
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি বলেছেন, এই ১৭ মার্চে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই শিশু দিবসে আমি আমার সরকারের কাছে বলতে চাই দয়া করে নারায়ণগঞ্জে ত্বকী হত্যাসহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার করেন। আমাদেরকে মুক্তি দেন। আমরা এই সম্রাজ্যবাদের হাত থেকে মুক্তি চাই। আপনি যে অর্জন করছেন, সারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে দাঁড় করাতে চাচ্ছেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছেন তা শেষ করে দিচ্ছে এমন কতিপয় লোকজন। তাদেরকে আপনি ভালো করে চিনেন এবং জানেন। এই আস্কারা এই সাহস তারা কোত্থেকে পায়, নির্বিচারে মানুষ হত্যার লাইসেন্স তাদের কে দেয়? ভয় দেখিয়ে ভীত করে রাখতে চায়। আমার মনে হয়না নারায়ণগঞ্জের মানুষ আর ভয় পায়। যদি ভয় পেত তাহলে এমন হোন্ডাওয়ালারা ধাওয়া দিতোনা। এক দেড়শ হোন্ডাওয়ালাকে গুটিকয়েক মানুষ ধাওয়া দিল। কত দুর্বল আপনারা দেখেছেন। যারা অসৎ কাজ করে, অন্যায় কাজ করে, হত্যা করে, জুজুর ভয় দেখাতে চায় তারা দুর্বল কারণ শাসক সবসময় দুর্বল থাকে। জনগনের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি। সকল হত্যার বিচার জনগন করবে। শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীন দেশে আমাদের সন্তানদের হত্যা করা হবে এমন দেশ আমরা চাইনি। একটি দেশে অনেক কিছু হয়। অপরাধ কখনো বেড়ে যায় কখনো কমে। সরকারের দায়িত্ব সেটিকে দমন করা, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আলী আহমেদ চুনকা পৌর পাঠাগারের সামনে ত্বকী হত্যাকান্ডের ১০ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রপটে ত্বকী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ৭৫ এর হত্যাকান্ড করে এই দেশকে নিঃশেষ করে দিতে চেয়েছিল কিন্তু দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বিভিন্নভাবে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বের কারণে অনেক পথ অতিক্রম করে পুনরায় ক্ষমতায় এসেছে। জাতির জনকের কন্যাকে জনগন প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছি। যতদিন বেঁচে থাকবো আমি আওয়ামীলীগ করবো, জয় বাংলা বলবো জাতির জনকের আদর্শকে অনুসরণ করবো। তবে দলের ভেতর থেকেও অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদ করবো। সেটা দলের হোক কিংবা দলের বাইরেরই হোক কিংবা যেখানেই হোক। মেয়র বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সেই ভোটের সম্মানে মানুষের জন্য এই শহরে যা করার তাই করবো। ত্বকীকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে এই নারায়ণগঞ্জবাসীর সাথে আমি এক আছি, থাকবো। প্রশাসন কি করলো কি করলোনা সেটা এখন আর দেখার বিষয় হয়ে উঠেনা। কারণ প্রশাসনের কিই বা ক্ষমতা আছে কিই বা করবে। জনগনের কাছেই সকল ক্ষমতা সকল শক্তি। নারায়ণগঞ্জের মানুষই আমাদের পথ দেখাবে। মানুষকে সাথে নিয়ে এই আন্দোলন আরো বেগবান করতে চাই, শহরবাসীকে জাগাতে চাই সাহস জোগাতে চাই। আইভি বলেন, ইতোমধ্যে দেখতে পেয়েছেন বিভিন্ন যায়গায় হোন্ডা বাহিনীকে ধাওয়া দেয়া শুরু হয়েছে। পর পর তিনটা ঘটনা ঘটেছে নদীর ঐপাড়ে। গতকালকেও সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে সেই ভূমিদস্যুদের হোন্ডা পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেকে আবার বড় বড় কথা বলে। কি বলে, শহরে নাকি এখনো বের হতে দেবেনা। কত বড় দুঃসাহস হুলে খুনিরা খুন করেছে একটি বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে তারপরে ঐ বাচ্চার পিতা যখন প্রতিবাদ করে তাকে আবার নানাভাবে উত্যক্ত করে। আমরা যারা তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি তাদের পরিবারকে অত্যাচার করে, তাদেরকেও তারা হুমকি ধামকি দেয়। তিনি আরো বলেন, এটা ১৯৮১ বা ৭১ নয়, ২০২৩। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের পরে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কাজ চলছে। সুতরাং ৪০/৫০ বছর যারা এ শহরকে শাসন করছেন এখনো আপনাদের কথা আপনাদের হুমকি ধমকি মানুষ মেনে নেবে তা হবেনা, হতে পারেনা। কথা বলার আগে ১০ বার চিন্তা করে বলবেন কি বলতে চান। আপনার বাচ্চাদের, চ্যালা চামচাদের বলে দেবেন, যখন যা কিছু মন চায় তখন যেন তা না বলে কারণ মানুষেরও ধৈর্য্য আছে। ধৈর্য্যের বাধ ভাঙতে চাইনা। শান্তিপূর্ণভাবে ১০ বছর যাবত এই হত্যাকান্ডের বিচার চাচ্ছি। নারায়ণগঞ্জ শহরের কাজ করছি ১০ বছর যাবত। ৪ টা নির্বাচন করেছি ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই। তারপরেও এই শহরে মানুষ ভোট দিয়েছে। একটা বিজয় মিছিলও করিনি। কোন ধরনের অপকর্ম এই শহরে হয়নি এর মানে এই নয় যে আপনাদের কিছু করতে বা বলতে পারবোনা। শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে এখন চাইলে এখন এই শহরের মধ্যে আপনি যেমন হুমকি দেন না এই করে ফেলবেন সেই করে ফেলবেন, আপনারও আমি ১২টা বাজিয়ে দিতে পারি। কিন্তু বিশৃঙ্খলা এই শহরে আমি চাইনা। শহরবাসীকে নিয়ে আমি হত্যাকান্ডের বিচার চাই। বিচার শুরু হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে। এসময় রফিউর রাব্বি, ভবানী সংকর রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, যারা ঘাতকদের পাহাড়া দেয় তাদেরকেও আমরা আমাদের প্রতিনিধি বলবো? নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন রয়েছে। তারপরও এই জঘন্য কর্মকা- কীভাবে চলে। তিনি বলেন, আজ নারায়ণগঞ্জ শহর ঘাতক এই হত্যাকারীর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। তার হোন্ডা বাহিনী শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এখানে একটা সরকারি ব্যাবস্থা আছে। তবুও আমাদের এটা বিশ্বাস করতে হবে। কীভাবে একজন চিহ্নিত অপরাধী ধরা ছেয়ার বাইরে থাকে। তিনি আরও বলেন, আমরা পাকিস্তানি শাসনামল থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছি বিচারহীনতার কারনে। এসকল ঘাতকদের কারনে। স্বাধীন দেশে আজ একই বিষয় আমাদের উচ্চারণ করতে হচ্ছে। রাষ্ট্র ঘাতকদের পাহাড়া দিচ্ছে। আমরা আজ ত্বকী হত্যার বিচার চাই। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের সকল হত্যার বিচার চাই। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এভাবে ঘাতকদের পক্ষ নিয়ে রাষ্ট্র যদি মনে করে এভাবেই চলবে তাহলে এটা হবে না।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯