ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো সেই তৃনমূল নেতাকর্মীদের কদর বেড়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা প্রার্থীদের কাছে। অতীতের জাতীয় নির্বাচনগুলোতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় নারায়ণগঞ্জের পাঁচ আসনে মহাজোটের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নির্বাচনে কঠোর পরিশ্রম করেছিল নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। যার ফল বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে মহাজোটের পাঁচ প্রার্থীই। বরাবরের মতই কর্মীরা দলের ক্রান্তী সময়ে মাঠে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও তারাই বেশি অমূল্যায়িত হয়েছে। অথচ কর্মীদের ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেলেও দলের দুঃসময়ে যে সকল নেতৃবৃন্দ রাজপথের নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা আজকে নিষ্পেষিত। বিশেষ করে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর অনেক নেতার ভাগ্যের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আর একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর তাদের অর্থ উপার্জনের টার্গেট আরো বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যে ভাগভাটোয়ারা নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন। ঝুট সেক্টর, হাট-ঘাট দখল, অবৈধ অটোরিক্সা স্ট্যান্ড, সরকারি কাজের টেন্ডার, তেল সেক্টর দখল, চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতায়সহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগের কিছু সুবিধাবাদি নেতা। যারা রাজনীতিকে এখন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে। এক সময় টিনের বাড়ি থাকলেও এখন কোটি টাকার বাড়ির মালিক ও লাখ চটাকার গাড়ি যাতায়াত করেন। আবার কেউ কেউ বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধিও হয়েছেন। এদিকে ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো সেই তৃনমূল নেতাকর্মীদের কদর বেড়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা প্রার্থীদের কাছে। ক্ষমতাসীনদলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছে তৃনমূল কর্মীদের। এদিকে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহন করা নেতৃবৃন্দ নিজেদের আখেঁর গোছালেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি মাঠের নেতাকর্মীদের। জানাগেছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মধ্যদিয়ে চতুর্থ বারের মত আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে। আর টানা তিন বার ক্ষমতায় থাকায় নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের সুবিধাবাদি নেতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এতে করে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন। জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের দায়িত্বহীনতার কারণে সুবিধাবাদি নেতারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে এ সুবিধাবাদিদের একাংশে তারাও রয়েছেন। সূত্র বলছে, ক্ষমতাসীন দলের সাংসদদের ঘনিষ্টজন অথবা ঘনিষ্টজনদের শেল্টারে থাকা কিছু সুবিধাবাদি নেতারা সাধারণ মানুষের উপর উত্যাচার চালিয়ে নানা অপকর্ম করে নিজেদের অবস্থান শক্ত করছেন। এতে করে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক ইমেজ ক্ষন্নু হচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর টানা তৃতীয় বারের মত আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুবিধাবাদিরা নতুন ছক তৈরী করে মাঠে নামছেন। নানা অপকর্ম করে আদায়কৃত অর্থের একাংশ পাচ্ছেন সাংসদদের ঘনিষ্টজনরা। এছাড়াও সরকারি কাজের টেন্ডার বাগিয়ে নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। নি¤œ মানের সামগ্রী দিয়ে সরকারি কাজ করা হচ্ছে। এতে করে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ উপজেলা থেকে শুরু করে সরকারি সকল দপ্তরের কাজের টেন্ডার পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সুবিধাবাদি নেতারা। নির্বাচনে দলের ত্যাগীরা পরিশ্রম করলেও সুবিধাবাদি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ চলছে ব্যাক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে। জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি থাকলে তাদের অধিকাংশ নেতাই কর্মীবিহীন। দলীয় সংগঠনিক উন্নতির কথা চিন্তা না করে নিজস্ব ফায়দা লুফে নিতে তারাও পিছিয়ে নেই। নারায়ণগঞ্জের তিনটি আসনের সাংসদরাও সুবিধাবাদি নেতাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা উল্টো সব দেখেও না দেখার ভান করছেন বলে অভিযোগ সাধারণ কর্মীদের। এদিকে, দেড় বছর পরই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানোর কাজ শুরু করেছে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। নির্বাচনকে টার্গেট করে সম্ভ্যাব্য প্রার্থীরা খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছে দলের প্রান তৃনমূল নেতৃবৃন্দকে। মাঠের কর্মীদের কদর বেড়েছে নেতৃবৃন্দের কাছে। অথচ দীর্ঘদীন ক্ষমতায় থাকার পরেও সেই মাঠের কর্মীদের খোঁজ খবর কেউ রাখেনি। জীবন সংগ্রামে করুনতায় অতিবাহিত হলেও তাদের পাশে ছিলনা জনপ্রতিনিধিরা। তবে, বিভিন্ন গনমাধ্যমের বদৌলতে দলের কর্মীদের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে হয়তোবা কর্মীদের খোঁজ খবর নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু স্বেচ্ছায় কর্মীদের ভাগ্য বদলে কাউকেই পাশে দেখা যায় না। অথচ দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কতিপয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে ম্যানেজ করে বহিরাগত ও সুবিধাভোগীরা স্বার্থ হাছিল করলেও দুঃসময়ে তাদের দলের দেখা যায় না। অথচ সেই অবমূল্যায়িত তৃনমূলই দলকে ভালবেসে দলীয় স্বার্থে রাজপথে অবস্থানের মাধ্যমে দাবি আদায়ের মাধ্যমে ঘরে ফিরেন সেই তৃনমূল। আর এই তৃনমূলকেই অবহেলায় থাকতে হয়েছে দল ক্ষমতায় থাকার পরেও। দীর্ঘদীন অবহেলায় থাকা সেই তৃনমূল কর্মীদের কদর বেড়েছে দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে! এমনটাই দাবি দলের নেতাকর্মীদের।
এই কাল এই সময় হাবিবুর রহমান বাদল অন্তর্বর্তিকালিন সরকারের দুইমাস পাঁচদিন শেষ হলেও যে প্রত্যাশা নিয়ে জুলাই বিপ্লবে প্রায় দুহাজার ছাত্রজনতা প্রাণ দিয়েছিল। সেই বিপ্লবকে সফল করতে স্বৈরাচারের গ্যাস সেল আর বুলেটের আঘাতে কেউ অন্ধ, কেউ পঙ্গু আবার কেউ যন্ত্রনায় কাৎরাচ্ছে তাদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ত্রিশ হাজারের বেশি আহতরা এখন স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখতে চাইছে। […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: বিকেএমইএ‘র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ব্যাংক ইন্টারেস্টের কারণে আমাদের ক্যাপাসিটির বাইরে অনেক কিছু চলে যাচ্ছে। আগে ছিল, পর পর ছয়টা কিস্তিতে কেউ ব্যর্থ হলে সে ঋণখেলাপি হবে। বাংলাদেশ থেকে একটি সার্কুলার দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে ৩টা কিস্তিতে ব্যর্থ হলে ঋণখেলাপি হবে। আগামী মার্চ থেকে একটা কিস্তি ব্যর্থ হলেই ঋণখেলাপি হবে। বর্তমান […]
সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি | রবি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়। চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯