ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দলীয় নির্দেশনা পালনে তৎপর হয়ে উঠেছে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। দীর্ঘ সময়র ক্ষমতার বাইরে থাকায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। এর মধ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একের এর এক মামলায় অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল সাংগঠনিক তৎপরতা। তবে, দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো সেই পূরানো রূপে ফিরে এসেছে দলীয় নেতৃবৃন্দ। দীর্ঘদীনের খড়গ কাটিয়ে আন্দোলনমুখী হতে শুরু করেছে দলটি। রাজপথে অবস্থানের মাধ্যমে দলের অস্তিত্বের জাগান দিচ্ছে। এদিকে, নির্বাচনমুখী আন্দোলন এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন কর্মসূচী পালনে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে পুলিশি অভিযান। জেলার বিভিন্ন থানায় গত কয়েকদিন জেলা ও মহানগর এবং উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তবে, দলের ক্রান্তিকাল সময়ে নির্বাচনের আগ মুহুর্তে সরকার বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়েই রাজপথে থাকার ঘোষনা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতা কর্মীদের ভাষ্যমতে, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। ঘরে ফেরার সময় নেই। যে কোন মূল্যে গণতন্ত্র রক্ষাসহ জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জালিম এ সরকারের পতন ঘটানো হবে। ফ্যাসিবাদী এ সরকারের পতনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের আর্ভিভাব ঘটিয়ে ঘরে ফেরার অঙ্গীকার করেন তারা। জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে হার্ডলাইনের আন্দোলনে রয়েছে দলটি। তবে এত বছরে এভাবে সাহস ও শক্তি নিয়ে রাজপথে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। নারায়ণগঞ্জ জেলা আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার। কিন্তু বিগত সময়ে আন্দোলনের মাঠে তেমন ঝড় তুলতে পারেনি জেলাটি। এর মধ্যেই মামলা গ্রেফতার কারাবাস ও পুলিশের পিটুনীতে নাজেহাল ছিল নেতাকর্মীরা। এহেন অবস্থায় নেতাকর্মীরা এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে দাবি করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান। এ সাজাটিকে প্রহসনের রায় দাবি করলেও সেসময় নারায়ণগঞ্জে চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো আন্দোলন দেখাতে পারেনি দলটি। বর্তমান সময়ে দেখা গেছে তার ভিন্ন চিত্র। দলের নেতা কে বিবেচনায় না নিয়ে এক্যবদ্ধ হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। রাজপথে ইতোমধ্যে গড়ে তুলেছে শক্ত অবস্থান। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের এখন টার্গেট যেকোন মূল্যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করা। কারণ বর্তমান সময়ে মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস, বিদ্যুতের চড়া মূল্য, তেলের দাম বাড়া ও লোডশেডিংসহ নানা ইস্যুতে এখন মানুষ সরকারের ওপর ক্ষুদ্ধ। যেকোন মূল্যে এই নাভিশ্বাস অবস্থা থেকে মুক্তি চায় মানুষ। আর সে সুযোগে যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা বিএনপি করে দিতে পারে তবে বাকি কাজ মানুষ ভোটে করে দেবে। আর তাই এ মুহূর্তে সরকার পতনের আন্দোলনের বিকল্প দেখছেনা বিএনপি। সেই আন্দোলনে কেন্দ্রের নির্দেশ মতো কাজ করতে মাঠে রয়েছে দলটি। দলের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দীন জানান, এখন আর ভিন্ন কোনো পথ নেই সবার পথ এক পথ। সেই পথ হচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য লড়াইয়ের পদ। এখন আন্দোলন সংগ্রমের মাধ্যমে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করে মানুষের দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি দিতে হবে। আর সেই লক্ষ্যে এখন সব মোহনা এক সঙ্গে এসে মিশেছে। এখন আমরা একত্রিত হয়ে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ দখলে রেখে সব আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচি সফল করে এ সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবো।শত নির্যাতনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বিএনপি এখনো শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, দলীয় নেতৃবৃন্দে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে নামলেই ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারাতো নিজেরা কিছু করতে পারেন না’ পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে দমন নীপিড়নসহ মিথ্যা মামলার মাধ্যমে আন্দোলন থেকে দূরে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাতে পারেন শুধু! তবুও নারায়ণগঞ্জে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, অনেকে জানতে চান কবে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের কথা শুনে আমি অবাক হই। বিএনপি তো আন্দোলনের মধ্যেই আছে। সরকারের নানা ব্যর্থতায় আমরা রাজপথেই প্রতিবাদ করছি। আন্দোলন মানে তো গাড়ি ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও নয়, আমরা এসবে বিশ্বাস করি না। জনগণও সেটা চায় না। আমরা চাই সরকারবিরোধী একটি গণআন্দোলন। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকার তার গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে সবসময় বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। অতীতে আমরা সরকারের এমন নীলনকশা দেখেছি। সরকার একটা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে বিএনপিকে আন্দোলনে উসকে দিতে চাইছে। কিন্তু আমরা সরকারের কোনো উসকানিতে পা দেব না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সময়মতো চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯