ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের দ্বন্দ্ব যেন শেষ হবার নয়। দলের প্রধান প্রয়াত নেতা যিনি শত বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী যার আদর্শে আওয়ামীলীগের পথ চলা সেই নেতার জন্ম দিনেও এক হতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ। গতকাল শুক্রবার ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন সেদিনে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতারা এক প্লাটফ্রমে আসতে না পারায় তৃনমূলে দেখা দিয়েছে হতাশা। মনে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ ছন্নছাড়া। এমনটাই মনে করেন সাধারণ মানুষ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কেক কাটা, দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর ২নং রেল গেট এলাকার দলীয় কার্যালয়ের বাইরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে প্রথমে শ্রদ্ধা জানান। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পাঠ করা হয়। এবং শেষে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী পালন করা হয়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরি বিরু, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ নেতা মো.জসিমউদ্দিন, সদর থানা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.শাহীন সরকার, যুবলীগ নেতা মো.মামুন পাঠান উপস্থিত ছিলেন। একই দিন জেলা আওয়ামীলীগের আরেক গ্রুপ কার্যালয়ের ভিতরে আলোচনা করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীসহ বেশ কিছু নেতৃবৃন্দ। দীর্ঘ দিন ধরে নারায়ণগঞ্জে নেতায় নেতায় কোন্দল, মনোনয়ন যুদ্ধ, উত্তর-দক্ষিণ মেরুর বিভাজনসহ না কারণে আওয়ামীলীগের সরকার ক্ষমতায় থাকলেও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভাবে এখনো গতি ফিরে আসেনি। জেলা কমিটি এখনো পূর্নাঙ্গ না হওয়া পাশাপাশি আংশিক কমিটির নেতাদের বিভাজনে দলের নেতাকর্মীরা বিচ্ছিন্ন ভাবে পালন করছে দলীয় কর্মসূচি। আর মহানগর আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতাই সুবিধাবাদি ও কর্মবিহীন। তাই দলীয় কোন কর্মসূচী একক ভাবে পালন করতে বেশ বেগ পুহাতে হচ্ছে তাদের। তাছাড়া এই কমিটির নেতারাও দুই ভাগে বিভক্ত। একই সাথে নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে যুদ্ধে নেমে গেছে। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নিজেদের বলয়কে শক্তিশালী করতে। এছাড়াও থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামীলীগে ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি যুগ পাড় হয়ে গেলেও পুনঃগঠন করা হচ্ছে না। আবার কোন কোন ইউনিটে কমিটি আছে তবে নেতার কোন অস্তিত্ব নেই। তাই সব মিলিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দল ক্ষমতায় থাকলেও নারায়ণগঞ্জে সাংগঠনিক ভাবে পিছিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। অনুসন্ধানে জানাগেছে, কমিটিগুলো পূর্ণগঠন না হওয়ায় এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নেতা বনে গেছে অনেক বিতর্কীতরা। নজরদারী না থাকায় আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে ৯টি সহযোগি সংগঠন ছাড়া অন্যকোন সংগঠন নেই নামের পরে ‘লীগ ‘জুড়ে দেওয়া ভূঁইফোড় সংগঠন এখন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন অলিগলিতে ছেঁয়ে গেছে। তাই রাজনীতির মাঠের বাইরে রয়েছে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতারা। যে কারনে দলের স্বাভাবিক গতি ফিরে আসছে না। তবে রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছে কমিটি থাকলে সুনিদিষ্ট একটি ব্যানারের মাধ্যমে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালত হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সু-সংগঠিত ভাবে সংগঠনের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে সক্ষম হতো। এ জন্য কমিটি গঠনের কোন বিকল্প নেই। কর্মীদের মতে, জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় বিচ্ছিন্ন ভাবে কর্মকান্ড করতে হচ্ছে। এছাড়া জেলার অন্যান্য থানা, ইউনিয়ন এমনকী ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটিগুলোর মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে অনেক বছর থরে। মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটি দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ড। দলের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে আওয়ামী লীগকে নতুন করে সাজানো এখন সময়ের দাবি। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন দলের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আর মহানগর আওয়ামীলীগের নেতারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। অনেকেই এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে অনেকে। একই সাথে নিজের মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ার পথে হলেও এখনো পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের একটিতেও কমিটি পুন:গঠন করতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে, যোগ্যতা না থাকলেও পদ-পদবী আকরে রেখেছেন মহানগর আওয়ামীলীগের অনেক নেতা। কেউ বা আবার রাজনীতির মাঠে না থাকলেও বিএনপির নেতাদের সাথে মিলে ব্যবসা করছেন। আবার ব্যবসার মুনাফা নিয়ে বিদেশ ভ্রমন করছেন। এদিকে, নতুন করে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগে যুক্ত হয়েছে মনোনয়ন যুদ্ধ। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে প্রার্থীরা এখন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জরিয়ে পড়ছেন। এর ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ নেতাকর্মীরা। প্রার্থীরা মনোনয়ন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রে লবিং এর পাশাপাশি নিজের বলয়কে শক্তিশালী করতে কাজ করছেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের অকল্পনীয় পতন ঘটে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনও ভাবেনি তার সরকারের শুধু পতনই ঘটবে না, বরং তাকে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নের পর পরই আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। এর […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯