আজ শনিবার | ২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬ | সকাল ১১:৩৬

দক্ষ ও ত্যাগীদের নেতৃত্ব চান তৃণমূল

ডান্ডিবার্তা | ১৭ মে, ২০২৩ | ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট যোগ্য, দক্ষ, ত্যাগী, আওয়ামী লীগের প্রতি নিবেদিত প্রাণ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ; এমন নেতাদের কমিটিতে দেখতে চান নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল। তবে, শীর্ষ নেতারা চাইছেন কমিটিতে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে একাধীক তালিকা পাঠানোর গুঞ্জন রয়েছে। সবকিছু ছাপপিয়ে এখন নারায়ণগঞ্জ জেলাওয়ামী লীগের সকলের দৃষ্টি এখন কেন্দ্রীয় কমিটির দিকে। অপেক্ষা পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির নেতারা বলছেন, কেন্দ্র যাদের বেছে নিবে, তাদের নেতৃত্ব মেনে নিবে তারা। গত বছরের ২৩ অক্টোবর সম্মেলনের মাধ্যমে আবদুল হাইকে সভাপতি আর আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তখন এক মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দেওয়ার জন্য। এরপর একে একে দীর্ঘ ৭ মাস অতিক্রম হয়েছে। এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। সম্প্রতি দু‘জনই পৃথক তালিকা জমা দিলে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। অনেকেই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেতে দৌড়-ঝাঁপ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় নেতাদের দরবারে যাচ্ছেন বলে শুনা গেছে। তবে সব কিছুকে উপেক্ষা করে তৃণমূল নেতাদের দাবী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে, ত্যাগী,আওয়ামী লীগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে রক্ষা করতে পারবে এমন ব্যাক্তিদের কমিটিতে স্থান দেয়া উচিৎ। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা চন্দন শীল বলেন, আমি প্রত্যাশা করি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি হোক, সংগঠনের প্রতি যোগ্য, দক্ষ, ত্যাগী, আওয়ামী লীগের প্রতি নিবেদিত প্রাণ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে, হাইব্রিডদের বাদ দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হোক। যারা লড়াই সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখে,যারা মানুষের জন্য কাজ করে তাদের ভালোবাসা অর্জন করেছে, যাদের নামে কোন বদনাম নেই, টেন্ডারবাজীর রিপোর্ট নাই তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাখা উচিৎ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আনিসুর রহমান দিপু বলেন, পরীক্ষিত ত্যাগী, যারা আওয়ামী লীগের সাথে জরিত, জেলা কমিটিতে যাদের আসার যোগ্যতা আছে। তাদের আসলে জেলা কমিটিতে স্থান পাওয়া উচিৎ। কেননা জেলা কমিটি যারা থাকবে তাদের অবশ্যই দক্ষতা দরকার আছে, বুদ্ধিবৃত্তির জায়গা আছে, ইতিহাত ও ত্যাগ-তিতিক্ষার ব্যপার আছে। আমি বিশ্বাস করি এমন লোকই আসবে। মুক্তিযুদ্ধ ও প্রধানমন্ত্রীকে বক্তব্য দিয়ে বহিস্কার হয়ে আবার ক্ষমা চেয়ে পূর্ণবহাল থেকে রাজনীতি করেছে অনেত নেতা। তাদের কি আবার কমিটিতে থাকা উচিৎ কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুর রহমান দিপু বলেন, এমন কোন কাজ করেছে কেউ আমার জানা নাই। আর যদি এমন কেউ করে থাকে তাহলে তো আর দল বসে থাকে নাই। যদিও ক্ষমা করা না করার অধিকার কেন্দ্রীয় কমিটির। তারাই সে সুযোগ দিবে। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল বলেন, যারা দলের জন্য সংগ্রাম করতে পারবে, যাদের আওয়ামী লীগের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে তাদেরকে আসলে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া উচিৎ। তারও পরও আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জননেতা একেএম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ভাই ও সাধারণ সম্পাদক বাদল ভাই যাদের যোগ্য মনে করবে তারাই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাবে। যারা পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হয়েছে, আমার মতে তাদের কমিটিতে স্থান পাওয়া উচিৎ না। বাকিটা সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নিবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম বলেন, কারা নতুন কমিটিতে আসবে এটা আমি জানিনা। কেমন নেতাকর্মী আসা দরকার সেটাও আমি জানি না। এগুলা সিদ্ধান্ত নিবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এদিকে আওয়ামী লীগের নারী নেত্রী ও আইনজীবী এড. মাহমুদা মালা বলেন, যারা পুরোন, দলের জন্য ত্যাগ শিকার করেছে, রাজনীতিতে অভিজ্ঞ তাদের মূলত কমিটিতে রাখা উচিৎ। তাছাড়া যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে না বা বিভিন্ন সভা সমাবেশে বেফাঁস কথা বলে, তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি স্থান না দেয়াই উচিৎ। তবুও প্রধানমন্ত্রী যাকে দায়িত্ব দিবে বুঝে শুনেই দিবে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর ফতুল্লা ইসদাইর এলাকার ওসমান পৌর স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে সম্মেলনের শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলকে আবারও পুনর্বহাল করা হয়েছিলো।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা