আজ বুধবার | ৬ নভেম্বর ২০২৪ | ২১ কার্তিক ১৪৩১ | ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬ | বিকাল ৩:২১

বন্দরে সক্রিয় হচ্ছে আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ০৯ মে, ২০২৩ | ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বন্দরে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সিরিয়াস অবস্থানে চেয়ারম্যান এম এ রশিদ। একইভাবে হুমায়ন কবির মৃধা, সালাম চেয়ারম্যান, মাসুম, আনোয়ার হোসেন আনু, খান মাসুদ, এসআই জুয়েল, আইয়ুব মেম্বার, দুলাল, কমল’রা সংগঠন নিয়ে কাজ করছেন। বয়সের ভারে হেরে না গিয়ে প্রানের সংগঠন আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন গুলোকে গতিশীল করতে আটঘাট বেঁধে নেমেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ। যিনি বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের সভাপতি, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃনমুলকে চাঙ্গা ও গতিশীল করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। বন্দরের শহরের ৯টি ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলেও সফল হতে পারেনি। তেমনি বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন সফল করতে পেরেছেন। বন্দর উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ ও ইউনিয়ন কমিটি গুলো সফলভাবে শেষ করতে পারলেও অন্যগুলোতে কিছুই করতে পারেনি। যুবলীগ, ছাত্র লীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষক লীগের অবশ্য আরও নাজুক। এদিকে নির্বাচনী দিন গননা শুরু হতে চলছে। নির্বাচনী বছরের ৪ মাস গত হয়ে দিন গননা চলছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করতে জিমিয়ে পড়া সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সম্মেলনে পর মাঝে রমজান মাস শেষ করেই ঈদ পূর্ণমিলনী, ওর্য়াড আওয়ামী লীগের কর্মী সভা করে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রকার বার্তা দিচ্ছেন। সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য এম এ রশিদ বলছেন, দল, দেশ ও সংগঠনের জন্য কাজ করেন। সামনে কঠিন সময় নিজেদের মধ্যে বিভেদ নয়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের সাফল্য গুলো জনগণের মাঝে তুলে ধরেন দেখবেন ইনশাআল্লাহ নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে যেতে হবে না। তিনি আরো বলেন, নতুন নেতাদের তো আসতে দেন না। মশারির ভেতরে মশারি টানান। বসন্তের কোকিল আছে, দুঃসময়ের কর্মীরা নেই। এই আওয়ামী লীগের দরকার নেই। কে কি করেন সব শেখ হাসিনার কাছে রিপোর্ট আছে। পদ বাণিজ্যের কথা যেন না শুনি। পকেটের লোক আমাদের চলবে না। এবার তদন্ত করে কমিটি দেব। পয়সা খেয়ে যারা কমিটি করে, এই ধরনের নেতা আমাদের প্রয়োজন নেই। মাথা নাড়ছেন অনেকেই, কে কি করেন সব জানি। ভালো হয়ে যান, আর করবেন না। নিজেদের সংশোধন করুন। ত্যাগী কর্মীদের সাথে প্রতারণা করবেন না।’ স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির ১৮৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাব বিতরণ করা হয়েছে। গত রোববার বন্দর উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উদ্যোগে বিনা মূল্যে এ ট্যাব বিতরণ করা হয়। বন্দট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ বক্তব্য রাখেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে ভাবেন বলেই তিনি এমন সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। তোমরা প্রযুক্তি ব্যবহারে অজানাকে জেনে শিক্ষাক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রযুক্তিগত জ্ঞান তোমাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। যোগ্য নাগরিক হতে ভালো লেখা পড়ার কোনো বিকল্প নেই। গত শনিবার বিকেলে বন্দরের দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ ও ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় কর্মী সভার উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ বলেন, সামনে নির্বাচন। চলতি বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের জন্য সকলে প্রস্তুতি নেন। জনগণ সচেতন, ভোট চাইতে হবে না শুধু সরকারের সাফল্যগুলো জনগণের দ্বারপ্রান্তে তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগ সরকার জনগনের ভাগ্য উন্নয়নে কি কি কাজগুলো করেছে তা তুলে ধরেন। জনগণ যখন জানতে পারবে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ গুলো সর্ম্পকে, তখন আপনাকে ভোট চাইতে হবে না। জনগণই বলবে শেখ হাসিনা সরকার আমাদের প্রয়োজন। মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হল ত্যাগের ও জনস্বার্থে কাজ করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তৃনমূলের নেতাকর্মীদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। কারন তৃণমূল হল সংগঠনের অক্সিজেন। সরকারের উন্নয়নের দিকগুলো জনগণের কাছে পৌঁছাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দল ও সংগঠনকে ভালবাসলে পদ -পদবীর আশায় কেউ থাকতে পারে না। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক প্রবীন নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ১৯৭৯ সালেই ছাত্র চাচাতো ভাই জনাব মোতালেব সাহেবের সাথে ছাত্র লীগের সভাসেমিনারে যেতে যেতে তখনকার ছাত্রলীগের নারায়নগঞ্জের কান্ডারী আনোয়ার ভাই, আরজু ভাই, বড় জাহাঙ্গীর ভাই তাদের নেক নজরে আসি। তাদের উৎসাহে ও সহযোগীতায় প্রথমে ছাত্রলীগের মদনপুর ইউনিয়ন কমিটির প্রচার সম্পাদক হই। তখন বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শহীদুল্লাহ মাষ্টার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠনের প্রতি আমার গভীর ভালবাসা ও কর্তব্য পালনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে শহীদুল্লাহ মাষ্টার খুব সন্তোষ্ট ছিলেন। তাই পরবর্তী ১৯৮১সালে থানা ছাত্রলীগের দায়িত্ব বন্দরের মাসুদুর রহমান সভাপতি (বর্তমানে বি এম স্কুল কমিটির সভাপতি), এবং আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৮৪-৮৫ সালে আমি বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ফরাজিকান্দার খালেদুজ্জামান সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হই। আমি সোনারগাঁ ডিগ্রি কলেজে অধ্যায়নরত সময় ১৯৮৩-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটিতে ছিলাম। তখন আমার জন্য সংকটের সময় ছিল। আমার ছাত্রলীগের বন্দুরা কেউ বিএনপিতে যোগদান করেছিলেন, কেউ ১ম দফায় ঠিক থাকলেও ২য় দফায় জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছেন। তাঁরা অনেকে ধনীও হয়েছিল। কিন্তু আমি ছাত্রলীগ ছাড়িনি বরং ছাত্র থাকাকালীন সময়ে দেশের আর্থিক দূরাবস্থা বিবেচনা করে আদমজী জুট মিলে চাকুরীতে যোগদান করি। চাকরির সূবাদে ১৯৮৮ সালে আদমজী নগর শ্রমিক লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে স্বক্রীয় হই। শ্রমিক আন্দোলনকে শ্রমিক – জনতার আন্দোলনে রুপান্তর করতে (আওয়ামী লীগের) ২১ দলীয় জোটের পক্ষে বামপন্থী সবাই আমাদের জোটে ছিল। ভয় পাইনি, তবে আদমজীতে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আমার খুব প্রিয় বন্ধু কমিউনিষ্ট নেতা বেল তলির তাজুল ইসলাম তাজু ভাইকে আমাদের মিছিলের অগ্রভাগ থেকে পিটিয়ে হত্যা করা হলে মনের সব সাহস হাড়িয়ে ফেলে আদমজী জুট মিলের চাকরি ছেড়ে দিয়ে শিক্ষকতা পেশা বেছে নেই। বন্দর থানা আওয়ামী লীগ যখন ২০০৪ সালে বন্দর থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করেন, তখন তিনি আমাকে বন্দর থানা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে কমিটি তে পদায়ন করেন। এবং ২০২২ ইং সালের গঠিত বন্দর উপজেলা আওয়ামিলীগের কার্যকরী সদস্য হিসেবে রাখেন। এসব বিষয়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদের সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি কে আমি খুব সন্মান করি। বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান জুয়েল বলেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অবহেলিত। আমাদের সংগঠনকে গতিশীল করতে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ ভাই দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। আমাদের রাজনৈতিক মুরব্বি এম এ রশিদ ভাইয়ের যথাপযোগী কার্যক্রমগুলো ও দিক নির্দেশনা মতে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠন গুলো কাজ করছে। অতীতের তুলনায় বন্দরের বর্তমান তৃনমূল অনেকটা শক্তিশালী বলে তার দাবী। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মো: আইয়ুব মেম্বার বলেন, আমার রাজনীতি করার মত ইচ্ছে ছিল না। মানুষের কল্যানে কাজ করতে হলে রাজনীতি করতে হবে তা না। তারপরও আমার গর্বধারনী”মা” আওয়ামী লীগের রাজনীতির একজন নিবেদিত প্রান ছিল। নিজের স্বার্থ চিন্তা না করে দল,দেশ, সংগঠন ও মানুষের কল্যানে কাজ করতো। আমার ‘ মা’ আমার রাজনীতির অনুপ্রেরণা। মায়ের আদেশ ও নির্দেশে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হই। আমি ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওর্য়াডের জনগণের ভোটে ২ বারের নির্বাচিত সদস্য। আমার পারিবারিক ও রাজনৈতিক আদর্শের ফলে আজকের আমার অবস্থান। তিনি আরো বলেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ চাচার দিক নির্দেশনায় যেকোন সময় যে সিদ্ধান্ত দিবে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদটা ইচ্ছে করলেই পাওয়া যায় না। আমার মায়ের আদর্শ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের রাজনৈতিক মুরুব্বি এম এ রশিদ চাচার হাতকে শক্তিশালী করে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমাদের তৃনমূলকে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের যে চিন্তাধারা ও উন্নয়নমূলক কাজ গুলো জনগনের দ্বার প্রান্তে পৌঁছাতে পারলে আগামী নির্বাচনে আমরা অনেক বেশি ভোটে বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ। হাফেজ মো: আইয়ুব মেম্বার আরো বলেন, আমাদের দেশের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারের কোন বিকল্প নেই। দলের স্বার্থে এবং দেশের স্বার্থে বলতে এটাই বুঝি বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য যেভাবে চিন্তা করেছেন, সেই ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে দেশ ও জাতির কল্যানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একজন সরকার তার কোন চাওয়া -পাওয়ার নেই। তার দক্ষতার কারনেই বহি: বিশ্ব আমাদের সম্মান করে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান এম এ রশিদ পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয় ও সিরিয়াস অবস্থানে রয়েছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৮
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২১
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫৩
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪১
  • ১৭:২১
  • ১৮:৩৬
  • ৬:০৬
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা