আজ শনিবার | ২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬ | সকাল ৯:৪০

গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির যাতাকলে পিষ্ট বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়া

ডান্ডিবার্তা | ১৯ মে, ২০২৩ | ১২:২১ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট গ্যাসের দাম চুলা প্রতি ৫১২ টাকা বাড়ানোর খবরে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র চরম দুশ্চিন্তগ্রস্ত হয়ে পরেছে সাধারন মানুষ। বিভিন্ন বাড়ির ভাড়াটিয়ারা বলছেন সরকার যেভাবে সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে তাতে তাদের পক্ষে আর শহরে বাস করা সম্ভব হবে না। কারন গ্যাসের দামের এই বাড়তি টাকাটা তাদেরকেই দিতে হবে। তারা জানান একটি বহুতল ভবনে যে কয়টি পরিবারই বাস করুকনা কেনো তাদের মাঝে একটি চুলার বিল পরিশোধ করেন বাড়িওয়ালা। বাকী প্রত্যেককে তার নিজ নিজ চুলার বিল পরিশোধ করতে হয়। বাড়িওয়ালারা গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল আলাদা করে দিয়ে তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেন। তাই সরকার যেভাবে বছরে বছরে গ্যাস আর বিদ্যুৎ বিল বাড়াচ্ছে তাতে এখন আর তাদের পক্ষে শহরে বাস করাই মুশকিল হয়ে পরেছে। গ্যাস বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ভাড়াতো রয়েছেই। আবার তারা যে গ্রামে ফিরে যাবেন সেখানেও কোনো কাজ নেই। গ্রামেও বোতলজাত গ্যাস কিনে রান্না করতে হয় আর বিদ্যুৎ বিলতো রয়েছেই। তাই গ্রামে গেলেও না খেয়ে থাকতে হবে। তাই এখন তারা চরম বিপাকে পরেছেন। অপরদিকে বাড়িওয়ালারাও এভাবে দফায় দফায় গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারনে বিপাকে পরেছেন। কারন বাড়তি খরচের চাঁপে অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়ার কথা বলছে। কিন্তু বাসা যদি খালি পরে থাকে তাহলেও বাড়িওয়ালাকে গ্যাস বিল পরিশোধ করতেই হয়। একেতো জিনিসপত্রের যে দাম তাতে তাদের সংসারই চলে না। তার উপর এভাবে গ্যাস আর বিদ্যুতের দাম বাড়ালে তাদেরকে একেবারে না খেয়ে থাকতে হবে। তাই নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষ মনে করেন আসলে দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই এবং ক্ষমতায় যেতে জনগনের কোনো ভোট লাগে না, এ কারনেই সরকার এভাবে সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে। সরকারের কিছু সুবিধাভোগী জনগনের টাকা লুটপাট করছে। একদিকে দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের জন্য হাহাকার বিরাজ করছে তার উপর সরকার আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করছে বলে খবর বেরিয়েছে। মানুষ রান্না করার গ্যাস পাচ্ছে না, তার উপর আবারও দাম বাড়ানোর পায়তারা চলছে। এতে দেশের সাধারন মানুষের কোনো আয় বাড়ছে না বরং ক্রমাগত ব্যায় বেড়ে চলেছে। তাই আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির খবরে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র সাধারন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পরেছে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জে আবারও গ্যাস ও বিদ্যুতের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসে চুলায় একেবারেই গ্যাস থাকছে না এবং আবারও প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ যাওয়া আাসা করছে। লোডশেডিং হচ্ছে ঘন্টায় ঘন্টায়। এতে এই প্রচন্ড গরমে একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছে মানুষ। ঘরে ঘরে রাতে ঘুমাতে পারছে না সাধারন মানুষ। যদিও গত দু’দিন ধরে বৃষ্টিপাত হওয়ায় তাপমাত্র কিছুটা কমে এসেছে। কিন্তু বিগত কয়েক মাস তীব্র গরমে একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছিলো দেশের সাধারন মানুষ। বিশেষ করে যে সকল ঘরে ছোটো শিশুরা রয়েছে সেই সকল ঘরে একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছে পিতামাতারা। প্রচন্ড গরমে ঘরে ঘরে অসুস্থ্য হয়ে পরেছে বহু মানুষ। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে সাধারন মানুষ জানিয়েছে এ বছর এতোটাই গরম পরেছে যে যখন বিদ্যুৎ থাকে না তখন ঘরে ঘরে ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি হয়। টানা গরমে চরম অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া সম্প্রতি এতো বেশি লোডশেডিং হচ্ছে যে যাদের ঘরে বা প্রতিষ্ঠানে জেনারেটর বা আইপিএস আছে এসবেও কুলোচ্ছে না। এ বিষয়ে মাসদাইর বাজার এলাকার আবদুর রহমান বলেন আজকাল রাতে একেবারেই ঘুম হচ্ছে না। কারন প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেতো পরের ঘন্টা থাকে না। এতে মোটেও ঘুমানো সম্ভব হয় না। বরং গরমে সারা রাতই হাঁসফাঁস করতে হয়। এতো এতো বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা শুনলাম অথচ লোডশেডিংই কমছে না। এদিকে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র বিদ্যুতের অভাবে কলকারখানায়ও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কারখানাগুলি জেনারেটরে চলছে। কিন্তু জ¦ালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় জেনারেটর চালানোর খরচ আগের তুলনায় বহুগুন বেড়ে গেছে। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারনে কারখানার মালিকদেরকে চরম সংকটে পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিলকারখানর মালিকরা। অপরদিকে বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি বিগত প্রায় এক মাস ধরে চরম গ্যাস সংকটও বিরাজ করছে সারা নারায়ণগঞ্জে। এতে ঘরে ঘরে খাবার রান্না করতে পারছে না গৃহিনীরা। অনেকে অভিযোগ করেছেন পরিস্থিতি এমন দাড়িয়েছে যে সারা দিন এক ফোঁটা গ্যাসও থাকে না। কোনো কোনো এলাকায় মাঝ রাতে গ্যাস আসলেও ভোর পাঁচটার আগেই আবার গ্যাস চলে যায়। তাই গ্যানের অভাবে কঠিন পরিস্থিতির মাঝে দিন কাটাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের মানুষ। ফলে গ্যাস বিদ্যুতের অভাবে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র সাধারন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা