আ’লীগকে ধ্বংসের মিশন!

রনি কুমার দাস

একটি রাজনৈতিকদল সু-সংগঠতি করতে প্রয়োজন দক্ষ সংগঠন এবং সাংগঠনিক শক্তির ভীত মজবুত। সেতৃবৃন্দের ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দলকে সু-সংগঠতি করার মাধ্যমে বিরোধী রাজীনৈতিক দলগুলোকে অস্তিত্বের জাগান দেয়া। দক্ষ সংগঠন সৃষ্টি এবং দলের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে পূর্বপুরুষদের মতই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সাংসদ শামীম ওসমান। মূলত নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে যার অবদানের বিষয়টি সবার আগে উঠে আসবে তিনিই হচ্ছেন সাংসদ শামীম ওসমান। যে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝান্ডা ধরে আছেন, সেই শামীম ওসমানকে কোণঠাসা করতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে নীল নকশা তৈরি করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা। দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে দলের মধ্যে বিশৃংখলার সৃষ্টির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের মাটি থেকে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলতেই এ মিশন বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন প্রভাবশালী একটি মহল। ষড়যন্ত্রকারীরা মনে করেন, নারায়ণগঞ্জের মাটি থেকে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে হলে প্রথমেই সাংসদ শামীম ওসমানকে দমাতে হবে। শামীম ওসমান এ্যাকটিভ থাকাবস্থায় নারায়ণগঞ্জ থেকে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব মুছে ফেলা সম্ভব নয়। দ্বাদশ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথেই সকল ষড়যন্ত্রকারীরা একত্রিত হয়ে শামীম ওসমানকে দমাতে নীল নকশা নিয়ে মাঠে নেমেছেন প্রভাবশালী মহলটি। এদিকে, নেতাকর্মীরা মনে করেন, নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানকে দমাতে পারলে আওয়ামী লীগকে বাম দলে পরিণত করা যাবে। যেসব নেতাকর্মীরা রাজপথে আওয়ামীলীগের ঝান্ডা ধরে আছেন, তাদেরকে মাইনাস করে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূল বুঝিয়ে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানকে কোণঠাসা করতে এমন নীল নকশা তৈরি করা হয়েছে। রাজপথের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে- তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে কাজ করেনি। যদিও নির্বাচনের শুরু থেকে রাজপথের এইসব নেতাকর্মীরা মান অভিমান নিয়ে কিছুটা নীরবতা পালন করলেও শেষতক হৃদয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে নৌকার পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শামীম ওসমানের বিশাল কর্মীবাহিনী যখন নৌকার পক্ষে মাঠে নেমে যান তখন নৌকার বিজয় ত্বরান্বিত হয়। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতিতে যে সমস্যা সেই সমস্যা নিরসন না করেই কেন্দ্রীয়ভাবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নৌকার পক্ষে মাঠে নামানো হয়। যেখানে মেয়র আইভী ও তার লোকজন দ্বারা মামলার শিকার হয়েও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেন। কিন্তু তারপরেও আওয়ামীলীগের অঙ্গ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বেশ কয়েকটি কমিটি বিলুপ্ত করানো হয়। রাজপথে যেসব নেতাকর্মীরা অন্যান্য কমিটিতে রয়েছেন এখন তাদেরকেও মাইনাস করে কমিটি বিলুপ্ত করা হয় এমনকি অযোগ্যদের হাতে মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি তুলে দেয়াসহ আংশিক জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্যদের বসিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের মিশন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছেন বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন- আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান মানেই আওয়ামী লীগ। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী শক্ত অবস্থান নারায়ণগঞ্জ থেকে দুর্বল করার চেষ্টায় নেমেছেন একটি পক্ষ। মুলত নীল নকশা বাস্তবায়ন কারীরা তাদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে নানা অজুহাত কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তুলে ধরে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। যে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের এক ডাকে লাখো নেতাকর্মী রাজপথে নামেন, সেই শামীম ওসমানকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোণঠাসা করা হলে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ হবে বাম রাজনৈতিক দলে পরিণত। একই সঙ্গে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ যখন বিভিন্ন সংগঠনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে সেখান থেকেও যোগ্য নেতৃত্বকে মাইনাস করার চেষ্টা চলছে। নেতাকর্মীদের আরও অভিযোগ- নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বেশকিছু নেতা বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের নয়ছয় বুঝিয়ে শামীম ওসমান ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে কানপড়া দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও কানপড়ায় মুগ্ধ হয়ে যাচাই বাছাই না করেই আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের সিংহ পুরুষ খ্যাত শামীম ওসমান কেন্দ্রীয় নেতাদের তোয়াক্কা করেন না কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের তোষামোদিও করেন না। যার ফলশ্রুতিতে কেন্দ্রীয় বেশকিছু নেতা শামীম ওসমানের প্রতি নারাজ ও নাখোশ। এর ফলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ইস্যু করে শামীম ওসমানের উপর ঝাল মেটানোর চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় বেশ ক’জন নেতা।এখন শামীম ওসমানকে কোণঠাসা করার নীল নকশা বাস্তবায়ন হলে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ। সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হুটহাট করে বেশকটি কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র ও নীল নকশার পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় নেতারা। এদিকে ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন। সাংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র কওে নাসিক নির্বাচনের সময়ের মতই ষড়যন্ত্রকারীরা নতুন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। সাংসদ নির্বাচনে শামীম ওসমানসহ আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের পরাজিত করার মিশনে নিয়ে আবার তৎপরতা চালাচ্ছেন ষড়যন্ত্রকারীরা। এঅবস্থায় দলের তৃনমূল নেতৃবৃন্দ মনে করেন, বিষয়টি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবর তুলে ধরা প্রযোাজন। নারায়ণগঞ্জে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন, বিএনপি জামাতের সাথে আঁতাত করে কিংবা বাম দলের নেতাদের নিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেন কিংবা নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনীতি করেন তারাই চাচ্ছেন শামীম ওসমানকে কোণঠাসা করে দুর্বল নেতৃত্বকে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের চেয়ারে বসিয়ে আওয়ামী লীগকে বাম দলে পরিণত করা। স্থানীয়নেতাকর্মীরা আরো বলেন, বিগত সময়ে মেয়র আইভী ও তার লোকজন দ্বারা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মামলার শিকার হয়েছেন। এদিকে, আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতৃবৃন্দ জানান, অতীতের মত কোন ষড়যন্ত্রকারী নারায়ণগঞ্জের প্রান পুরুষ সাংসদ শামীম ওসমানকে নিয়ে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠলে দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করার পিছনে তার অবদান অনেক। সাংসদ শামীম ওসমান দল এবং মানুষের স্বার্থে কাজ করে থাকেন। ব্যাক্তি স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে সাধারন মানুষের পক্ষে কাজ করা জনগনের জনপ্রতিনিধি হিসেবে যোগ্যতার প্রমান করে যাচ্ছেন সাংসদ শামীম ওসমান। তাই যতই ষড়যন্ত্র করা হউক না কেন সকল ষড়যন্ত্রকে পূর্বের মত ভেদ করে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে ওলুপ এটে দিয়ে নারায়ণগঞ্জের মাটিতে আওয়ামীলীগের ঝান্ডা নিয়ে আবারো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলের নেতৃত্ব দিবেন সাংসদ শামীম ওসমান।