আজ শনিবার | ২ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬ | ভোর ৫:৩০

লুটেরা সরকারের হাতে দেশ জিম্মি

ডান্ডিবার্তা | ২০ মে, ২০২৩ | ১২:০০ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে এই লুটেরা সরকারকে বিদায় করতে হবে। কারন দেশ আজ লুটেরা সরকারের হাতে জিম্মি। এদের বিদায় না করলে উন্নয়ন হবে না। মানুষের পেটে ক্ষুধা রেখে দুটো ব্রিজ করলে উন্নয়ন হয় না। আগে পেটের ভাত তারপর উন্নয়ন। যে উন্নয়নের চেয়ে বেশি নিজের পকেটের উন্নয়ন হয় সেই উন্নয়ন আমাদের প্রয়োজন নেই। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির জনসমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ওরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। আমি বলিনি, এটা শিল্প মন্ত্রী বলেছে। দেশের জনগণ এই লুটপাটের কারণে দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে গেছে। আমরা বারবার প্রতিবাদ করেছি। সরকারের বোধদয় হয়নি। ব্রিজ করতে বাইরে লাগে ছয় সাত হাজার ডলার। আমার দেশে লাগে ত্রিশ হাজার ডলার। এটা কী মগের মুল্লুক নাকি। সরকারি কর্মকর্তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লেগে আছে। এ বলে তুই বেশি খেয়েছিস ও বলে তুই বেশি খেয়েছিস। পানির দাম, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। ওরা বলে তেলের দাম বাড়াবো না আন্তর্জাতিক বাজারের দামে ছেড়ে দিবো। এতদিনে কেন। আমার নেত্রী কী দেশ চালায়নি ভর্তুকি দেয়নি। তখন কী দাম বেড়েছিল? বাড়েনি। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের আন্দোলনের সম্মান জানিয়ে সেদিন তত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল। এই তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী সবার আগে ছিল জামাতের। আজ তাদের নাকি আবার আপোষ হচ্ছে শুনলাম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চাইলে আজ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন তিনি যদি চাইতেন। আর আপনারা কী করলেন। শত শত মানুষকে গুম করলেন হত্যা করলেন। এভাবে একটা দেশ কখনও চলতে পারে না। ওদের এক নেতা এক এগারোর সময় জেলে আমার সামনে কান ধরে উঠবস করেছিলো। বলেছিল আর রাজনীতি করবো না ভাই। আজ সেই নেতা বড় বড় কথা বলেন। তিনি বলেন খেলা হবে। আমরা আপনাদের এইসব খেলায় অংশগ্রহণ করবো না। খেলা তো শুরু হয়ে গেছে। আমরা আপনাদের সাথে কোন ঝামেলায় যেতে চাই না। তিনি আরো বলেন, এখনও সময় আছে মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। নয়ত পরে পালানোর রাস্তা খুঁজে পাবেন না। আপনারা কীভাবে পালাবেন চিন্তাভাবনা করেছেন। আপোষে গেলে যান জোর করে পালাতে পারবেন না। জনগণ আপনাদের বিচারের পাল্লায় তুলবে। জনগণ আপনাদের ছাড়বে না। যারা গুম হয়েছে তাদের বাবা মা আপনাদের ছেড়ে কথা বলবে না। নারায়ণগঞ্জের অনেক নেতা কারাগারে আছে। আরেকটা ছেলে আছে। সেও জেলে, নাম জাকির খান। আমরা জেল থেকে তাদের মুক্ত করবো। এ সরকারের কাছে আর মুক্তি চাই না আমরা। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এ দেশ কারও ব্যক্তিগত সম্পদ না। যেকোন মূল্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করে যাবো। তিনি বলেন, আগে কোনদিন উচ্চ আদালতের বেইল কাটা হত না। সাম্প্রতিক কালে হাইকোর্টের বেইল কেটে দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এর কারণ আজ জনগণ আর তাদের পছন্দ করে না। তারা জানে যদি নির্বাচন হয় জনগণ ভোট দেয় তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই তারা আবারও জনগণের অধিকার খর্ব করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। জনগণ এদেশের মালিক। তারাই দেশ পরিচালনা করবে। সরকার বুঝে ফেলেছে জনগণ কোনদিনও তাদের ভোট দিবে না। তাই তারা আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করার পায়তারা করছে। ওরা বলে সংবিধানের বাইরে যাওয়া যাবে না। অথচ একসময় তারাই এ দাবীতে এক সময় আন্দোলন করেছিল। সেদিন সংবিধানে এটা ছিল না। সংবিধান জনগণের জন্য। সেদিন সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচন করা হয়েছিল। আজ তারা বলে সংবিধানের বাইরে যাওয়া যাবে না। কারন তারা ভয় পায়। আমরা ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছি। মুক্তিযুদ্ধ আমরা করেছিলাম। অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে এ দেশ আমরা স্বাধীন করেছি। এর লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করা। আর এ সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজ আমরা আন্দোলন করছি। সাধারণ মানুষের জীবন আজ বিপন্ন। তাদের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য আমরা আন্দোলন করছি। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির জনসমাবেশে ব্যাপক শোডাউন করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু। এসময় বক্তব্যে দিপু ভূঁইয়া বলেন, নেতাকর্মীদের কারাগার থেকে মুক্ত করবো এবং আমরা অতিশিঘ্রই তাদের সকলকে একসাথে নিয়ে রাজপথ কাঁপিয়ে ছাড়বো। সমাবেশে অংশ নিতে দুপুরে জুমার নামাজের পর থেকেই চাষাঢ়া বালুরমাঠ, রেললাইনসহ বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন দিপুর নেতাকর্মীরা। পরে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বিশাল মিছিলসহ জনসমাবেশে যোগ দেন তিনি। সমাবেশে নিজ বক্তব্যে দিপু ভূঁইয়া বলেন, আমাদের সহযোগী যাদের নিয়ে একসাথে আমরা আন্দোলন করি। সেই মান্নান ভাই, টিটু, জিকু, জাকির খানসহ আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে আছে। আমরা অতিশিঘ্রই তাদের সকলকে মুক্ত করে আনবো। তিনি আরও বলেন, এদেশে একটিই শাসন চলছে। সেটা হল অন্যায়ের শাসন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন আজ দিশেহারা। অবিলম্বে আমরা এই অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাবো। নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেছেন, দলের পক্ষ থেকে যেকোন আন্দোলন সংগ্রাম যেকোন কর্মসূচি আমাদের নেতা তারেক রহমান ডাক দিলে রক্ত দিয়ে হলেও কর্মসূচি সফল করবো। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জিকুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কখনও মাথা নত করে না। আমাদের হামলা মামলা দিয়ে দমানো যাবে না। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেছেন, আমাদের নেতা ফিরে আসবেন এবং জাতিকে নেতৃত্ব দিবেন। আপনারা এই রাজপথ দখলে রাখবেন। নেতৃত্বের প্রতিযোগীতার সময় এখন নয়। আমারা একত্রে ঐক্যবদ্ধ ভাবে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। তিনি বলেন, আমরা মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটিয়েছিলাম। আজও বলতে চাই আজকে যারা যুবদলের নেতা আছেন তারা এদের নেতৃত্বে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি। সেই দিন বেশি দূরে নয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ কায়সার রিফাত বলেছেন, এই অবৈধ সরকারের প্রধান আজ পাগল হয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় তিনি যাচ্ছেন। কিন্তু কোন কূল কিনারা পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, আপনারা জানেন বর্তমান সরকারের অবস্থান। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি। মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা ও সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম ইমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ প্রমুখ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
নামাজের সময়
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৬
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ১৭:২৩
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১
  • ১১:৪৫
  • ১৫:৪৩
  • ১৭:২৩
  • ১৮:৩৮
  • ৬:০৪
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা