আজ রবিবার | ৩ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮ কার্তিক ১৪৩১ | ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৬ | রাত ৩:৩৫

সিদ্ধিরগঞ্জে আ’লীগ-বিএনপি একাকার!

ডান্ডিবার্তা | ১৪ মে, ২০২৩ | ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জের (নাসিক) ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুমন কাজী ও আবু বক্কর সিদ্দিক আসছে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পদপ্রার্থী হয়েও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা করেছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের। তাদের এমন কর্মকান্ডে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হতাশ করে যাচ্ছেন। জানা যায়, সুমন কাজী জেলা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে এবার মূল দল জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ্য পদপ্রার্থী হয়ে লড়বেন তিনি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকেও বিএনপি নেতার নির্বাচনী প্রচারণায় সরাসরি জড়িত হওয়ায় আলোচনা-সমালোচনা তুমুল পর্যায়ে উঠেছিল। ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঙ্গে সুমন কাজীর সখ্যতা আওয়ামী নেতাকর্মীদের জন্যে ভয়ানক বলে ধারণা অনেকের। অন্যদিকে আবু বক্কর সিদ্দিক (নাসিক) ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী। তার বড় ভাই থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা। আবু বক্কর সিদ্দিক আওয়ামী লীগ করা সত্বেও বিএনপির নেতার সঙ্গে সখ্যতা নিয়ে প্রশ্নবৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত পার্থীর বিরোধিতা করে বিএনপি নেতার নির্বাচন করেছিলেন তিনি। বিতর্কিত এ দুই নেতা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলে বিএনপির ক্ষমতা বল বাড়বে বলে ধারণা মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। না প্রকাশ না করা সর্তে একাধিক আওয়ামী লীগের কর্মী জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দল করে যাচ্ছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পদ পাইনি। সম্মেলন না হওয়ায় অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এবার যেহেতু কমিটি দেয়া হবে। সেখানে যোগ্য পার্থীকে পদ না দিলে বিএনপির নেতাকর্মী মাঠে-ময়দানে দাপিয়ে বেড়াবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, যে ছবিটির কথা বলা হচ্ছে ওই ছবিটি গত নাসিক নির্বাচনের আগ মূহুর্তের। ওই নির্বাচনে ইকবাল হোসেন, আমিসহ মোট ৬ জন প্রার্থী ছিলাম। তখন ওই ওয়ার্ডে কে সর্বশেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন তা নিয়ে একটি মিটিং হয়। ওই মিটিংয়ে কেউ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার অনীহা প্রকাশ না করলে আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলা হয়। পরবর্তীতে আমাকে ওই নির্বাচনে ইকবাল হোসেনের হয়ে কাজ করতে বলা হয়। আমি নিরুপায় হয়ে দলের নির্দেশে ইকবাল হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করি। আমার পরিবার সবসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই ছবির বিষয়ে সবাই অবগত আছেন। তাই এ নিয়ে আর কিছু বলার নেই। এছাড়াও অগ্নিসংযোগ, নাশকতা, হেফাজতের তা-বের ঘটনাসহ একাধিক মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের আমলে বি,এন,পির তিন নেতা নিয়ন্ত্রণ করছে নাসিক ৩নং ওয়ার্ডে পুরো এলাকা। জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বি,এন,পির সদস্য এবং নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের বিএপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান ওরফে ডাক্তার পরিচয় দানকারী মান্নান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ছাদু ও বিএনপি নেতা আবু তাহের। ওই এলাকার জায়গা জমি ক্রয়-বিক্রয় ও দখল, বিচার, সালিশীসহ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের নির্দেশ ছাড়া ওই এলাকায় কোন কিছুই বাস্তবায়িত হয় না। অনুসন্ধান জানাযায়, গত কয়েক বছর আগে ও নিমাই কাশারি এলাকায়, ঔষুধের দোকান চালিয়ে এলাকায় হয়ে উঠেছেন ডাক্তার। নিমাইকাশারী বাজার মোড় এলাকায় চার কাঠা জমির উপর করেছেন চারতলা বাড়ি, একই এলাকায় চার কাঠা জমিতে রয়েছে তার নামে মার্কেট, এছাড়াও এলাকার কন্টিনেন্টালে আঠার কাঠা জমির মালিকানা রয়েছে তার। হাজী কালাচাঁন বালুর মাঠ সংলগ্ন ছয় কাঠা জমিতে চৌদ্দ তলা ভবন নির্মাণ করেছেন আবদুল মান্নান ওরফে ডাক্তার মান্নান, দের কোটি টাকার জমি মসজিদের নামে চার কাটা করেছেন দান। নুরবাগে সাড়ে আট কাটা জমির ওপর শাড়ে দশ তলা ভবনের মালিকানা, ৩নং ওয়ার্ডের প্রতিটি এপার্টমেন্টে রয়েছে তার মালিকানা। এ বিষয়ে জানতে, মান্নান ডাক্তারের মুঠ ফোনে কথা হলে তিনি জানান গত জাতীয় নির্বাচনে আমি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছি যা নাসিক ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল,ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি ইয়াসমিন মিয়া জানেন। আমি বি,এন,পি করিনা, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি।এদিকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা,বলেছেন গত ১৫ বছরে যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের কেউ না তারা নিজেদের আখের গোছাতে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন,তারা গুপ্তচর তাদের কোন ঠাই নেই আওয়ামী লীগে। তা হলে কার ত্রছায়ায় নাশকতা, হেফাজতের তা-বের ঘটনাসহ একাধিক মামলার আসামি বিএনপি নেতারা পুরো তিন নং ওয়ার্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। এবিষয়ে জানতে নাসিক ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির ঘাঁটি, মান্নান ডাক্তার আমার সামনে ভোট দিয়েছেন এটা কি করে সম্ভব, মানুষ ভোট দেয় গোপনে মান্নান ডাক্তারের এ কথা ভিত্তি হীন, বর্তমানে সবাই আওয়ামী লীগের লোক, নিজের আখের গোছাতে সবাই আওয়ামী লীগের পরিচয় দেন। আবু তাহের ওরফে নেতা তাহের, ছিলেন সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি মেনেজার। কয়েক বছর আগে ও ভাড়া বাসায় থাকতেন নিমাই কাশারি কালাই হাজির বাড়িতে। ব্যাংকে চাকরি করে এত সম্পত্তির মালিক হলেন কি ভাবে? এনিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। নিমাই কাশারি সিকোটেক্স গার্মেন্টস সংলগ্ন ব্যাংক কলোনির এক নাম্বার গলির মাথায় রয়েছে ৬ কাটার প্লট, এর একটি বাড়ির পরের জোড়া পাচঁতলা দুটি বাড়ি, এর সাথে ছিল একটি টিনসেট বাড়ি সেটি বিক্রি করে দিয়েছেন। নিমাই কাশারি সিকোটেক্স গার্মেন্টসের সামনে একটি বাড়ি ছিল সেটি বিক্রি করে দিয়েছেন।একই গলিতে রয়েছে সিরাজ টাওয়ার নামে একটি পাঁচ তলা ভবন, এর সামনে রয়েছে দশ কাটার একটি পল্ট,বদরুন্নেসা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, স্কুল জায়গার মালিক। কন্টিনেন্টাল এলাকায় আঠারো কাঠা জমিতে মালিকানা রয়েছে তার। হাজী কালাচান বালুর মাঠ সংলগ্ন জমিতে চৌদ্দ তলা ভবনের মালিকানা, নূরবাগ কাঁচাবাজার সংলগ্ন দুটো দশতলা ভবনের মালিকানা। তাহেরের বাড়ি পল্ট গুনে শেষ করা যাবেনা। জানা যায় বিএনপির আন্দোলনে আর্থিক যোগান দিয়ে থাকে তাহের। ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় যত গুলো এপার্টমেন্ট, পল্ট রয়েছে সব গুলোতেই তাহেরের মালিকানা রয়েছে। তার সম্পতির হিসাব করলে হাজার কোটি টাকার মালিক তাহের। এত টাকার মালিক একজন ব্যাংক মেনেজার হলেন? বি এন পি নেতা কিভাবে আওয়ামী লীগের আমলে এত সুযোগ সুবিধা পায়। এনিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে খোদ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের ভিতরের। ব্যাংকে চাকরি করলেও নিমাইকাশারী এলাকার মানুষ তাঁকে বিএনপি নেতা তাহের হিসেবেই চিনেন। বিএনপির আমলে মাঠ কাপানো আবু তাহের বাড়ি গাড়িসহ হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এলাকায় কোন জায়গা জমি বিক্রি হলে তাদের তিন জনের কাছে বিক্রি করতে হবে,এটা ওই এলাকার নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে,এমন প্রভাব তাদের। জমিতে সমস্যা বা ওয়ারিশ থাকলেও তারা জমি বায়না করেন। বিচার সালিশীসহ এলাকার পান থেকে চুন খশলেই তাদের বাহিনী মীমাংসার দায়িত্ব নেয়, বিচারের নামে মোটা অংকের টাকায় করেন রফাদফা। তাদের রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী, করো সাথে বনিবনা না হলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। আরেক সহযোগী সাইফুল ইসলাম ছাদু, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক। এলাকায় তিনি জমির দালাল হিসেবে পরিচিত। নিমাইকাশারী মোড়ে এলাকায় বহুতল বিশিষ্ট বাড়ি রয়েছে তার। মাদানীনগর চার রাস্তার মোড়ে এলাকায় প্রায় পাঁচ কাঠা জমিতে একটি মার্কেট রয়েছে তার। যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা। এছাড়াও কন্টিনেন্টালে আঠারো কাঠা জমিতে মালিকানা রয়েছে তার। হাজী কালাচান বালুর মাঠ সংলগ্ন চৌদ্দ তলা ভবনের মালিকানা রয়েছে। রয়েছে নূরবাগ কাঁচাবাজার সংলগ্ন দুটি দশতলা ভবনের মালিকানাও রয়েছে তার নামে। এছাড়াও নামে বেনামে রয়েছে অনেক জায়গা-জমি। ওয়ারিশ বা ভেজাল জমি কিনে বিক্রি করাই তার পেশা। স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের আমলে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই তিন বিএনপির সহধর। বিচার, সালিশ, এলাকায় জমি ক্রয়-বিক্রয় থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে তাদের নাম পাওয়া যায়। অভিযোগের ব্যাপারে বিএনপি নেতা আবু তাহেরর মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি মিটিংয়ে আছি বলে ফোন কেটে দেয়। পরে তার ফোনে বার বার ফোন দিলে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়া জানান, বিএনপি করলেও আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছেন তারা। তারা সামনে নেীকায় ভোট দেওয়ার ব্যাপারে বলেন মান্নান ডাক্তার ভোট দিয়েছেন, ৩নং ওয়ার্ডে আমি ২নং ওয়ার্ডের ভোটার সে কোথায় ভোট দিয়েছে আমি কি করে বলবো।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা