ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট মনিরুল আলম সেন্টু কিছুদিন আগেও ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, যুবদলের সফল সভাপতি। দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতিতে তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়েই রাজনীতি করেছেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগ নেতা কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এখন হয়তবা তার মুখেই শোনা যাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের গুনগান আর বলে বেড়াবেন আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রেনিত হয়েই বিএনপি ছেড়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সর্ম্পৃক্ত হয়েছি। ফতুল্লার রাজনীতিতে যিনি অল্প বয়সে অর্জন করেছিলেন ডায়নামিক লিডারের খেতাব, কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে যার খ্যাতি রয়েছে আকাশ ছোঁয়া, পাশাপাশি পল্টির রাজনীতিতেও অর্জন করেছেন ঈর্ষান্বিত সাফল্য। ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে ফতুল্লা থানা যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মনিরুল আলম সেন্টু। তৎকালীন সময়ে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে জেল, জুলুম, মামলা, হামলা, জুলুম নির্যাতন অতিক্রম করে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে তৈরী করেন শক্ত অবস্থান। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এমপি হলে তৃনমূলের নেতা হিসেবে তার নজরে আসেন সেন্টু। ২০০৩ সালে পাগলা মেরী এন্ডারসনে ফতুল্লা থানা বিএনপির কাউন্সিলে এমপি গিয়াসউদ্দিনের আর্শিবাদে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন কাউন্সিলরদের বিপুল ভোটে। পরবর্তীতে দলীয় ক্ষমতার নিদর্শন স্বরুপ ফতুল্লার শিল্পাঞ্চলের আহরনকৃত আয়ের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এমপির গিয়াসউদ্দিনের সাথে দ্বন্দ্বে দুজনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারী বিএনপির এক তরফা নির্বাচন( পরবর্তীতে হয়নি) সে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী গিয়াসউদ্দিনের ধানের শীষের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী সফর আলী ভূইয়ার পালকিতে ওঠেছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ফতুল্লা আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে শিল্পপতি শাহ আলম আওয়ামিলীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর নিকট পরাজিত হওয়ার পর রাজনীতিতে আসা নতুন মুখ শিল্পপতি শাহ আলম ফতুল্লা থানা বিএনপির দায়িত্ব নেন। নিজে সভাপতি হয়ে ভায়রা এড. আজাদ বিশ্বাসকে সাধারণ সম্পাদক বানালে মনিরুল আলম সেন্টুর সাথে তৈরী রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। যে দ্বন্দ্ব চলমান ছিল দীর্ঘদিন। শিল্পপতি শাহ আলম প্রকাশ্যে রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলেও অন্তরালে চালিয়ে যাচ্ছেন নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ। আর তাই ফতুল্লায় বিএনপির রাজনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে শক্তিশালী দুটি বলয়। বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষনা দিলে নিজের অবস্থান সুসংহত করার লক্ষে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানি টিকিয়ে রাখতে যে দলের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক সফলতা সে দল বিএনপির মায়া ত্যাগ করে সাংসদ শামীম ওসমানের হাত ধরে নৌকায় উঠেন মনিরুল আলম সেন্টু। ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়াম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অনেক নেতার ভাষ্যমতে জানা যায়, সেন্টু আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা মার্কায় চেয়াম্যান হলেও তার কার্যক্রম ও পথচলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে। আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা তার কাছে কোনো অবহেলিত। ক্ষমতায় থেকেও কুতুবপুরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা এখন অসহায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফতুল্লা থানা বিএনপির এক নেতা জানান, মনিরুল আলম সেন্টু আওয়ামী লীগে যোগদান করে সাংসদ শামীম শামীম ওসমানের হাতে সোনার নৌকা উপহার দিয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যে এমপি হবেন তাকে সোনার ধানের ছড়া উপহার দিয়ে চেয়ারম্যান হবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে অনেকেই বলেন,রাজনীতির মাঠে এখন অনেক নেতাই দ্বৈত আদর্শের অধিকারী বনে গেছেন। যেমনটা আমাদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। বর্তমানে ফতুল্লা থানা বিএনপির নিয়ন্ত্রনকর্তা এখন তিনি। কারন ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম টিটু যে তার প্রধান সেনাপতি এটা রাজনৈতিক অঙ্গনের সবারই জানা। শুধু শহিদুল ইসলাম টিটু না যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল হোসেন, হাজী মোঃ শহিদুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন আনু,অধ্যাপক মনির, সদস্য সচিব এড. আবদুল বারী ভূইয়া সহ বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন যারা মনিরুল আলম সেন্টুর দীর্ঘদিনের অনুসারী। বর্তমানে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে না থাকলেও শহিদুল ইসলাম টিটুর সহ অনুসারীদের মাধ্যমেই ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতিটাকে রেখেছেন নিজের নিয়ন্ত্রণে। ফতুল্লা থানা বিএনপির প্রতিটা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিতে শাহ আলম পন্থীদের মাইনাস করে পদায়ন করছেন নিজের লোকদের। ক্ষমতামূখী এ রাজনৈতিক নেতা কালের বিবর্তনে আবার ফিরে আসতে পারে বিএনপির রাজনীতিতে তখন তার অনুসারীদের মুখে শোনা যাবে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯