্পষ্ট। তারা মনে করছে যে, এখনই রাজপথে আন্দোলন করার সময়। আর এ কারণেই কেন্দ্রের নির্দেশনায় জেলা বিএনপি বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীদেরকে রাজপথে আন্দোলন করার জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা দলের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বিএনপির শুধু মার খেলে হবেনা মার দিতে হবে। একটি রাজনৈতিক দলের এরকম আক্রমণাত্মক অবস্থান নিঃসন্দেহে রাজনীতির উত্তাপেরই পূর্বাভাস। কিন্তু আওয়ামীলীগ এই অবস্থায় চুপচাপ হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে না। বিশেষ করে অন্যান্য সময় গুলোতে যেভাবে আওয়ামীলীগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল ছিল তেমনটিও থাকতে চায় না। বরং জেলা আওয়মী লীগের নীতিনির্ধারক সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগ বিএনপি-জামায়াত এবং অন্যান্য বিরোধী দলকে রাজপথেই মোকাবেলা করতে চায়। আর রাজপথে মোকাবেলার জন্য আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক প্রস্তুতিও গ্রহণ করছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, সম্প্রতি আন্দোলনের নামে যে অরাজকতা করেছে তা ক্ষমতাসীনদের জন্য শিক্ষা। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়ে বিএনপি প্রমান করেছে তারা লাঁশের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি আন্দোলনের নামে নাশকতা ঘটিয়ে লাঁশের রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। আর ঐ লাঁশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে রাজনীতির মাঠ দখল করতে চায়। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবেই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই জেলা নেতৃবৃন্দ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ রাজপথে অবস্থানের মাধ্যমে বিএনপি জামায়াত শিবিরের নাশকতা রোধে রাজপথে অবস্থান নিবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা আওয়ামী লীগ ধারাবাহিক কর্মসূচির পদক্ষেপ নিচ্ছে। জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে হার্ডলাইনের আন্দোলনে রয়েছে দলটি। তবে এত বছরে এভাবে সাহস ও শক্তি নিয়ে রাজপথে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। নারায়ণগঞ্জ জেলা আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার। কিন্তু বিগত সময়ে আন্দোলনের মাঠে তেমন ঝড় তুলতে পারেনি জেলাটি। এর মধ্যেই মামলা গ্রেফতার কারাবাস ও পুলিশের পিটুনীতে নাজেহাল ছিল নেতাকর্মীরা। এহেন অবস্থায় নেতাকর্মীরা এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে দাবি করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান। এ সাজাটিকে প্রহসনের রায় দাবি করলেও সেসময় নারায়ণগঞ্জে চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো আন্দোলন দেখাতে পারেনি দলটি। বর্তমান সময়ে দেখা গেছে তার ভিন্ন চিত্র। দলের নেতা কে বিবেচনায় না নিয়ে এক্যবদ্ধ হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। রাজপথে ইতোমধ্যে গড়ে তুলেছে শক্ত অবস্থান। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের এখন টার্গেট যেকোন মূল্যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করা। কারণ বর্তমান সময়ে মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস, বিদ্যুতের চড়া মূল্য, তেলের দাম বাড়া ও লোডশেডিংসহ নানা ইস্যুতে এখন মানুষ সরকারের ওপর ক্ষুদ্ধ। যেকোন মূল্যে এই নাভিশ্বাস অবস্থা থেকে মুক্তি চায় মানুষ। আর সে সুযোগে যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা বিএনপি করে দিতে পারে তবে বাকি কাজ মানুষ ভোটে করে দেবে। আর তাই এ মুহূর্তে সরকার পতনের আন্দোলনের বিকল্প দেখছেনা বিএনপি। সেই আন্দোলনে কেন্দ্রের নির্দেশ মতো কাজ করতে মাঠে রয়েছে দলটি। দলের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দীন জানান, এখন আর ভিন্ন কোনো পথ নেই সবার পথ এক পথ। সেই পথ হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য লড়াইয়ের পদ। এখন আন্দোলন সংগ্রমের মাধ্যমে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করে মানুষের দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি দিতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে এখন সব মোহনা এক সঙ্গে এসে মিশেছে। এখন আমরা একত্রিত হয়ে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ দখলে রেখে সব আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচি সফল করে এ সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবো।শত নির্যাতনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বিএনপি এখনো শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, দলীয় নেতৃবৃন্দে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে নামলেই ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারাতো নিজেরা কিছু করতে পারেন না’ পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে দমন নীপিড়নসহ মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আন্দোলন থেকে দূরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাতে পারেন শুধু! তবুও নারায়ণগঞ্জে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, অনেকে জানতে চান কবে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের কথা শুনে আমি অবাক হই। বিএনপি তো আন্দোলনের মধ্যেই আছে। সরকারের নানা ব্যর্থতায় আমরা রাজপথেই প্রতিবাদ করছি। আন্দোলন মানে তো গাড়ি ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও নয়, আমরা এসবে বিশ্বাস করি না। জনগণও সেটা চায় না। আমরা চাই সরকারবিরোধী একটি গণআন্দোলন। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকার তার গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে সবসময় বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। অতীতে আমরা সরকারের এমন নীলনকশা দেখেছি। সরকার একটা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে বিএনপিকে আন্দোলনে উসকে দিতে চাইছে। কিন্তু আমরা সরকারের কোনো উসকানিতে পা দেব না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সময়মতো চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা