আজ শুক্রবার | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১ | ৩০ রজব ১৪৪৬ | ভোর ৫:০৮

বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

ডান্ডিবার্তা | ১৫ মার্চ, ২০২৩ | ১২:৪৩ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় কোন্দল নিরসনসহ নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দলীয় হাইকমান্ড। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে দলে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হলে বিগত সময়ের নির্বাচনগুলোর মতই ভরাডুবির আশংকা দ্বাদশ নির্বাচনে হাতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। এ অবস্থায় জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে আহ্বায়কের গন্ডি পেরিয়ে পূনাঙ্গ কমিটির রূপদানের মাধ্যমে দলকে চাঙ্গা করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নিবেন দলীয় হাই কমান্ড এমনটাই মনে করা হচ্ছে বিএনপির কর্মী সমর্থকদের পক্ষ থেকে। সূত্রে জানা যায়, বিগত সময়ে বিএনপির ভরাডুবির কারণ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বকে দায়ি করে প্রার্থী বাছাইয়ে অদুরদর্শিতাকে দায়ি করেছেন। তৃর্ণমূল পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মতে, অতীতে যারা দলের পক্ষে মাঠে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে পুলিশের হামলা মামলার শিকার হয়েছে তাদের মতামতের কোন মূল্য না দেয়ায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে চরম খেসারত দিতে হয়েছে। যার পরিনতিতে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর-বন্দর আসনের প্রার্থীদের জামানত কোন মতে টিকেছে। অপর দিকে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হিসাবে পরিচিত আড়াইহাজার আসনে নজরুল ইসলাম আজাদ মাত্র ৫ হাজার ভোট পেয়েছে। রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে বিএনপি প্রার্থীর জয়লাভতো দুরের কথা জামানত পর্যন্ত টিকেনি। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মনে করে এক্ষেত্রে প্রার্থী মনোনয়নে কেন্দ্র চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যার খেসারত দিতে গিয়ে শত শত নেতা-কর্মী হামলা মামলার শিকারসহ কারাবাস পর্যন্ত করেছে। তাদের মতে রূপগঞ্জে কাজী মনিরের চাইতে বর্তমানে দল থেকে বহিষ্কার হওয়া তৈমূর আলম খন্দকারের গ্রহনযোগ্যতা অনেক বেশী ছিল। আড়াইহাজারে আতাউর রহমান আঙ্গুরের মত প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিয়ে অপরিচিত মুখ নজরুল ইসলাম আজাদকে মনোনয়ন দেয়ায় সেখানকার নেতা-কর্মীরা প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই অনেকটা নিরব ছিল। সোনারগাঁয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের চাইতে অধ্যাপক রেজাউল করিমের সাধারণ ভোটারদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা থাকলেও দল আজহারুল ইসলাম মান্নানকেই মনোনয়ন দেয়। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে একেবারেই অপরিচিত মুখ মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা শুধু ক্ষুদ্ধই হয়নি বরং অনেকেই ভোট কেন্দ্রে যাননি। এমনকি কাসেমী নিজেও ভোটারদের কাছে গিয়েছেন এমন কথা কেউ বলতে পারেবে না। অথচ এই আসনে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন মনোনয়ন পেলে শামীম ওসমানের সাথে ভোট যুদ্ধ হতে বলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধারণা। সদর-বন্দর আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এসএম আকরাম এমনইতেই অনেকটা বির্তকিত। সেলিম ওসমানের সাথে সদর-বন্দর বাসীর মধ্যে সর্ম্পক্য প্রানের সর্ম্পকে রূপান্তুরিত হয়েছে। আর এ কারনে সরকারী বরাদ্দের বাহিরেও এলাকার উন্নয়নে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্কুল কলেজ নির্মাণ, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে অনুদান প্রদানসহ সাধারণ মানুষকে স্বাবলম্বী করতে যে ভ’মিকা পালন করেছেন সেই তুলনায় তার প্রতিপক্ষ এসএম আকরামকে এলাকায় দেখা যায়নি বললেই চলে। দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতা-কর্মীদের মূল্যায়নে এসব তথ্য বেরিয়ে আসার পর অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করে জানান, বিএনপির রাজনীতি করার ইচ্ছা তাদের আর নেই। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের সবকটির নেতা-কর্মীরা এখন হতাশাগ্রস্থ। এ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এমনটা ভাবছে না খোদ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। দলের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দীন জানান, এখন আর ভিন্ন কোনো পথ নেই সবার পথ এক পথ। সেই পথ হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য লড়াইয়ের পদ। এখন আন্দোলন সংগ্রমের মাধ্যমে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করে মানুষের দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি দিতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে এখন সব মোহনা এক সঙ্গে এসে মিশেছে। এখন আমরা একত্রিত হয়ে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ দখলে রেখে সব আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচি সফল করে এ সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবো।শত নির্যাতনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বিএনপি এখনো শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, দলীয় নেতৃবৃন্দে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে নামলেই ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারাতো নিজেরা কিছু করতে পারেন না’ পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে দমন নীপিড়নসহ মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আন্দোলন থেকে দূরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাতে পারেন শুধু! তবুও নারায়ণগঞ্জে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, অনেকে জানতে চান কবে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের কথা শুনে আমি অবাক হই। বিএনপি তো আন্দোলনের মধ্যেই আছে। সরকারের নানা ব্যর্থতায় আমরা রাজপথেই প্রতিবাদ করছি। আন্দোলন মানে তো গাড়ি ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও নয়, আমরা এসবে বিশ্বাস করি না। জনগণও সেটা চায় না। আমরা চাই সরকারবিরোধী একটি গণআন্দোলন। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকার তার গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে সবসময় বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। অতীতে আমরা সরকারের এমন নীলনকশা দেখেছি। সরকার একটা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে বিএনপিকে আন্দোলনে উসকে দিতে চাইছে। কিন্তু আমরা সরকারের কোনো উসকানিতে পা দেব না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সময়মতো চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা