আজ বুধবার | ৬ নভেম্বর ২০২৪ | ২১ কার্তিক ১৪৩১ | ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ | বিকাল ৩:৩৫

পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে ব্যস্ত দুইদল!

ডান্ডিবার্তা | ০৯ মে, ২০২৩ | ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে রাজনীতিতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে মাঠে কাজ করছে রাজনৈতিক দলগুলোর হাইকমান্ড। সাংগঠনিক ভাবে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এবার আট-ঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন। দুই দলের জেলা কমিটি দেই দিচ্ছি গন্ডির সীমানায় আবদ্ধ থাকলেও দীর্ঘ প্রতিক্ষা শেষে ক্ষমতাশীন দল জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে তাদের শুভ সূচনার শুরু করেছেন। অপেক্ষায় রয়েছে মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি। যে কোন সময় কাউন্সিল করে মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। এদিকে ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক দল বিএনপি সরকার পতন আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ার পর, সাংগঠনিক অবস্থান নিয়ে অনেকটাই আশাহত। তাই এবার নিজেদের ব্যর্থতার প্রধান কারন সাংগঠনিক দূবর্লতাকে গুছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা। তবে দলে শৃংঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গত বছরের শেষের দিকে জেলা এবং এর আগে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করে কেন্দ্র। এদিকে দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দ গনতন্ত্র রক্ষাসহ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগের শ্লোগান থাকলেও গণতন্ত্র পূর্নরুদ্ধারের শ্লোগান নিয়ে বর্তমান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলে আসলেও। এই দুই দলের শ্লোগানের মধ্যবর্তী অবস্থানে থাকা জনগনের দাবী কতটা বাস্তবায়িত হচ্ছে তা এখন দেখার বিষয় জনগণের। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের রয়েছে ভিন্ন মতামত। তাদের মতে বর্তমান রাজনীতিতে জনগনের অধিকার আদায়ের কথা বারবার উঠে আসলেও, প্রকৃত পক্ষে সেটা হচ্ছে ক্ষমতা ধরে রাখা বা নিজেদের অবস্থান তৈরি করার মত। তবে এই দু’য়ের মাঝ খানে অনেক রাজনীতিবিদ রয়েছেন যারা দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। এটা অস্বীকার করার মত উপায় নেই। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল তাদের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। একটা নতুন নেতৃত্ব বিকাশের জন্য আশার বাণী। তবে সেটা হওয়া উচিৎ সম্পূর্ন নির্ভুল, কারন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হত্যা, গুম, নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী সহ ক্ষমতার জন্য বিভিন্ন অপকর্মে জনগন অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছে। অপরাজনীতির হাতে ক্ষমতা চলে গেলে জনগন আরও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। রাজনীতিবিদরা জনগনের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবে। যে দেশে রক্ষক যখন বক্ষক হয়ে যায়, সেই দেশের ভবিষ্যত্ব অগ্রগতি কতটুকু আশানুরূপ হবে তা ভালই ধারনা করা যায়। তাই দুই দলের নেতা কর্মীদের এই বিষয় টিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এ নিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত কয়েক জন নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর বাঙ্গালী জাতি অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলো। শুধু তাই নয় সে সময় কালে পাকিস্তানীদের দোষর শক্তি এই দেশর রাষ্ট্রনায়ক ছিলো। ৭১ সালে যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলো, এবং যারা শহীদ হয়েছিলো। পাকিস্তানী পরাশক্তি তাদেরকে প্রকৃত সম্মান দিতে চায়নি। আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহন করেছিলো এবং শহীদ হয়েছিলো তাদের প্রকৃত সম্মান দিচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশকে কলঙ্ক মুক্ত করার জন্য রাজ্জাকার আলবদরদের বিচার এখনো অব্যাহত রয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জনগনের জন্য বিএনপি রাজনীতি করেনা। তারা ক্ষমতার জন্য জীবিত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি, জালাও-পোড়াও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে তারা বিশ্বাস করে। তারা আরও বলেন, আমরা জনগনের প্রতিনিধি হয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। দেশ ও জনগনের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অগ্রগতি ধরে রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগের রাজনীতি মানেই দেশ ও জনগনের সেবা করা। তাদের অধিকার ও জনগনের সেবার মান বাড়িয়ে দিতেই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিএনপির সমর্থিত কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, এই অনির্বাচিত সরকার জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি। গুম, হত্যা, লুটপাট, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে রক্ত চোষা জোকের ন্যায় আচরন করছে। তাদের অত্যাচারে জনগন আজ নির্যাতিত। এই অবৈধ সরকারের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহন করার অপরাধে আমাদের মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে। ৫ই জানুয়ারী জনগনের সব অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে, গনতন্ত্র হত্যা করে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ। এই অবৈধ সরকার তাদের পেটুয়া পুলিশ বাহিনীর উপর নির্ভর করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। কারন তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, জনগনের কাছে তাদের অবস্থান শূণ্য হয়ে গেছে। তারা আরও বলেন, জনগনের অধিকার আদায়ে আমাদের নেতাকর্মীদেরকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এ জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটির রদ-বদল প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করার পর আমরা আবারো সক্রিয় হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহন করে জনগনের অধিকার আদায় করবো। তাই জনগনের অধিকার আদায়ে আমাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ড আরও শক্তিশালী করতে হবে। দেশ ও জনগনের অধিকার আদায়ে আবারো বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনকে ঢেলে সাজাঁনো প্রয়োজন রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা সাংগঠনকে ঢেলে সাজাঁতে কাজ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা বিএনপির মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৮
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫৩
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪১
  • ১৭:২১
  • ১৮:৩৬
  • ৬:০৬
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা