ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জের রাজপথ এখন পুরোপুরি বিএনপির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। দলের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথ কাঁপাচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ পেয়ে রুটিন মাফিক রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে নেতাকর্মীরা। কোন হুমকী কিংবা ভয়কে পাত্তা না দিয়ে প্রকাশ্যে দলীয় কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। ভয়কে উপেক্ষা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথ দখলে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দলীয় কর্মকান্ডে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনের মধ্যদিয়ে বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে এগিয়ে নিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা। কেন্দ্রীয় নেতারাও নিয়মিত নারায়ণগঞ্জে আসছে। বিএনপির মতে, নারায়ণগঞ্জ গডফাদার-গডমাদারের শহর। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছেন সকল ধরনের ভয়কে উপেক্ষা করে। নারায়নগঞ্জের মানুষের স্বার্থে তারা দলীয় কর্মসূচী পালন করে আসছে নির্বিঘেœ। বোদ্ধা মহলের মতে, বিএনপির স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের এমন বক্তব্য নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে উত্তাপ, উত্তেজনা ছড়িয়ে পরতে পারে। বিএনপি উস্কানীমূলক মন্তব্য, বক্তব্য নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিকে সংঘাতের দিক নিয়ে যাবে। বিএনপির নেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁদের মতে, নেতাদের এমন বক্তব্য কর্মীদের রাজপথে চাঙা রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এদিকে, বিগত দিনের চেয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আন্দোলনে মানুষের অংশ গ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দলের কর্মকান্ডে দলীয় কর্মীদের অংশ গ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নেতাদের বিরোধের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিচ্ছে কর্মীরা। দলীয় নেতার বিরোধ না থাকলে এই অংশ গ্রহণ আরো বৃহত্তম রূপ নিবে। দলের তৃনমূলের কর্মীরা বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পক্ষে রয়েছে। কিন্তু নেতারা নিজের আধিপত্য নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি বিরোধ মিলে ঐক্যবদ্ধ না হলে সরকার বিরোধী আন্দোলন চাঙা করতে কঠিন হবে। অপর দিকে, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড.তৈমুর আলমকে বিএনপি নেতা বহিষ্কারের পর থেকে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দ্বন্দ্ব এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এই দ্বন্দ্বের কারণে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা রক্তাক্ত হয়েছে। অনেক নেতা রাজনৈতিক সংকটে পরেছে। সূত্র জানায়, গত বছর দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করতে গিয়ে শাওন নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয় এবং অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। মামলায় ১০ হাজার নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে বিএনপির নেতারা কৌশলী হয়েছে। দলের হাইকমান্ডের নিদের্শ মানতে গিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছেন। বিশ্লেষক মহলের মতে, পুলিশ মারমুখী অবস্থানে অনঢ় থাকলে বিএনপির আগামী দিনগুলোর আন্দোলন কঠিন থেকে কঠিনতম হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, আগামীতে বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও রাজপথে অবস্থান নিবেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯