আজ শনিবার | ২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬ | বিকাল ৩:২৫

বন্দরে আ’লীগ কার্যলয়হীন

ডান্ডিবার্তা | ১৭ মে, ২০২৩ | ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বন্দরে সরকারদলীয় রাজনীতিতে সক্রিয়তা ধরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে শীর্ষ নেতারা। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ একজন কর্মীবান্ধব নেতা। দল, সংগঠন ও নীতির ক্ষেত্রে আপোসহীন নেতা এম এ রশিদ চলতি বছরের শুরুতেই নানা প্রকার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের বন্দরের ওয়ার্ড কর্মী সভা শুরু করেছে। ২২ ও ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী সভা গত শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মী সভায় হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। শনিবার বিকেলে ২৪ ও ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মী সভাসহ নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে এ কর্মসূচিগুলোর সাথে আরও গতানুগতিক পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে প্রবীণ আওয়ামী লীগের নেতা এম এ রশিদ জানান। সূত্র মতে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ (সরকার দলীয়) রাজনীতিকে গতিশীল ও চাঙ্গা করে রাখছেন সাবেক ছাত্র নেতারা। বন্দর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলপ্ত ঘোষণা না করলেও প্রায় ১৭ বছর পূর্বে গঠিত কমিটির নেতারা বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। বন্দরে ছাত্রলীগের নেতারা অতীতে যেভাবে দলের ভূমিকা পালন করেছে, বর্তমানেও বন্দরে সরকার দলীয় রাজনীতিকে গতিশীল রাখার পেছনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমিকা পালন করছে। সূত্রমতে, বন্দর থানা ছাত্রলীগের ২০ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন হয় ২০০৫ সালে। নাজমুল হাসান আরিফকে আহবায়ক করে সম্মেলনের মাধ্যমে ২০ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০০৬ সালে বন্দরের আলী নগরস্থ সাবেক সাংসদ এস এম আকরামের বাড়িতে সম্মেলনের মাধ্যমে বন্দর থানা কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম এমপি, জি এম আরাফাতসহ জেলার নেতারা। কমিটিতে নাজমুল হাসান আরিফ সভাপতি, সহ সভাপতি এম এ সালাম, শেখ কামাল। সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান কায়েস। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল, সাইফুল ইসলাম। সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, খান মাসুদসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে (তৃণমূল) উঠে আসা নেতারাই বন্দরে সরকার দলীয় রাজনীতির অক্সিজেন বলে অনেকে মনে করেন। বন্দর উপজেলা বা থানা ছাত্রলীগের একটি প্রধান কার্যালয় থাকলে সংগঠন আরও গতিশীল হত আর জাতির জনকের প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্দরে সবচেয়ে সু-সংগঠিত থাকতো বলে জানান বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক ও যুবলীগ নেতা খান মাসুদ। যদিও কমিটি বিলপ্ত করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, দল ক্ষমতায় প্রায় ১৪ বছর ৪ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের ২৩ তারিখ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্রলীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দুঃখ-সুখ বলার একটা জায়গা নেই। ছাত্রলীগের বন্দর থানা বা উপজেলার প্রধান কোন কার্যালয় নেই। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ ভাই আমাদের অনুপ্রেরণা ও অভিভাবক। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছে মাত্র ৪ বছর হতে চলছে। চেয়ারম্যান হওয়ার পর এম এ রশিদ ভাই নিয়মিত অফিস করায় দলের নেতাকর্মীরা কোন প্রয়োজন হলে দ্রুত উপজেলায় গিয়ে তার কথা বলার স্থান পেয়েছে। সরকার ক্ষমতায় টানা ৩ বার। দ্বিতীয় বার পর্যন্ত (১০ বছর) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিল বিএনপির। আমাদের সবচেয়ে দুঃখ ও কষ্টের বিষয় ছাত্রলীগের প্রধান কোন কার্যালয় নেই। নাজমুল হাসান আরিফ বলেন, সংগঠনের প্রধান কার্যালয় না থাকলেও ব্যক্তিগত সংগঠনের কার্যালয় আছে। আমার নিজের একটি অফিস আছে, যা মাসে ভাড়ায় চলে।এম এ সালাম, বর্তমানে মদনপুর ইউনিয়নের হ্যাট্রিক বিজয়ী চেয়ারম্যান। বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে যারা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন বর্তমানে ওই চেয়ারম্যানদের উপর দল প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আস্থা ও ভরসা রেখে পুনরায় নমিনেশন দিয়েছে। বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১টি’তে নৌকা প্রতীককের চেয়ারম্যান। নাসিক ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে হাতেখড়ি। ছাত্রলীগ দিয়ে শুরু, তারপর উপজেলা যুবলীগ, বর্তমানে মহানগর শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সাবেক কাউন্সিলর ২৬নং ওয়ার্ড। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি বলতে ওসমান পরিবারকেই বুঝি। জাতির জনকের আদর্শে অনুপ্রাণিত নারায়নগঞ্জের প্রত্যেকটি কর্মীই ওসমান পরিবার থেকে শক্তি, সাহস, অনুপ্রেরণায় চালিত। বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু। তার পরিবারে আওয়ামী লীগের রক্তের আর্দশ মিশে আছে। তিনি ঢাকা কলেজে লেখাপড়া করাকালীন হতেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। তার পিতা, চাচারা আওয়ামী লীগ তথা ওসমান পরিবারের রাজনীতিতে অবিচল ছিল। এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহম্মেদ দলকে সুসংগঠিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বন্দরের লাঙ্গলবন্দস্থ চেয়ারম্যান মার্কেটে মাসুম আহম্মেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করে আলোচনায় আসে। ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত থেকেছে। সার্বিক বিশ্লেষণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় রাজনীতিকে চাঙ্গা করতে নানা কৌশলে হাঁটছে বন্দরের শীর্ষ নেতারা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা