ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট তৃতীয়বারের মত আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেও নারায়ণগঞ্জে আওযামীলীগের নেতায় নেতায় কোন্দলের কারণে কাঙ্খিত উন্নয়ণ ও সেবা থেকে বঞ্চিত নারায়ণগঞ্জবাসী। নারায়ণগঞ্জের জনপ্রতিনিধিদের অনৈক্যে নগরবাসী এখন হতাশ। তবে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে আওয়ামীলীগের রাজনীতিকদের সংঘাত ছেড়ে রাজনীতিতে সহ অবস্থানের পরিবেশ তৈরী করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। এ অবস্থা তৈরী করতে পারলে নারায়ণগঞ্জের কাঙ্খিত উন্নয়ণ সময়ের ব্যাপার মাত্র এমন দাবি সচেতন মহলের। তবে এ পরিবেশ তৈরীতে স্থানীয় আওযামীলীগের শীর্ষ নেতাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। অন্যথায় রাজনৈতিক নৈরাজ্য জেলার দীর্ঘদিনের উন্নয়নের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিবে এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষক মহল। তবে রাজনীতিকরা সে পরিবেশ সৃষ্টি কিংবা তৈরীতে অবদান রাখবে কীনা এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নগরবাসীর মাধ্যে। তবে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে থাকা কোন্দলের নেপথ্যে রয়েছেন কিছু সুবিধাবাদি নেতা। যারা এই কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আর্থিক ও রাজনৈতিক অবস্থান শক্ত করেছেন। সূত্রমতে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওযামীলীগের দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের নামে একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখে উত্তপ্ত করে ছিল মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দখলে রয়েছে। নির্বাচনী মাঠে না থাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও আওয়ামী লীগের সাথে আওয়ামী লীগের বিরোধ নিয়েই বেশী আলেচনা-সমালোচনা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে। জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটিতে থাকা নেতারাই নিজেরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির কারণে এখনো পর্যন্ত তাক লাগানো ভাবে কোন কর্মসূচী পালন করতে পারেনি। দল ক্ষমতায় থাকলেও ঢাকার দলীয় কোন কর্মসূচীতে বিশাল শো-ডাউন দেখাতে পারেনি জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের নেতারা। তবে ঢাকার বিভিন্ন কর্মসূচীতে সাংসদরা পৃথক ভাবে বিশাল শো-ডাউন করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের যে কয়জন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে নারায়ণগঞ্জ শহর দেশের সবচেয়ে আধুনিক শহরে পরিনত হত নারায়নগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী ও সাংসদ শামীম ওসমানের দ্বন্দ্বের কারণে শহরবাসী অনেক উন্নয়ণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে জেলাবাসীর অভিমত। তবে উন্নয়ণের স্বার্থে একাধিকার সকল জনপ্রতিনিধিদের এক টেবিলে বসার আহবান জানিয়েছিলেন সাংসদ সেলিম ওসমান। তবে তার এ আহবানে সাড়া দেয়নি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী। তবে জেলা পরিষদের চেযারম্যান চন্দনশীল ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ঐক্য হয়ে যদিও আওয়ামীলীগের সকল নেতাদের এক টেবিলে বসাতেন তাহলে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতায় নেতায় কোন্দল নিরসন হত বলে মনে করছেন মাঠ পর্যায়ের নেতারা। তারা বলছেন, কোন্দল নিরসন তো দূরের কথা উল্টো হাই ও আনোয়ারের দ্বন্দ্বের কারণে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের বিভাজন বেড়েছে।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯