ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দলীয় কোন কর্মসূচি-কর্মকান্ড না থাকায় ঝিমিয়ে যাচ্ছে নারায়ণঞ্জ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আর এ কারনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা একে অপরের সাথে বিরোধে জড়িয়ে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা নব্য আওয়ামী লীগারদের কাছে নানা ভাবে নাজেহাল হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। দলের এসব তুচ্ছ বিরোধ তৃনমূলের সাংগঠনিক ভীত দূর্বল করে দিচ্ছে এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল। তবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা যখন আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত ঠিক সে মুহুর্তে ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দ রয়েছে নীরব ভূমিকায়। তবে পূর্বের বিরোধী দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ সরকার বিরোধী আন্দোলন করাকালে বিরোধী জোটের আন্দোলনের বিরুদ্ধে দলের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা রাজপথে সোচ্ছার ছিলো। কিন্তু তখনও সরকার সমর্থিত অনেক নেতা গাঁ বাঁচিয়ে চলেছিল বলে কর্মীদের অভিযোগ। কোন কোন নেতা ফটোসেশনেই নিজের রাজনৈতিক কর্মকান্ড সীমাবদ্ধ রাখতেন। ফটোসেশনের পর এসব নেতাদের আর খুঁজে পাওয়া যেত না বলে অভিযোগ কর্মীদের। আর এসব কারনে সক্রিয় নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে নিস্ক্রীয় হতে শুরু করে। দলের কাছ থেকে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা নিলেও ওই সময়ে ওইসব নেতাদের মাঠে দেখা যায়নি। তবে দলের সুবিধাবাদী নেতাদের বিতর্কীত কর্মকান্ডে দলের তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করেছে। তৃনমূল থেকে দাবি উঠেছে, যারা দলের পদ ব্যবহার করে, ঝুট, তেল, পরিবহন সেক্টর থেকে সুবিধা নিচ্ছে ওই সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের। সূত্রমতে, দলীয় কর্মকান্ডে স্থবিরতা নেমে এসেছে ক্ষমতাসীন দলে। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও দেখা দেখা দিয়েছে নানা ধরনের দ্বিধাদ্বন্ধ। আবার কিছু কিছু নেতা অনেকটা আরাম আয়েশ করে রাজনীতি থেকে নিজেকে আড়াল করে দিন কাটাচ্ছে। তবে এসব সুবিধাবাদী নেতাদের দলীয় কর্মসূীচতে সক্রিয় ভূমিকা না থাকলেও দলের নাম ব্যবহার করে সুবিধা আদায় করে নিতে ভুল করছে না বলে অভিযোগ দলের সাধারন কর্মীদের। কেউ ঝুঁট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করছে, কেউ নদীপথে তেল সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করছে, আবার কেউ ভূমি দস্যুতায় মেতে উঠেছে। আর এসব কর্মকান্ড করেই অনেক নেতা রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে বলে কর্মীদের অভিযোগ। যারা রাজনৈতিক পদ পদবী ব্যবহার করে দল থেকে সুবিধা নিচ্ছে তাদেরই বিরোধী জোটের সকার বিরোধী আন্দোলন ও নাশকতা নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা ছিলো না। অপর দিকে, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় ক্ষমতাসীন দলের যে সমস্ত নেতা রয়েছে এদের অনেকেই বিগত সময়ে নানা ধরনের বিতর্কীত কর্মকান্ডর সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। এদের বেশীর ভাগ নেতাই চোরাই তেলের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, ঝুট সেক্টর, এলজিইডি, নদী দখলসহ নানা ধরনের অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। বর্তমানেও ওই সমস্ত নেতারা দলের নাম ব্যাবহার করে বিভিন্ন সেক্টর থেকে সুবিধা আদায় করছে। কিন্তু এসব নেতারা চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলন কিংবা নাশকতার বিরুদ্ধে কোন ধরনের ভূমিকা পালন করছে না এমন অভিযোগ দলীয় কর্মীদের। এছাড়া বিশ দলীয় জোটের সরকার বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের বেশ কিছু নেতার মধ্যে নানা শঙ্কা কাজ করছে। তবে এসব সুবিধাবাদী নেতাদের বিতর্কীত কর্মকান্ডের কারনে দলের ইমেইজ ক্ষুন্ন হয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯