আজ শনিবার | ২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬ | সন্ধ্যা ৭:২৮

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব না পড়লেও নানা ভোগান্তিতে না’গঞ্জবাসী

ডান্ডিবার্তা | ১৫ মে, ২০২৩ | ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে সারাদেশের মাতো আতঙ্কিত হলেও নারায়ণগঞ্জে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। নেই বৃষ্টি কিংবা ঝোড়ো বাতাস, রোদ থাকলেও গরম কিছুটা কমছিল। গতকাল রোববার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জে রোদ আর মেঘের লুকোচুরি চলেছে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক সময়ের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। কোথাও এখন পর্যন্ত বৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ঘূর্ণিঝড় মোখার জন্য জারি করা আগাম সতর্কসংকেত মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে নারায়ণগঞ্জবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছিল। নিত্য দিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন গলাচিপা এলাকার মো. আল মেহেদী। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে মায়ের হাতের তৈরী করা টিফিন করে রাখা দুপুরের খাবার নিয়ে বের হন তিনি। কিন্তু আজকে আর সেই খাবার নিয়ে বের হতে পারেনি তিনি। কারণ বাসায় চুলায় গ্যাস না থাকায় তার মা আজ রান্না করেনি। তাই দুপুরে মায়ের হাতের রান্না করা খাবার থেকে বঞ্চিত হলেন তিনি।’ মো. আল মেহেদী জানান, সকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় রুটিনের অনেক কিছু মিস করেছি। পাশাপাশি গ্যাস না থাকায় মা আজ রান্না করতে পারে নাই। তাই বাসা থেকে লাঞ্চের টিফিন ছাড়াই বের হতে হলো। দুপুরে বাহির থেকে অতিরিক্ত টাকা ব্যায় করেই খাবার খেতে হবে। গ্যাস এবং বিদ্যুৎ ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে আজকের দিনে। নারায়ণগঞ্জে তিতাস গ্যাস সংযোগ এলাকা গুলোতে সকাল থেকেই গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে, পাশাপাশী আছে লোডশেডিং এর ভোগান্তি। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে সারা দেশেই একটি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অতিক্রম করছে। এ সময়ে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল গুলো লোডশেডিং থেকে শুরু করে গ্যাস সংকটও দেখা দিচ্ছে। এই দূর্যোগময় সময়ে নারায়ণগঞ্জ ঝুকিমুক্ত থাকলেও ভিন্ন দুর্যোগের মোকাবিলা করতে হচ্ছে নগরবাসীর। গলাচিপা, দেওভোগ, জামতলা, আমলাপাড়া, পালপাড়া, হাজিগঞ্জ, তল্লা, খানপুর, ভূইয়ারবাগ, নাগবাড়ি, উকিলপাড়া ও নন্দীপাড়াসহ অন্তত ডর্জন খানেক এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে আবাসিক চুলায় গ্যাস নেই। গ্যাস সংকট চরম পর্যায় পৌছেছে। এতে গৃহিনীদের দূর্ভোগের শেষ নেই। অনেকে মাটির চুলা কেউ আবার সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা পপি রাণি সরকার বলেন, আজকে ভোর থেকেই গ্যাসের তীব্র সংকটের মধ্যে আছি। এমনিতে ভোর ৪টা অথবা ৫টায় না উঠলে আমাদের বাসায় রান্নাই করা হয় না। তার উপর আজ একেবারেই সংকট। এছাড়া সকাল থেকে এই পর্যন্ত কয়েকবার লোডশেডিং হয়েছে, বাচ্চার পরীক্ষা চলছে ভালো মতো পড়াশোনা করতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, আমার শ্বাশুড়ি মা একজন বৃদ্ধা। আমরাই গড়মে সহ্য করতে পারি না, তিনি কিভাবে পারবে। সকাল থেকে গ্যাস এবং বিদ্যুতের ভোগান্তিতে প্রায় অতিষ্ট। গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা নাছিমা আক্তার কাজল জানান, আমার বাসায় ৩জন সন্তান আছে। সকালে তারা নাস্তা খেয়ে কর্মস্থলে যায় এবং দুপুরের খাবার নিয়ে যায়। কিন্তু আজ সকাল থেকেই গ্যাস নেই, তাই রান্নাও করা হয়নি। সন্তান গুলা না খেয়েই কর্মস্থলে গেছে। একই এলাকার এক যুবক অনিক জানায়, ভোরে নামাযের পর একটু ঘুমাই। কিন্তু আজ আর ঘুমানো সম্ভব হলো না। কারণ সকাল থেকে এই পর্যন্ত ৪-৫বার লোডশেডিং হয়েছে। ভেবসা গরমে আর বিছানায় থাকা গেলো না। তাই আজ আর ঘুমাতে পারলাম না। দেওভোগ এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মেঘ মালা বলেন, আমাদের বিল্ডিং এর চারপাশেই অন্যান্য বিল্ডিং। তাই দিনের আলো তেমন একটা ঢুকতে পারে না ঘটে। তাই অধিকাংশ সময় পড়াশোনা করি লাইট জ্বালিয়ে। কিন্তু সকাল থেবে এতো পরিমানের লোডশেডিং হয়েছে যে পড়তে বসেও সস্তি পাই নাই। ফতুল্লা এলাকা বাসিন্দা শুভ দেব তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ‘সারাদিনে ৫ম বারের মতো বিদ্যুৎ গেলো! সারারাত এখনও বাকি! প্রতিবার গেলে কমপক্ষে ১ ঘন্টা পড়ে আসছে! গরমে বাড়ির সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া শেষ হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ মিলবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। শনিবার রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালির দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই বেশ কয়েকটি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আংশিক চালু এবং বন্ধ থাকছে। ফলে ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। অনাকাঙ্খিত এই অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়া মাত্রই ভাসমান টার্মিনালগুলো পুন:স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ এবং গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় চালু করা হবে। এই মহাদুর্যোগে সবার সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করছি।’




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা