আজ শুক্রবার | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১ | ৩০ রজব ১৪৪৬ | দুপুর ২:৫৯

ছাড় দিবে না বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ০৩ এপ্রিল, ২০২৩ | ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দলের মধ্যে ঐক্যমত তৈরী, দলীয় কোন্দল নিরসন ও তৃনমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করাসহ সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আতাঁতকারী দলের ভিতরের গোপ্তচর চিহ্নিত করার মাধ্যমে শক্তিশালী বিএনপি গঠন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতৃবৃন্দ। বিএনপিতে সুবিধাভোগীদের নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের দ্বন্দ এখন চরমে। আওয়ামী এজেন্ট হিসাবে আখ্যায়িত করার অভিযোগ এনে গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল আলম সেন্টুকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রক্রিয়াও চুড়ান্ত প্রায়। বিএনপির জেলা পর্যায়ের কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানান, দুষ্ট গোয়ালের চাইতে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। তাই আওয়ামীলীগের দালালী করে যারা সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে তাদের দল থেকে একেবারেই বহিস্কার করা হবে। দ্বাদশ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে শক্তিশালী বিএনপি গঠন করার জন্য সর্বপ্রথম সরকার দলীয় এজন্ডাদের চিহ্নিত করার মাধ্যমে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। অণ্যথায়, রাজনৈতিক সূতিকাগার জেলা হিসেবে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বিএনপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে দলের হাই কমান্ড আশংকা করছেন। নেতাকর্মীদের মতে, নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ক্ষমতাসীন দলের সাথে আঁতাত করে নারায়ণগঞ্জে ‘গুপ্তচর’ হিসেবে আওয়ামীলীগে ঢুকে পড়ছে বিএনপির সুবিধাভোগী অনেক নেতা। যারা প্রত্যেকেই জনপ্রতিনিধি। এদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু এবং শহর বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকুসহ একাধিক সুবিধাভোগী নেতা। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের চাটুকার এই সকল নেতাদের কারনে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি অস্তিত্বহীন অবস্থায় চলে এসেছে। অথচ এরা সক্রিয় থাকলে সরকারী দল কিংবা তাদের আজ্ঞাবহ পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের এইভাবে হয়রাণী করতে পারতো না। তারা দলের চেয়ে নিজেদের জনপ্রতিনিধিত্ব টিকিয়ে রাখতে স্থানীয় সাংসদদের কথামত উঠবস করছে। শুধু তাই নয় কোন কোন বিএনপি পন্থি জনপ্রতিনিধি সুবিধা লাভ করে সরকারী দলের সাংসদদের চাটুকারীতায় এতটাই মত্ত হয়ে উঠেছে যে, এদের কথা শুনলে মনে হয় এরা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের চাইতেও অনেক দুর এগিয়ে। এরা মুখে বিএনপি জপলেও অন্তরে আওয়ামীলীগ বন্দনা করে চলে রাত-দিন। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে, ক্ষমতাসীন দলের সাথে আঁতাতকারী বিএনপির এসকল নেতারা আওয়ামীলীগে ‘গুপ্তচর’ হিসেবে প্রবেশ করছে। যারা প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের দালাল হিসেবে চিহিৃত হলেও মূলত তারা ক্ষমতাসীন দলের ভিতরের খবর বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের জানাতেই আঁতাত করে চলছে। বিগতে সময়ে দেখাগেছে, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের সহায়তা করার পরিবর্তে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেছেন। যার কারনে বিভিন্ন সভা সমাবেশে বিএনপি নেতা আজাদ বিশ্বাসকে তার উপস্থিতিতেই শামীম ওসমানের দালাল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন খোদ দলের একাধিক নেতৃবৃন্দ। আরেকজন হলেন, বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল। যিনি স্থানীয় সাংসদের হুকুমে জি হুজুর বলে বিএনপির রাজনীতিই ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন। অপরজন হলেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। যিনি বিএনপির জন্য নাশকতার মামলায় জনপ্রতিনিধির পদ থেকে বহিস্কার হলেও স্থানীয় নির্বাচনে ‘ধানের শীষ’কে বয়কট করেন। আওয়ামীলীগের সাথে সখ্যতা গড়ে নিজের জয় নিশ্চিত করতে সেন্টু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয় লাভ করেন। এছাড়া শহর বিএনপি নেতা ও নাসিক কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকুও এখন বিএনপির নেতাদের চেয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের কাছে বেশী ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছেন। বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ কোন কটুক্তি করলেও মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে বসে থাকেন তিনি। এক সময় সিটি মেয়রের সাথে থাকা এই কাউন্সিলর এখন স্থানীয় সাংসদের বিশ্বস্ত বনে গেছেন। তবে আওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাদের রয়েছে ভিন্ন মত। তাদের মতে, আসলে আওয়ামীলীগে ঢুকে বিএনপি সুবিধাভোগীরা নিজেদের স্বার্থ যেমন রক্ষা করছে তেমনি আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন অনেক গোপন তথ্যই তারা জেনে যাচ্ছে যা দলের জন্য একসময় মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা